ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের তদন্তে বিদ্যুৎ আমদানির সময় প্রয়োজনীয় শুল্ক ও করের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রবেশ ও সঞ্চালনের সময় আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এছাড়া, আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিদ্যুৎ আমদানি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনবিআরের গঠিত কমিটি পিডিবির কাছ থেকে শুল্ক ফাঁকির অর্থ আদায়ের সুপারিশ করেছে।
পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা এনবিআরের চিঠি পেয়েছেন এবং চুক্তিটি বিশদভাবে পর্যালোচনা করছেন। আদানির বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়ে করিম বলেন, “এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। চুক্তিটি বিশ্লেষণ করার পর এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।”
২০২৩ সালের ৯ মার্চ ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই পর্যন্ত আদানির কাছ থেকে ১০৫৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, যার মূল্য ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ ডলার। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এর বিপরীতে ৩১ শতাংশ শুল্ক ও করের মিলে ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ ডলার পাওনা ছিল।
এনবিআরের তদন্তে দেখা গেছে, আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর মওকুফের বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ থাকলেও এনবিআরের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন বা শুল্ক স্টেশনের অনুমোদন নিয়েও কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর সমালোচনা বাড়তে থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আদানির বিদ্যুৎ চুক্তিসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
তদন্তে দেখা গেছে, আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনা হয়েছে এমন একটি রুট দিয়ে, যা কোনো কাস্টমস স্টেশন হিসেবে অনুমোদিত নয়। এছাড়া, আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন নিয়ে এনবিআরের কোনো দপ্তরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি। এনবিআরের তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলোকে ‘শুল্ক ফাঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এখন আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রসঙ্গে পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, "এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং এতে অনেক আইনি বিষয় জড়িত। হুট করে চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করা কঠিন। পর্যালোচনার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি (পিজিসিবি) বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে, যা আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করে আসছে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের তদন্তে বিদ্যুৎ আমদানির সময় প্রয়োজনীয় শুল্ক ও করের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রবেশ ও সঞ্চালনের সময় আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এছাড়া, আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিদ্যুৎ আমদানি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনবিআরের গঠিত কমিটি পিডিবির কাছ থেকে শুল্ক ফাঁকির অর্থ আদায়ের সুপারিশ করেছে।
পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা এনবিআরের চিঠি পেয়েছেন এবং চুক্তিটি বিশদভাবে পর্যালোচনা করছেন। আদানির বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়ে করিম বলেন, “এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। চুক্তিটি বিশ্লেষণ করার পর এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।”
২০২৩ সালের ৯ মার্চ ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই পর্যন্ত আদানির কাছ থেকে ১০৫৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, যার মূল্য ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ ডলার। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এর বিপরীতে ৩১ শতাংশ শুল্ক ও করের মিলে ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ ডলার পাওনা ছিল।
এনবিআরের তদন্তে দেখা গেছে, আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর মওকুফের বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ থাকলেও এনবিআরের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন বা শুল্ক স্টেশনের অনুমোদন নিয়েও কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর সমালোচনা বাড়তে থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আদানির বিদ্যুৎ চুক্তিসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
তদন্তে দেখা গেছে, আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনা হয়েছে এমন একটি রুট দিয়ে, যা কোনো কাস্টমস স্টেশন হিসেবে অনুমোদিত নয়। এছাড়া, আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন নিয়ে এনবিআরের কোনো দপ্তরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি। এনবিআরের তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলোকে ‘শুল্ক ফাঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এখন আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রসঙ্গে পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, "এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং এতে অনেক আইনি বিষয় জড়িত। হুট করে চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করা কঠিন। পর্যালোচনার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি (পিজিসিবি) বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে, যা আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করে আসছে।