বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক
নেপালের বিদ্যুৎ, চুক্তি এ মাসেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেছেন, অনুদান প্রাপ্তি সাপেক্ষে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন (৮ জুলাই) চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কোন কোন সমঝোতা স্মারক সই হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হমিদ বলেন, ‘আমরা মহেশখালী থেকে সমান্তরালভাবে আটটি পাইপলাইন গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি চীন সফরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা ও বিতরণব্যবস্থার কিছু প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে যেসব বিষয়ে অনুদান পাবে, সেগুলোর চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হবে।’ টাকার অঙ্কে এই বিনিয়োগ এক বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যেই আমরা গ্যাস-সংকট দূর করতে পারবো বলে আশা করছি। এ জন্য আরও দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। এর বাইরে স্থলভাগে ও অগভীর সমুদ্রে নতুন করে কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ঘাটতি
সম্প্রতি বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বাড়বে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ঝড় ও বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৩০ হাজার পোল বিনষ্ট হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে সবকয়টি সাবস্টেশন পানির নিচে চলে গেছে। আমরা এসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণের ব্যবস্থা সাজানোর চেষ্টা করছি. যাতে গ্রাহককে ঝড় ও বন্যার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।’
গ্যাসের স্বল্প চাপ
গ্যাসের স্বল্প চাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ের কারণে আমাদের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী ১৪ থেকে ১৫ জুলাই টার্মিনালটি পুনরায় গ্যাস সরবরাহ করলে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।’
দাম আপাতত বাড়ছে না আইএমএফ ( আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিল) বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির শর্ত দিয়েছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এর পরিপ্রেক্ষিতে দুবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এটি একটি নিয়মিত সমন্বয়। সরকার চাইলে আমরা দাম বৃদ্ধি করি। আমাদের আবার যখন দাম বৃদ্ধির কথা বলা হবে, তখন আমরা দাম বৃদ্ধি করবো। তবে আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না।’
তবে ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সরকার প্রায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। ডলারের দাম ৭৯ টাকা ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এখন ডলালের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৭ টাকা। এ ছাড়া এ খাতের অন্যান্য সব জিনিসের দাম বেড়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।’
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হতে পারে।
নেপাল থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট আট টাকা পড়বে। এটি বেশি কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুবিধা হচ্ছে কুড়ি বছর ৮ টাকা ইউনিটেই বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে। জীবাশ্ম জ্বালানির দাম বাড়লে যেমন বিদ্যুতের দাম বাড়ে, এখানে এটা হবে না।’
গ্যাস ও কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম স্থিতিশীল নয় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কয়লা ও গ্যাসের দাম ওঠা-নামার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের দাম কমবেশি হয়। যে গ্যাস একসময় ৭ ডলারে কেনা গেছে, একই পরিমাণ গ্যাস ৬৭ ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। এতে পেট্রোবাংলার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে।’
জ্বালানির বাজেট উন্নয়নে
গত ৩০ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেটের সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়টিও মাথায় রেখে বাজেট তৈরি করা হয়েছে।’
এবার জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি বিভাগ সাধারণত তাদের নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে। যেমন, গ্যাস ও তেল কেনার ব্যাপারে নিজেদের অর্থই ব্যয় করা হয়। কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের কিছু অর্থ দরকার পড়ে। সেটার পরিমাণ এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা।’
সোলারকে স্মার্ট গ্রিডে
২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই (বর্তমান) সিস্টেম যে কোনো সময় ব্যর্থও হতে পারে, তাই সোলারকে স্মার্ট গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা আছে।’
বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্বব্যাংক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য হাতে নিয়েছি। এ জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায়। আমরা তাদের জমি দেবো। তারা সেই জমি উন্নয়ন করে দেবে। একইসঙ্গে গ্রিড লাইন নির্মাণ করে দেবে। এরপর আমরা দরপত্র আহ্বান করবো। এতে সৌর বিদ্যুতের দাম আরও কমে আসবে। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের গ্রিডে ছয় হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ যোগ হবে।’
সাগরে অনুসন্ধান, দরপত্রের সময় বাড়ছে
সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ডাকা দরপত্রের সময় বাড়ানো হচ্ছে জানালেও কতদিন বাড়ছে, এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক
নেপালের বিদ্যুৎ, চুক্তি এ মাসেই
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেছেন, অনুদান প্রাপ্তি সাপেক্ষে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন (৮ জুলাই) চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কোন কোন সমঝোতা স্মারক সই হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হমিদ বলেন, ‘আমরা মহেশখালী থেকে সমান্তরালভাবে আটটি পাইপলাইন গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি চীন সফরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা ও বিতরণব্যবস্থার কিছু প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে যেসব বিষয়ে অনুদান পাবে, সেগুলোর চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হবে।’ টাকার অঙ্কে এই বিনিয়োগ এক বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যেই আমরা গ্যাস-সংকট দূর করতে পারবো বলে আশা করছি। এ জন্য আরও দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। এর বাইরে স্থলভাগে ও অগভীর সমুদ্রে নতুন করে কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ঘাটতি
সম্প্রতি বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বাড়বে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ঝড় ও বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৩০ হাজার পোল বিনষ্ট হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে সবকয়টি সাবস্টেশন পানির নিচে চলে গেছে। আমরা এসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণের ব্যবস্থা সাজানোর চেষ্টা করছি. যাতে গ্রাহককে ঝড় ও বন্যার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।’
গ্যাসের স্বল্প চাপ
গ্যাসের স্বল্প চাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ের কারণে আমাদের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী ১৪ থেকে ১৫ জুলাই টার্মিনালটি পুনরায় গ্যাস সরবরাহ করলে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।’
দাম আপাতত বাড়ছে না আইএমএফ ( আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিল) বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির শর্ত দিয়েছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এর পরিপ্রেক্ষিতে দুবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এটি একটি নিয়মিত সমন্বয়। সরকার চাইলে আমরা দাম বৃদ্ধি করি। আমাদের আবার যখন দাম বৃদ্ধির কথা বলা হবে, তখন আমরা দাম বৃদ্ধি করবো। তবে আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না।’
তবে ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সরকার প্রায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। ডলারের দাম ৭৯ টাকা ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এখন ডলালের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৭ টাকা। এ ছাড়া এ খাতের অন্যান্য সব জিনিসের দাম বেড়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।’
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হতে পারে।
নেপাল থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট আট টাকা পড়বে। এটি বেশি কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুবিধা হচ্ছে কুড়ি বছর ৮ টাকা ইউনিটেই বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে। জীবাশ্ম জ্বালানির দাম বাড়লে যেমন বিদ্যুতের দাম বাড়ে, এখানে এটা হবে না।’
গ্যাস ও কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম স্থিতিশীল নয় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কয়লা ও গ্যাসের দাম ওঠা-নামার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের দাম কমবেশি হয়। যে গ্যাস একসময় ৭ ডলারে কেনা গেছে, একই পরিমাণ গ্যাস ৬৭ ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। এতে পেট্রোবাংলার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে।’
জ্বালানির বাজেট উন্নয়নে
গত ৩০ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেটের সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়টিও মাথায় রেখে বাজেট তৈরি করা হয়েছে।’
এবার জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি বিভাগ সাধারণত তাদের নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে। যেমন, গ্যাস ও তেল কেনার ব্যাপারে নিজেদের অর্থই ব্যয় করা হয়। কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের কিছু অর্থ দরকার পড়ে। সেটার পরিমাণ এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা।’
সোলারকে স্মার্ট গ্রিডে
২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই (বর্তমান) সিস্টেম যে কোনো সময় ব্যর্থও হতে পারে, তাই সোলারকে স্মার্ট গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা আছে।’
বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্বব্যাংক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য হাতে নিয়েছি। এ জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায়। আমরা তাদের জমি দেবো। তারা সেই জমি উন্নয়ন করে দেবে। একইসঙ্গে গ্রিড লাইন নির্মাণ করে দেবে। এরপর আমরা দরপত্র আহ্বান করবো। এতে সৌর বিদ্যুতের দাম আরও কমে আসবে। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের গ্রিডে ছয় হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ যোগ হবে।’
সাগরে অনুসন্ধান, দরপত্রের সময় বাড়ছে
সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ডাকা দরপত্রের সময় বাড়ানো হচ্ছে জানালেও কতদিন বাড়ছে, এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।