ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও কার্যকর করা, আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করা, ভালো কোম্পানির জন্য গ্রিন চ্যানেল ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ বা বিএপিএলসির নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করেন সংগঠনটির নেতারা। ডিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ডিএসইর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম। আর বিএপিএলসির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী। বৈঠকে বিএপিএলসির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া সমন্বিত ডিজিটাল রিপোর্টিং পদ্ধতির অভাব রয়েছে। আবার তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করের পার্থক্যও কম। ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে এসব বিষয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। তাই বাজারের স্বার্থে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
বৈঠকে বিএপিএলসির চেয়ারম্যান রুপালী হক চৌধুরী বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিএসইর সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারকে অনেক বড় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনার চেয়ে সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করা জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেখে যদি ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনা যায় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার হবে।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারের উন্নত হয়নি। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলা পুঁজিবাজারকে সংকুচিত করে রেখেছিল। সেখান থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করারও চেষ্টা চলছে।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান প্রমুখ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও কার্যকর করা, আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করা, ভালো কোম্পানির জন্য গ্রিন চ্যানেল ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ বা বিএপিএলসির নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করেন সংগঠনটির নেতারা। ডিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ডিএসইর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম। আর বিএপিএলসির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী। বৈঠকে বিএপিএলসির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া সমন্বিত ডিজিটাল রিপোর্টিং পদ্ধতির অভাব রয়েছে। আবার তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করের পার্থক্যও কম। ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে এসব বিষয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। তাই বাজারের স্বার্থে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
বৈঠকে বিএপিএলসির চেয়ারম্যান রুপালী হক চৌধুরী বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিএসইর সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারকে অনেক বড় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনার চেয়ে সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করা জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেখে যদি ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনা যায় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার হবে।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারের উন্নত হয়নি। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলা পুঁজিবাজারকে সংকুচিত করে রেখেছিল। সেখান থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করারও চেষ্টা চলছে।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান প্রমুখ।