নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : দুধকুমার নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন -সংবাদ
নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলীয় মানুষকে ঝুকিতে ফেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসকরন প্রকল্পে মাটির রাস্তা সংস্কারে প্রমত্তা দুধকুমার নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হচ্ছিল বালু। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাগেশ^রী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সারিসুরিতে সরেজমিন গিয়ে এ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন এসিল্যান্ড। এতে খুশি এলাকাবাসী।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে বটতলা বাজার-ওয়াবদা বাধ ও টেংগরমারী সীমান্ত-ভাটি দিকদারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বমোট ২৩১০ মিটার মাটির রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে। গত ১০ দিন ধরে এ কাজের জন্য নাগেশ^রীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সারিসুরিতে দুধকুমারে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও সংশোধিত আইন ২০২৩ পরিপন্থী। বিশ^ খাদ্য কর্মসুচীর কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ৯৯ লক্ষ ৪ হাজার ১৭১ টাকা ব্যায়ে আরডিআরএস দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসকরণ (ডিআরআর-আরআরএপি) প্রকল্পের অধীনে এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রশ্ন উঠেছিল এক উপজেলার মানুষকে ঝুকিতে ফেলে কিভাবে অন্য উপজেলায় দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসকরন প্রকল্পে কাজ সম্ভব।
এটি বন্ধে গত ২৬ নভেম্বর জমির মালিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। পরে ২ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভুমি) বদরুজ্জামান রিশাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় আব্দুল হাকিম, আব্দুল হামিদ, আসাদুল, নুর জামাল, আমিনুল ইসলাম জানান, এমনিতেই দুধকুমার সারা বছরই তীরে ভাঙ্গন চালায়। প্রতিবছর গিলে খায় অসংখ্য ঘর-বাড়ী, ফসলী জমি, বাগান ও স্থায়ী স্থাপনা। এবারে বালু উত্তোলন করায় প্রমত্তা দুধকুমারের তীরে ভাঙ্গন আরো তীব্র হতে পারে। ফলে ভাঙ্গনের অতি ঝুকিতে পড়েছে তীরবর্তী তফসিলভুক্ত জমি ও সরকারী আবাসন প্রকল্প। এসিল্যান্ড স্যার এটি বন্ধ করায় আমরা খুশি।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) বদরুজ্জামান রিশাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনকিছু জব্দ করা হয়নি। তাদের মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : দুধকুমার নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন -সংবাদ
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলীয় মানুষকে ঝুকিতে ফেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসকরন প্রকল্পে মাটির রাস্তা সংস্কারে প্রমত্তা দুধকুমার নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হচ্ছিল বালু। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাগেশ^রী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সারিসুরিতে সরেজমিন গিয়ে এ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন এসিল্যান্ড। এতে খুশি এলাকাবাসী।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে বটতলা বাজার-ওয়াবদা বাধ ও টেংগরমারী সীমান্ত-ভাটি দিকদারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বমোট ২৩১০ মিটার মাটির রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে। গত ১০ দিন ধরে এ কাজের জন্য নাগেশ^রীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সারিসুরিতে দুধকুমারে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও সংশোধিত আইন ২০২৩ পরিপন্থী। বিশ^ খাদ্য কর্মসুচীর কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ৯৯ লক্ষ ৪ হাজার ১৭১ টাকা ব্যায়ে আরডিআরএস দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসকরণ (ডিআরআর-আরআরএপি) প্রকল্পের অধীনে এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রশ্ন উঠেছিল এক উপজেলার মানুষকে ঝুকিতে ফেলে কিভাবে অন্য উপজেলায় দুর্যোগ ঝুকিহ্রাসকরন প্রকল্পে কাজ সম্ভব।
এটি বন্ধে গত ২৬ নভেম্বর জমির মালিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। পরে ২ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভুমি) বদরুজ্জামান রিশাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় আব্দুল হাকিম, আব্দুল হামিদ, আসাদুল, নুর জামাল, আমিনুল ইসলাম জানান, এমনিতেই দুধকুমার সারা বছরই তীরে ভাঙ্গন চালায়। প্রতিবছর গিলে খায় অসংখ্য ঘর-বাড়ী, ফসলী জমি, বাগান ও স্থায়ী স্থাপনা। এবারে বালু উত্তোলন করায় প্রমত্তা দুধকুমারের তীরে ভাঙ্গন আরো তীব্র হতে পারে। ফলে ভাঙ্গনের অতি ঝুকিতে পড়েছে তীরবর্তী তফসিলভুক্ত জমি ও সরকারী আবাসন প্রকল্প। এসিল্যান্ড স্যার এটি বন্ধ করায় আমরা খুশি।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) বদরুজ্জামান রিশাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনকিছু জব্দ করা হয়নি। তাদের মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।