alt

সারাদেশ

মহাদেবপুরে খাল ভরাট করে পার্ক, এখন গোচারণভূমি

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১

মহাদেবপুর (নওগাঁ) : শিশু পার্কের ভাঙা দোলনার খুটিতে বেঁধে রাখা গরু -সংবাদ

বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাল ভরাট করে তৈরি করা হলো পার্ক। সেটিও ছিল পরিবেশ রক্ষার উপযোগী। ছিল শিশুদের চিত্ত বিনোদনের স্থান। কিন্তু অবহেলায় সেটির হাল এখন গোচারণভূমি।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের একমাত্র শিশুপার্ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় শিশুদের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পার্কের সব কটি দোলনা, স্লিপার, রাইড ভেঙে গেছে। তবু দীর্ঘদিনেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় পার্কটি এখন শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র নয়, গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।

দীর্ঘ আয়তনের পার্কটির থানার মোড় এলাকা অংশ শিশুদের এবং থানা ভবনের সামনে থেকে হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত বড়দের পার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পুরো পার্কজুড়ে ছিল অসংখ্য রকমারি ফুলের গাছ। সারাবছর মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা থাকতো পুরো এলাকা। ফুলবাগানের মাঝে রাস্তা আর দুপাশে ছিল বসার জন্য ঢালাই করা ব্রেঞ্চ। প্রতিদিন বিকেলটা থাকতো শিশুদের কলকাকলিতে মুখর।

অভিভাবকেরা তাদের শিশুদের নিয়ে আসতেন এখানে। শিশুদের খেলতে দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতেন। আর বড়দের পার্কে সকাল থেকেই উঠতি ছেলেমেয়ে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী আর সব বয়সের মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু এখন এসবের কিছুই অবশিষ্ট নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতায় পার্কটিতে এখন শিশুদের কোলাহল নেই, নেই ফুলের সৌরভ। এখন শোনা যায় গরুর হাম্বা ডাক। পার্কের ফুলের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। বিদায় করে দেয়া হয়েছে কেয়ার টেকার কাম মালিকে। ফুলগাছের বদলে এখন পুরো পার্কজুড়ে শুধু ঘাস আর মাঝে মাঝে ঝোপ জঙ্গল। দুবছর আগে পার্কের মাঝখানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দুপাশে শিশুপার্ক ও বড়দের পার্কের কোনো উন্নয়ন করা হয়নি।

পার্কের এই জায়গাটি ছিল সড়কের পাশের গভীর নয়ানজলি বা খাল। উপজেলা শহরের বৃষ্টির পানি আর ডাকবাংলো সংলগ্ন কলেজ মাঠের পানি গিয়ে পড়তো ওই খালে। বিএনপির শাসনামলে খাল ভরাট করে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। নাম দেয়া হয় জিয়া শিশুপার্ক। ১৯৯৪ সালের ৩ আগস্ট এলাকার এমপি (পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার) প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী এটি উদ্বোধন করেন। এটি নির্মাণের সময়ই বিতর্ক শুরু হয়। খালটি ভরাট করায় এলাকার পানি নিষ্কাষনে দারুণ সমস্যার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিপাতেই খেলার মাঠে পানি জমে যায়। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে গতবছর মাঠের পূর্বপাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব নানা কারণে বিএনপি পরবর্তী সময়ে এটির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর আগ্রহ দেখায়নি। এছাড়া স্থানীয়রা মনে করেন, পার্কটির বিশেষ নামকরণের জন্য রাজনৈতিক কারণে পরবর্তীতে এর উন্নয়ন হয়নি। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার নান্নু বলেন, পার্কটির নাম জিয়া শিশুপার্ক হবার কারণেই ২০০৭ সালের পর এটি ধ্বংস করে ফেলা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন বলেন, পার্কটি নির্মাণ করেছিল নওগাঁ জেলা পরিষদ। এটি দেখাশুনা ও উন্নয়নের দায়িত্ব তাদেরই। তিনি বলেন, কাগজে কলমে কোথাও এ পার্কটির নামকরণ নাই। শুধু পার্কের গেটের উপর লেখা ছিল। কিন্তু জিয়া শিশুপার্ক বা বঙ্গবন্ধু শিশুপার্ক নামকরণ হলেই কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন থেমে থাকে না। অচিরেই এটির উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ছবি

বান্দরবানের ঝরনায় নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ চারদিন পর রেজুখালে উদ্ধার

ছবি

ফুলপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ আহত ২০

ছবি

এখন আর নতুন করে কেউ তৈরি করছে না ‘শান্তির নীড়’ মাটির ঘর

শ্রীমঙ্গলে হাওর থেকে নিষিদ্ধ জাল জব্দ

লামায় অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ অপহরণকারী আটক

ছবি

উপকূল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি

সিংগাইরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৫

কালীগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযান : ৫ জনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

ছবি

নৌকার ব্যবহার কমায় কমছে কাঠ মিস্ত্রিদের আয়-রোজগার

ছবি

কচুয়ায় ভাঙা ঘরে রিকশাচালক দুলাল মিয়ার বসবাস

ছবি

স্বজনদের আহাজারি থামছে না দ্রুত বিচার দাবি

নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রবাসী নিহত

চাঁদপুর ঘাটে মাছের আমদানি কম, কেজি দরে ইলিশের ডিম!

দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

বর্ষণে বেতাগীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দুর্ভোগে স্বল্প আয়ের মানুষ

মব জাস্টিস বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে সেনাবাহিনী

‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে পোস্টার ছাপিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া দরকার’

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ল

দলীয় কোন্দলে অস্থির মতলব বিএনপি

ফুলপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ডুমুরিয়ায় কাঁঠালের ফলন ভালো না হওয়ায় বাগান মালিকরা হতাশ

ছবি

১৪ বছরের শিশুর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা

পাহাড়ি এলাকায় মৌমাছি পালন প্রশিক্ষণ

বাগেরহাটে ডাকাতি

ভুয়া অ্যাকাউন্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনৈতিক অপতৎপরতা শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার

ছবি

সিংড়ায় আত্রাই নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ

চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল, গুলি টাকাসহ সন্ত্রাসী আটক

পরিত্যক্ত ট্রেন নাইটিং কক্ষে চলছে রেল নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম

গফরগাঁওয়ে কৃষক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

কটিয়াদীতে বেকারত্ব কমাচ্ছে অটোরিকশা

ছবি

এক কালের খরস্রোতা ভূবেনেশ^র নদী এখন মৃতপ্রায়

সোনারগাঁয়ে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি ট্রাক মালিকদের

ছবি

পলাশে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব

tab

সারাদেশ

মহাদেবপুরে খাল ভরাট করে পার্ক, এখন গোচারণভূমি

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

মহাদেবপুর (নওগাঁ) : শিশু পার্কের ভাঙা দোলনার খুটিতে বেঁধে রাখা গরু -সংবাদ

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১

বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাল ভরাট করে তৈরি করা হলো পার্ক। সেটিও ছিল পরিবেশ রক্ষার উপযোগী। ছিল শিশুদের চিত্ত বিনোদনের স্থান। কিন্তু অবহেলায় সেটির হাল এখন গোচারণভূমি।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের একমাত্র শিশুপার্ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় শিশুদের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পার্কের সব কটি দোলনা, স্লিপার, রাইড ভেঙে গেছে। তবু দীর্ঘদিনেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় পার্কটি এখন শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র নয়, গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।

দীর্ঘ আয়তনের পার্কটির থানার মোড় এলাকা অংশ শিশুদের এবং থানা ভবনের সামনে থেকে হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত বড়দের পার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পুরো পার্কজুড়ে ছিল অসংখ্য রকমারি ফুলের গাছ। সারাবছর মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা থাকতো পুরো এলাকা। ফুলবাগানের মাঝে রাস্তা আর দুপাশে ছিল বসার জন্য ঢালাই করা ব্রেঞ্চ। প্রতিদিন বিকেলটা থাকতো শিশুদের কলকাকলিতে মুখর।

অভিভাবকেরা তাদের শিশুদের নিয়ে আসতেন এখানে। শিশুদের খেলতে দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতেন। আর বড়দের পার্কে সকাল থেকেই উঠতি ছেলেমেয়ে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী আর সব বয়সের মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু এখন এসবের কিছুই অবশিষ্ট নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতায় পার্কটিতে এখন শিশুদের কোলাহল নেই, নেই ফুলের সৌরভ। এখন শোনা যায় গরুর হাম্বা ডাক। পার্কের ফুলের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। বিদায় করে দেয়া হয়েছে কেয়ার টেকার কাম মালিকে। ফুলগাছের বদলে এখন পুরো পার্কজুড়ে শুধু ঘাস আর মাঝে মাঝে ঝোপ জঙ্গল। দুবছর আগে পার্কের মাঝখানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দুপাশে শিশুপার্ক ও বড়দের পার্কের কোনো উন্নয়ন করা হয়নি।

পার্কের এই জায়গাটি ছিল সড়কের পাশের গভীর নয়ানজলি বা খাল। উপজেলা শহরের বৃষ্টির পানি আর ডাকবাংলো সংলগ্ন কলেজ মাঠের পানি গিয়ে পড়তো ওই খালে। বিএনপির শাসনামলে খাল ভরাট করে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। নাম দেয়া হয় জিয়া শিশুপার্ক। ১৯৯৪ সালের ৩ আগস্ট এলাকার এমপি (পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার) প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী এটি উদ্বোধন করেন। এটি নির্মাণের সময়ই বিতর্ক শুরু হয়। খালটি ভরাট করায় এলাকার পানি নিষ্কাষনে দারুণ সমস্যার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিপাতেই খেলার মাঠে পানি জমে যায়। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে গতবছর মাঠের পূর্বপাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব নানা কারণে বিএনপি পরবর্তী সময়ে এটির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর আগ্রহ দেখায়নি। এছাড়া স্থানীয়রা মনে করেন, পার্কটির বিশেষ নামকরণের জন্য রাজনৈতিক কারণে পরবর্তীতে এর উন্নয়ন হয়নি। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার নান্নু বলেন, পার্কটির নাম জিয়া শিশুপার্ক হবার কারণেই ২০০৭ সালের পর এটি ধ্বংস করে ফেলা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন বলেন, পার্কটি নির্মাণ করেছিল নওগাঁ জেলা পরিষদ। এটি দেখাশুনা ও উন্নয়নের দায়িত্ব তাদেরই। তিনি বলেন, কাগজে কলমে কোথাও এ পার্কটির নামকরণ নাই। শুধু পার্কের গেটের উপর লেখা ছিল। কিন্তু জিয়া শিশুপার্ক বা বঙ্গবন্ধু শিশুপার্ক নামকরণ হলেই কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন থেমে থাকে না। অচিরেই এটির উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

back to top