alt

অর্থ-বাণিজ্য

কাঁচা মরিচের ঝালের সঙ্গে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁঝও

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

দাম বাড়ছে হুহু করে। এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই যে, দাম বাড়ছে না। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ছিল ১৬০ টাকা এ সপ্তাহে বেড়ে তা হয়েছে ২৮০ টাকা। পেঁয়াজ ছিল গত সপ্তাহে ৮০ টাকা এ সপ্তাহে ১০০ টাকা। এভাবে প্রতিটি নিত্যেপণ্যের দাম বাড়ছে। এগুলোর দেখার বুঝি কেউ নেই এমনটাই জানালেন মানিক নগরে বাজার করতে আসা সবুজ মিয়া। আমি ছোট একটা চাকরি করি। অল্প কিছু টাকা বেতন পাই। যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তাতে শহরে থাকা যাবে না।

খিলগাঁও বাজারে বাজার করতে আসা নুরু উদ্দিন বলেন, চরম কষ্টে আছি। বাজারের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছি না। সবকিছুরই দাম চড়া। এক কেজি টমেটোর দাম ২০০ টাকা। আধা কেজি নিবো সেই টাকাও নেই। যেকোনো সবজি ৭০-৮০ টাকা। কীভাবে বাজার করবো সেই চিন্তায় মাথা ঘুরায়। বাজারে এসে এভাবে অনেকই আক্ষেপ করছেন।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মরিচের আমদানিও কম হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সবজি ও মাছের সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটছে। এতে এসব পণ্যের দামও বাড়ছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর মানিকনগর, খিলগাঁও, শান্তিনগর, শেওড়াপাড়া, তেজকুনীপাড়া, ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তিকে অজুহাত বলে মনে করছেন ক্রেতারা। সেগুনবাগিচা বাজারে আরিফ হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, বৃষ্টি হোক, গরম হোক কিংবা শীত- এদেশে সব কিছুরই দাম শুধু বাড়ে। কখনো কোনো কিছুর ভালো উৎপাদন হলেও বাজারে দাম কমে না।

সপ্তাহের ব্যবধানে স্বস্তির বার্তা নেই কাঁচা মরিচের দামেও। অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহ দুই আগে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছিল এ পণ্যটির দাম। তবে গত সপ্তাহে সেই দাম কিছুটা কমলেও এখন আবারও বাড়ছে। এক্ষেত্রেও বৃষ্টির অজুহাত সামনে আসছে। শুক্রবার মানভেদে বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে।

সবজির সঙ্গে নতুন করে দাম বাড়ার দৌড়ে রয়েছে পেঁয়াজ। শতক ছাড়িয়ে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এছাড়া দেশি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকার বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, টমেটোর মতো সবজি কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আলু ৭০ টাকা, বরবটি, উস্তা করলার দাম চাচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। এ যেন মগের মুল্লুক। এত দামে সবজি কিনে খাওয়া আমার মতো অনেক মধ্যবিত্তের জন্য অসাধ্যকর হয়ে পড়ছে।

সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বরবটি, গাজর, বেগুন, কচুরমুখি ও করলার। প্রতি কেজি বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখি, বেগুন ও করলার কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দর কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো।

এছাড়া কাঁকরোলের কেজি ৮০ থেকে ১০০, পটল ও ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দল ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। গাজরের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও টমেটো ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, টানা অস্থিরতা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। এ নিত্যপণ্যটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে আলুর কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় আরও ৫ টাকা বেড়েছে।

আলুর এ দাম সাধারণত ক্রেতার জন্য একেবারেই অস্বাভাবিক। গত বছরের এ সময়ে আলুর কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে আলুর দাম। চড়া দামে থাকা ডিমের বাজারও অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম তুলনামূলক অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি কোথাও ৭৫০ কোথাও ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো নিত্যপণ্যগুলো আগের চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ছবি

ফোর্বস এর প্রচ্ছদে রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি

ছবি

শীঘ্রই বাংলাদেশের বাস্তায় নামছে বিওয়াইডি সিল

ছবি

এফবিসিসিআইআই আইআরসি এর আয়োজনে এক্সটেন্ডেড প্রসিডিউর রেসপনসিবিলিটি বিষয়ক সেমিনার

ছবি

মিউজ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডে প্লাটিনাম জিতলো টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজ

ছবি

বাজারে ভিভো’র ওয়াই সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ওয়াই২৮

ছবি

নতুন অর্থবছরে ঢাকা উত্তরের সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট

ছবি

এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল ৩০ টাকা

প্লাস্টিক রিসাইক্লিং খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

ছবি

রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় বিটিএমএ

ছবি

একটি ফলই ঘুরিয়ে দিয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতির মোড়

ছবি

আগামী সপ্তাহে দেশের বাজারে আসছে ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ফাইভজি

ছবি

দেশের বাজারে মনস্টার ‘এম’ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১৪ এলটিই

ছবি

মানাবে ওয়াটার পার্কে যাতায়াতে উবার যাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়

ছবি

প্রিয়শপ পরিদর্শন করলেন জিএফআর ফান্ডের প্রতিনিধি

ছবি

বাজারে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই২৮

ছবি

রিয়েলমি ফ্যানদের চীন ভ্রমনের সুযোগ

ছবি

ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টার উদ্বোধন

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে গুরুত্ব পাবে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত: নসরুল হামিদ

ছবি

উৎস কর প্রত্যাহারের দাবি নওগাঁয় রাইস মিল মালিকদের

ছবি

আইএসও সনদ পেল সেলেক্সট্রা লিমিটেড

ছবি

প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী

ছবি

ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার

ছবি

আসছে ভিভো’র ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির স্মার্টফোন

ছবি

আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: জুনাইদ আহমেদ পলক

ছবি

ঢাকায় জিপি এক্সিলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প

ছবি

এশিয়ান পেইন্টস কালার নেক্সট-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

আইসিসিবির ২৯তম বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

ছবি

জ্বালানি খাত ‘সঠিক নীতিতে চলছে না’ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা

ছবি

বড় পরিবর্তন ছাড়াই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

ছবি

নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস,আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এনবিআরের কর্মকর্তা ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি

ছবি

সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

ছবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস আজ

ছবি

লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট

ছবি

পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বাড়লো আরও প্রায় ২৫০ কোটি টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

কাঁচা মরিচের ঝালের সঙ্গে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁঝও

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

দাম বাড়ছে হুহু করে। এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই যে, দাম বাড়ছে না। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ছিল ১৬০ টাকা এ সপ্তাহে বেড়ে তা হয়েছে ২৮০ টাকা। পেঁয়াজ ছিল গত সপ্তাহে ৮০ টাকা এ সপ্তাহে ১০০ টাকা। এভাবে প্রতিটি নিত্যেপণ্যের দাম বাড়ছে। এগুলোর দেখার বুঝি কেউ নেই এমনটাই জানালেন মানিক নগরে বাজার করতে আসা সবুজ মিয়া। আমি ছোট একটা চাকরি করি। অল্প কিছু টাকা বেতন পাই। যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তাতে শহরে থাকা যাবে না।

খিলগাঁও বাজারে বাজার করতে আসা নুরু উদ্দিন বলেন, চরম কষ্টে আছি। বাজারের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছি না। সবকিছুরই দাম চড়া। এক কেজি টমেটোর দাম ২০০ টাকা। আধা কেজি নিবো সেই টাকাও নেই। যেকোনো সবজি ৭০-৮০ টাকা। কীভাবে বাজার করবো সেই চিন্তায় মাথা ঘুরায়। বাজারে এসে এভাবে অনেকই আক্ষেপ করছেন।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মরিচের আমদানিও কম হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সবজি ও মাছের সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটছে। এতে এসব পণ্যের দামও বাড়ছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর মানিকনগর, খিলগাঁও, শান্তিনগর, শেওড়াপাড়া, তেজকুনীপাড়া, ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তিকে অজুহাত বলে মনে করছেন ক্রেতারা। সেগুনবাগিচা বাজারে আরিফ হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, বৃষ্টি হোক, গরম হোক কিংবা শীত- এদেশে সব কিছুরই দাম শুধু বাড়ে। কখনো কোনো কিছুর ভালো উৎপাদন হলেও বাজারে দাম কমে না।

সপ্তাহের ব্যবধানে স্বস্তির বার্তা নেই কাঁচা মরিচের দামেও। অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহ দুই আগে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছিল এ পণ্যটির দাম। তবে গত সপ্তাহে সেই দাম কিছুটা কমলেও এখন আবারও বাড়ছে। এক্ষেত্রেও বৃষ্টির অজুহাত সামনে আসছে। শুক্রবার মানভেদে বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে।

সবজির সঙ্গে নতুন করে দাম বাড়ার দৌড়ে রয়েছে পেঁয়াজ। শতক ছাড়িয়ে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এছাড়া দেশি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকার বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, টমেটোর মতো সবজি কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আলু ৭০ টাকা, বরবটি, উস্তা করলার দাম চাচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। এ যেন মগের মুল্লুক। এত দামে সবজি কিনে খাওয়া আমার মতো অনেক মধ্যবিত্তের জন্য অসাধ্যকর হয়ে পড়ছে।

সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বরবটি, গাজর, বেগুন, কচুরমুখি ও করলার। প্রতি কেজি বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখি, বেগুন ও করলার কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দর কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার মতো।

এছাড়া কাঁকরোলের কেজি ৮০ থেকে ১০০, পটল ও ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দল ও চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। গাজরের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও টমেটো ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, টানা অস্থিরতা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। এ নিত্যপণ্যটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে আলুর কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় আরও ৫ টাকা বেড়েছে।

আলুর এ দাম সাধারণত ক্রেতার জন্য একেবারেই অস্বাভাবিক। গত বছরের এ সময়ে আলুর কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে আলুর দাম। চড়া দামে থাকা ডিমের বাজারও অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম তুলনামূলক অনেকটাই স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি কোথাও ৭৫০ কোথাও ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো নিত্যপণ্যগুলো আগের চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

back to top