alt

অর্থ-বাণিজ্য

আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ এনবিআরের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের তদন্তে বিদ্যুৎ আমদানির সময় প্রয়োজনীয় শুল্ক ও করের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রবেশ ও সঞ্চালনের সময় আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এছাড়া, আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিদ্যুৎ আমদানি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনবিআরের গঠিত কমিটি পিডিবির কাছ থেকে শুল্ক ফাঁকির অর্থ আদায়ের সুপারিশ করেছে।

পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা এনবিআরের চিঠি পেয়েছেন এবং চুক্তিটি বিশদভাবে পর্যালোচনা করছেন। আদানির বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়ে করিম বলেন, “এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। চুক্তিটি বিশ্লেষণ করার পর এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।”

২০২৩ সালের ৯ মার্চ ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই পর্যন্ত আদানির কাছ থেকে ১০৫৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, যার মূল্য ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ ডলার। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এর বিপরীতে ৩১ শতাংশ শুল্ক ও করের মিলে ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ ডলার পাওনা ছিল।

এনবিআরের তদন্তে দেখা গেছে, আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর মওকুফের বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ থাকলেও এনবিআরের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন বা শুল্ক স্টেশনের অনুমোদন নিয়েও কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর সমালোচনা বাড়তে থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আদানির বিদ্যুৎ চুক্তিসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।

তদন্তে দেখা গেছে, আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনা হয়েছে এমন একটি রুট দিয়ে, যা কোনো কাস্টমস স্টেশন হিসেবে অনুমোদিত নয়। এছাড়া, আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন নিয়ে এনবিআরের কোনো দপ্তরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি। এনবিআরের তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলোকে ‘শুল্ক ফাঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এখন আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রসঙ্গে পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, "এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং এতে অনেক আইনি বিষয় জড়িত। হুট করে চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করা কঠিন। পর্যালোচনার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি (পিজিসিবি) বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে, যা আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করে আসছে।

ছবি

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

দুই বছরের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার সুপারিশ

ছবি

২৮ উপায়ে ‘দুর্নীতি’, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ‘পাচার’

ছবি

বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাক্কো ও বিটিআরসি যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

বেসিস ও এনআরবি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ছবি

মুক্তাগাছায় ২০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এডিবির অর্থায়ন

শ্বেতপত্র কমিটি: দেড় দশকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি, দেশ থেকে পাচার ২৮ লাখ কোটি টাকা

ছবি

ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার বাড়ছে, জানুয়ারি থেকে কার্যকর

ছবি

ব্যাংক খাতের সংকট: দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ১০ ব্যাংক

ছবি

ছয় মাসে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় খেলাপি ঋণ: গভর্নর

ছবি

সরকারি প্রকল্পে ১৫ বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

ছবি

ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাসটেইনেবিলিটি ব্লুবুক ২০২৪ প্রকাশ

ছবি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ছবি

প্রয়োজনের সময় মানবতার পাশে বিকাশ

ছবি

বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

ছবি

সবজি-পেঁয়াজের দাম কমেছে, নাগালে আসছে নতুন আলুও

ছবি

ন্যায়সংগত সমাজ গঠনে গভীর সংস্কার প্রয়োজন: রেহমান সোবহান

ছবি

একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ওপাস কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের যাত্রা শুরু

ছবি

পিএমআই বাংলাদেশের পুরস্কার পেল বাংলালিন্ক

২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করলো এয়ার এ্যাস্ট্রা

দেশে বিওয়াইডির ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

ছবি

বেক্সিমকো শিল্প পার্কে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

ছবি

অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি

ছবি

মেডিকেল প্রফেশনালদের জন্য কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড চালু

ছবি

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আইসিসিবি’র কর্মশালা

ছবি

ইউসিবি চালু করলো ভিসা পেমেন্ট গেটওয়ে সল্যুশন সাইবারসোর্স

ছবি

দক্ষ কর্মী অভিবাসনে একাউন্টেন্টদের চমক

ছবি

সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি

মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে মালিকপক্ষের প্রস্তাব শ্রমিকপক্ষের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যাত

সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ‘গাড়িচালক’ পদের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ

চার মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬%

চার মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬%

জ্বালানি ভর্তুকির ৮০ শতাংশ ক্যাপাসিটি চার্জ বরাদ্দ করেছিল আ’লীগ সরকার

tab

অর্থ-বাণিজ্য

আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ এনবিআরের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের তদন্তে বিদ্যুৎ আমদানির সময় প্রয়োজনীয় শুল্ক ও করের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ প্রবেশ ও সঞ্চালনের সময় আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এছাড়া, আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিদ্যুৎ আমদানি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনবিআরের গঠিত কমিটি পিডিবির কাছ থেকে শুল্ক ফাঁকির অর্থ আদায়ের সুপারিশ করেছে।

পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা এনবিআরের চিঠি পেয়েছেন এবং চুক্তিটি বিশদভাবে পর্যালোচনা করছেন। আদানির বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়ে করিম বলেন, “এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। চুক্তিটি বিশ্লেষণ করার পর এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করব।”

২০২৩ সালের ৯ মার্চ ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই পর্যন্ত আদানির কাছ থেকে ১০৫৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, যার মূল্য ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ ডলার। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এর বিপরীতে ৩১ শতাংশ শুল্ক ও করের মিলে ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ ডলার পাওনা ছিল।

এনবিআরের তদন্তে দেখা গেছে, আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর মওকুফের বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ থাকলেও এনবিআরের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন বা শুল্ক স্টেশনের অনুমোদন নিয়েও কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর সমালোচনা বাড়তে থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আদানির বিদ্যুৎ চুক্তিসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।

তদন্তে দেখা গেছে, আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনা হয়েছে এমন একটি রুট দিয়ে, যা কোনো কাস্টমস স্টেশন হিসেবে অনুমোদিত নয়। এছাড়া, আমদানিকৃত বিদ্যুতের শুল্কায়ন নিয়ে এনবিআরের কোনো দপ্তরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি। এনবিআরের তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলোকে ‘শুল্ক ফাঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এখন আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রসঙ্গে পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, "এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং এতে অনেক আইনি বিষয় জড়িত। হুট করে চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন করা কঠিন। পর্যালোচনার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি (পিজিসিবি) বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে, যা আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করে আসছে।

back to top