নতুন নোট সংরক্ষণে স্থান সংকুলান না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তা প্রত্যাহার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, “যে কোনো ব্যাংক ভল্টের জায়গা সংকটের কথা জানালে, তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে নতুন নোট তুলে নেওয়া হবে।”
প্রতি বছর দুই ঈদের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ে, যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাজারে বিতরণ করা হয়। এবছরও সেই পরিকল্পনা থাকলেও গত ১০ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখায় নতুন নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি শাখা সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকার নতুন নোট ভল্টে সংরক্ষণ করেছিল।
নতুন নোট বিতরণ বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলোর ভল্টে জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া তারা নোটগুলো লেনদেনেও ব্যবহার করতে পারছে না।
এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান বলেন, “বর্তমানে সব ব্যাংক থেকে নতুন নোট তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে যারা জায়গার অভাবে সমস্যায় পড়ছে, তাদের নোট বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে নেবে।”
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান জানান, সাধারণত প্রতিটি ব্যাংকের শাখায় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বেশি থাকে, যা কম জায়গা নেয়। কিন্তু ঈদের আগে নতুন নোটের সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা হলেও বিতরণ বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে আগামী এপ্রিলের শেষ অথবা মে মাসের শুরুতে।
বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজ করে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এক টাকার নোট ছাপানোর মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান নোট ছাপানোর কার্যক্রম শুরু করে।
সবশেষ ২০২০ সালে নতুন নকশার ২০০ টাকার নোট চালু করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর দুটি ভিন্ন ছবি যুক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া সর্বশেষ নতুন নোট ছাপানো হয়েছিল ২০০৯ সালে, তখনকার গভর্নর ছিলেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ, যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
নতুন নোট সংরক্ষণে স্থান সংকুলান না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তা প্রত্যাহার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, “যে কোনো ব্যাংক ভল্টের জায়গা সংকটের কথা জানালে, তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে নতুন নোট তুলে নেওয়া হবে।”
প্রতি বছর দুই ঈদের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ে, যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাজারে বিতরণ করা হয়। এবছরও সেই পরিকল্পনা থাকলেও গত ১০ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখায় নতুন নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি শাখা সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকার নতুন নোট ভল্টে সংরক্ষণ করেছিল।
নতুন নোট বিতরণ বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলোর ভল্টে জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া তারা নোটগুলো লেনদেনেও ব্যবহার করতে পারছে না।
এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান বলেন, “বর্তমানে সব ব্যাংক থেকে নতুন নোট তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে যারা জায়গার অভাবে সমস্যায় পড়ছে, তাদের নোট বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে নেবে।”
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান জানান, সাধারণত প্রতিটি ব্যাংকের শাখায় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বেশি থাকে, যা কম জায়গা নেয়। কিন্তু ঈদের আগে নতুন নোটের সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা হলেও বিতরণ বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে আগামী এপ্রিলের শেষ অথবা মে মাসের শুরুতে।
বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজ করে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এক টাকার নোট ছাপানোর মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান নোট ছাপানোর কার্যক্রম শুরু করে।
সবশেষ ২০২০ সালে নতুন নকশার ২০০ টাকার নোট চালু করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর দুটি ভিন্ন ছবি যুক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া সর্বশেষ নতুন নোট ছাপানো হয়েছিল ২০০৯ সালে, তখনকার গভর্নর ছিলেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ, যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা।