alt

অর্থ-বাণিজ্য

শ্বেতপত্র কমিটি: দেড় দশকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি, দেশ থেকে পাচার ২৮ লাখ কোটি টাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়নের বয়ান তুলে ধরা হয়েছিল, তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও মূলত এটি একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি। তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অন্তত ২৮ রকম পদ্ধতিতে দেশ থেকে অর্থ পাচারের চিত্র।

প্রতিবেদন অনুযায়ী:

দেড় দশকে দেশে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন শ্বেতপত্র কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুর্নীতির প্রধান খাত

১. ব্যাংক খাত:

ব্যাপক ঋণ কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্পদ লুটপাট।

২. ভৌত অবকাঠামো:

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে খরচ বৃদ্ধি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লুট।

৩. জ্বালানি ও বিদ্যুৎ:

অনুৎপাদনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে তহবিল অপচয়।

৪. তথ্যপ্রযুক্তি:

সরবরাহ চেইন এবং সরকারি কেনাকাটায় স্বজনপ্রীতি।

দুর্নীতির ২৮ পদ্ধতি

১. ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি: প্রতারণাপূর্ণ ঋণ অনুমোদন।

২. অবৈধ অর্থ পাচার: অর্থ বিদেশে স্থানান্তর।

৩. প্রকল্প খরচ বৃদ্ধি: অনুমোদনের পর ব্যয় বাড়ানো।

৪. স্বজনতোষী নিয়োগ: রাজনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ।

৫. ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের অপব্যবহার: দুর্বলদের উপর চাপ সৃষ্টি।

৬. অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প: প্রকল্প যথাসময়ে শেষ না করে খরচ বৃদ্ধি।

৭. দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি: প্রতিযোগিতা ছাড়া কাজ বরাদ্দ।

৮. ঘুষকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার: কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঘুষ প্রদান।

৯. রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার: বরাদ্দ অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহার।

১০. কর অব্যাহতি: প্রভাবশালীদের কর ছাড় প্রদান।

শ্বেতপত্র কমিটি মনে করে, দেড় দশকের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংক খাতে।

দুর্নীতির প্রক্রিয়া বন্ধে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নীতি প্রণয়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ পাচারের মতো কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলেছে শ্বেতপত্র কমিটি।

ছবি

মুক্তাগাছায় ২০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এডিবির অর্থায়ন

ছবি

ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার বাড়ছে, জানুয়ারি থেকে কার্যকর

ছবি

ব্যাংক খাতের সংকট: দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ১০ ব্যাংক

ছবি

ছয় মাসে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় খেলাপি ঋণ: গভর্নর

ছবি

সরকারি প্রকল্পে ১৫ বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

ছবি

ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাসটেইনেবিলিটি ব্লুবুক ২০২৪ প্রকাশ

ছবি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ছবি

প্রয়োজনের সময় মানবতার পাশে বিকাশ

ছবি

বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

ছবি

সবজি-পেঁয়াজের দাম কমেছে, নাগালে আসছে নতুন আলুও

ছবি

ন্যায়সংগত সমাজ গঠনে গভীর সংস্কার প্রয়োজন: রেহমান সোবহান

ছবি

একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ওপাস কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের যাত্রা শুরু

ছবি

পিএমআই বাংলাদেশের পুরস্কার পেল বাংলালিন্ক

২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করলো এয়ার এ্যাস্ট্রা

দেশে বিওয়াইডির ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

ছবি

বেক্সিমকো শিল্প পার্কে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

ছবি

অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি

ছবি

মেডিকেল প্রফেশনালদের জন্য কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড চালু

ছবি

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আইসিসিবি’র কর্মশালা

ছবি

ইউসিবি চালু করলো ভিসা পেমেন্ট গেটওয়ে সল্যুশন সাইবারসোর্স

ছবি

দক্ষ কর্মী অভিবাসনে একাউন্টেন্টদের চমক

ছবি

সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি

মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে মালিকপক্ষের প্রস্তাব শ্রমিকপক্ষের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যাত

সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ‘গাড়িচালক’ পদের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ

চার মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬%

চার মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬%

জ্বালানি ভর্তুকির ৮০ শতাংশ ক্যাপাসিটি চার্জ বরাদ্দ করেছিল আ’লীগ সরকার

ছবি

মাছ বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই, গরু-খাসি-মুরগি স্থিতিশীল

ছবি

সিপিডি ডায়ালগ : মূল্য কাঠামোর সংস্কারে জ্বালানি তেলের দাম কমবে কমপক্ষে ১০ টাকা

ছবি

২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি

ছবি

ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড়

ছবি

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সঙ্গে বেসিসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ছবি

শ্রমিকদের বেতন দিতে ৬০ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে বেক্সিমকো

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

শ্বেতপত্র কমিটি: দেড় দশকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি, দেশ থেকে পাচার ২৮ লাখ কোটি টাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়নের বয়ান তুলে ধরা হয়েছিল, তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও মূলত এটি একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি। তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অন্তত ২৮ রকম পদ্ধতিতে দেশ থেকে অর্থ পাচারের চিত্র।

প্রতিবেদন অনুযায়ী:

দেড় দশকে দেশে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন শ্বেতপত্র কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুর্নীতির প্রধান খাত

১. ব্যাংক খাত:

ব্যাপক ঋণ কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্পদ লুটপাট।

২. ভৌত অবকাঠামো:

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে খরচ বৃদ্ধি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লুট।

৩. জ্বালানি ও বিদ্যুৎ:

অনুৎপাদনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে তহবিল অপচয়।

৪. তথ্যপ্রযুক্তি:

সরবরাহ চেইন এবং সরকারি কেনাকাটায় স্বজনপ্রীতি।

দুর্নীতির ২৮ পদ্ধতি

১. ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি: প্রতারণাপূর্ণ ঋণ অনুমোদন।

২. অবৈধ অর্থ পাচার: অর্থ বিদেশে স্থানান্তর।

৩. প্রকল্প খরচ বৃদ্ধি: অনুমোদনের পর ব্যয় বাড়ানো।

৪. স্বজনতোষী নিয়োগ: রাজনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ।

৫. ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের অপব্যবহার: দুর্বলদের উপর চাপ সৃষ্টি।

৬. অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প: প্রকল্প যথাসময়ে শেষ না করে খরচ বৃদ্ধি।

৭. দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি: প্রতিযোগিতা ছাড়া কাজ বরাদ্দ।

৮. ঘুষকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার: কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঘুষ প্রদান।

৯. রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার: বরাদ্দ অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহার।

১০. কর অব্যাহতি: প্রভাবশালীদের কর ছাড় প্রদান।

শ্বেতপত্র কমিটি মনে করে, দেড় দশকের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংক খাতে।

দুর্নীতির প্রক্রিয়া বন্ধে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নীতি প্রণয়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ পাচারের মতো কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলেছে শ্বেতপত্র কমিটি।

back to top