বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়নের বয়ান তুলে ধরা হয়েছিল, তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও মূলত এটি একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি। তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অন্তত ২৮ রকম পদ্ধতিতে দেশ থেকে অর্থ পাচারের চিত্র।
প্রতিবেদন অনুযায়ী:
দেড় দশকে দেশে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন শ্বেতপত্র কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুর্নীতির প্রধান খাত
১. ব্যাংক খাত:
ব্যাপক ঋণ কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্পদ লুটপাট।
২. ভৌত অবকাঠামো:
অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে খরচ বৃদ্ধি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লুট।
৩. জ্বালানি ও বিদ্যুৎ:
অনুৎপাদনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে তহবিল অপচয়।
৪. তথ্যপ্রযুক্তি:
সরবরাহ চেইন এবং সরকারি কেনাকাটায় স্বজনপ্রীতি।
দুর্নীতির ২৮ পদ্ধতি
১. ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি: প্রতারণাপূর্ণ ঋণ অনুমোদন।
২. অবৈধ অর্থ পাচার: অর্থ বিদেশে স্থানান্তর।
৩. প্রকল্প খরচ বৃদ্ধি: অনুমোদনের পর ব্যয় বাড়ানো।
৪. স্বজনতোষী নিয়োগ: রাজনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ।
৫. ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের অপব্যবহার: দুর্বলদের উপর চাপ সৃষ্টি।
৬. অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প: প্রকল্প যথাসময়ে শেষ না করে খরচ বৃদ্ধি।
৭. দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি: প্রতিযোগিতা ছাড়া কাজ বরাদ্দ।
৮. ঘুষকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার: কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঘুষ প্রদান।
৯. রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার: বরাদ্দ অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহার।
১০. কর অব্যাহতি: প্রভাবশালীদের কর ছাড় প্রদান।
শ্বেতপত্র কমিটি মনে করে, দেড় দশকের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংক খাতে।
দুর্নীতির প্রক্রিয়া বন্ধে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নীতি প্রণয়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ পাচারের মতো কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলেছে শ্বেতপত্র কমিটি।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়নের বয়ান তুলে ধরা হয়েছিল, তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও মূলত এটি একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি। তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অন্তত ২৮ রকম পদ্ধতিতে দেশ থেকে অর্থ পাচারের চিত্র।
প্রতিবেদন অনুযায়ী:
দেড় দশকে দেশে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন শ্বেতপত্র কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুর্নীতির প্রধান খাত
১. ব্যাংক খাত:
ব্যাপক ঋণ কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্পদ লুটপাট।
২. ভৌত অবকাঠামো:
অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে খরচ বৃদ্ধি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লুট।
৩. জ্বালানি ও বিদ্যুৎ:
অনুৎপাদনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে তহবিল অপচয়।
৪. তথ্যপ্রযুক্তি:
সরবরাহ চেইন এবং সরকারি কেনাকাটায় স্বজনপ্রীতি।
দুর্নীতির ২৮ পদ্ধতি
১. ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি: প্রতারণাপূর্ণ ঋণ অনুমোদন।
২. অবৈধ অর্থ পাচার: অর্থ বিদেশে স্থানান্তর।
৩. প্রকল্প খরচ বৃদ্ধি: অনুমোদনের পর ব্যয় বাড়ানো।
৪. স্বজনতোষী নিয়োগ: রাজনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ।
৫. ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের অপব্যবহার: দুর্বলদের উপর চাপ সৃষ্টি।
৬. অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প: প্রকল্প যথাসময়ে শেষ না করে খরচ বৃদ্ধি।
৭. দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি: প্রতিযোগিতা ছাড়া কাজ বরাদ্দ।
৮. ঘুষকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার: কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঘুষ প্রদান।
৯. রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার: বরাদ্দ অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহার।
১০. কর অব্যাহতি: প্রভাবশালীদের কর ছাড় প্রদান।
শ্বেতপত্র কমিটি মনে করে, দেড় দশকের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ব্যাংক খাতে।
দুর্নীতির প্রক্রিয়া বন্ধে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নীতি প্রণয়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ পাচারের মতো কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলেছে শ্বেতপত্র কমিটি।