ঈদের ছুটিতে টানা নয় দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর আগে কখনই কোনো ঈদে এত বেশি দিন ব্যাংকে ছুটি থাকেনি। লম্বা এই ছুটিতে গ্রাহকরা যেন তাদের প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পারেন, সেজন্য এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই দিন সব ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। আর এ কারণেই নয় দিনের লম্বা ছুটিতে পড়ছে দেশের ব্যাংক খাত।
তবে দেশের রপ্তানি আয়ের খাত থাত তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরতদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে ২৮ ও ২৯ মার্চ (সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শানিবার) পোশাকশিল্প এলাকার কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো আলাদা দুটি সার্কুলারে এ সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক শাখা ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শনিবার ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত, এর মধ্যে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। এই সময়ে যেসব শাখা খোলা থাকবে, এই শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথ সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হবে। ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে টানা ছুটিতে সব ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আলাদা একটি সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঈদের ছুটি চলাকালে গ্রাহকের নিরবিচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে এটিএম বুথের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত সময়ে সমাধান করতে হবে। পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) এবং অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবস্থা চালু নিরবচ্ছিন্ন চালু রাখারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস) ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা এবং জাল- জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহককে সচেতন করতে হবে। ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিক্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফেক্টর অথেনটিফিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সকল ব্যাংক এবং তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন এবং এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত টাকা রাখা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঈদের ছুটি চলাকালীন সময়ে যেকোনো অংকের লেনদেনের তথ্য এসএমএস এলার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
ঈদের ছুটিতে টানা নয় দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর আগে কখনই কোনো ঈদে এত বেশি দিন ব্যাংকে ছুটি থাকেনি। লম্বা এই ছুটিতে গ্রাহকরা যেন তাদের প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পারেন, সেজন্য এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই দিন সব ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। আর এ কারণেই নয় দিনের লম্বা ছুটিতে পড়ছে দেশের ব্যাংক খাত।
তবে দেশের রপ্তানি আয়ের খাত থাত তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরতদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে ২৮ ও ২৯ মার্চ (সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শানিবার) পোশাকশিল্প এলাকার কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো আলাদা দুটি সার্কুলারে এ সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে পোশাকশিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক শাখা ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। এর মধ্যে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শনিবার ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত, এর মধ্যে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। এই সময়ে যেসব শাখা খোলা থাকবে, এই শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথ সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হবে। ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে টানা ছুটিতে সব ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আলাদা একটি সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঈদের ছুটি চলাকালে গ্রাহকের নিরবিচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে এটিএম বুথের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত সময়ে সমাধান করতে হবে। পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) এবং অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবস্থা চালু নিরবচ্ছিন্ন চালু রাখারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস) ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা এবং জাল- জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহককে সচেতন করতে হবে। ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিক্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফেক্টর অথেনটিফিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সকল ব্যাংক এবং তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন এবং এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত টাকা রাখা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঈদের ছুটি চলাকালীন সময়ে যেকোনো অংকের লেনদেনের তথ্য এসএমএস এলার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে।