ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে অধিকাংশ করদাতা নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে নতুন করদাতারা নানা প্রশ্ন থাকে। অনলাইন রিটার্ন দাখিলে এরূপ কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
ই-রিটার্ন (e-Return) সিস্টেমে সাইন-ইন করার পদ্ধতি কী? অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য করদাতার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিমকার্ডসহ মোবাইল ফোন নম্বর ও টিআইএন প্রয়োজন। এরপর www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করতে “I am not registered yet” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তীতে টিআইএন ও মোবাইল ফোন নম্বর ইনপুট দিয়ে “Verifz” বাটনে ক্লিক করলে মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি যাবে, যা টাইপ করে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে এবং “Register” বাটনে ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। এরপর যে কোনো সময় টিআইএন ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সাইন-ইন করতে পারবেন। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যাবে।
সিম বায়োমেট্রিক কিনা, কী করে বুঝবেন? ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার টিআইএন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারপূর্বক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমকার্ডসহ মোবাইল ফোন নম্বর প্রয়োজন। আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি আপনার নামে নিবন্ধিত কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য *১৬০০১# ডায়াল করুন।
পাসওয়ার্ড কীভাবে সেট করবেন? পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিসেট করা সম্ভব? পাসওয়ার্ড কমপক্ষে আট ক্যারেক্টার (character) বিশিষ্ট হতে হবে। এর মধ্যে কমপক্ষে একটি করে lower case alphabet, upper case alphabet, digit (0-9) Ges special character (@, #, $, %, *, &, ! ইত্যাদি) থাকতে হবে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করলে সিস্টেম করদাতাকে গাইড করবে। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ‘Forget password’-এ ক্লিক করলে করদাতার মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে এবং পাসওয়ার্ড রিসেট করা যাবে। ই-রিটার্নের কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য কোথায় যোগাযোগ করবেন? ই-রিটার্নের যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন। কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১৭১ নম্বরে ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফোনে আয়কর কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ই-রিটার্নের যে কোনো সমস্যার উত্তর দিয়ে থাকেন। এছাড়া আয়কর সেবা মাসে প্রতিটি কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়।
মোবাইল ফোনে কি ই-রিটার্ন তৈরি করা যাবে? ই-রিটার্ন সিস্টেমকে সহজ ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি করার জন্য অনেক ফিচার দেওয়া আছে, যার অনেকগুলো মোবাইল ডিভাইসে পাওয়া যাবে না। তাই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে এই সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পর সাপোর্টিং কাগজপত্র কীভাবে সংযুক্ত করবেন? অনলাইন রিটার্ন দাখিলে কোনো ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে না। করদাতাকে দরকারি কাগজপত্র সাথে নিয়ে বসতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফিল্ডগুলোতে নির্ভুলভাবে এন্ট্রি দিতে হবে। অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করার সাথে সাথে সিস্টেমে অ্যাসেসমেন্ট হয়ে যাবে এবং করদাতা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement slip) পেয়ে যাবেন। ট্যাক্স সার্টিফিকেটও সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়ে যাবে।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পর পুনরায় কি সার্কেলে রিটার্ন বা কোনো প্রমাণ দাখিল করতে হবে? অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার পর পুনরায় সার্কেলে রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন নেই। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার সাথে সাথেই আপনার কর নির্ধারণ (অ্যাসেসমেন্ট) সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ই-রিটার্নে আয়কর রিটার্ন জমা প্রদানের সুবিধা কী? ই-রিটার্ন সিস্টেমে রিটার্ন জমা দেওয়া হলে করদাতা তাৎক্ষণিক নিম্নউক্ত সুবিধা পাবেন- ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। আয়কর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। টিআইএন সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করতে পারবেন। রিটার্ন ও ট্যাক্স সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করতে পারবেন। রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে Acknowledgement slip ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে পরিশোধিত করের চালান ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছরগুলোতে কোনো রিটার্ন দাখিল করা হয়ে থাকলে তার রেকর্ড প্রিন্টের সুবিধা পাওয়া যাবে।
২০২৫-২০২৬ কর বছরে কার জন্য e-Return দাখিল বাধ্যতামূলক? ২০২৫-২০২৬ কর বছরে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তবে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী করদাতা এবং মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধির রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।
অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল হয়ে থাকলে কীভাবে সংশোধন করবেন? অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল হয়ে থাকলে দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে আপনাকে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে সংশোধিত রিটার্ন একবার দাখিল করা যাবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে অধিকাংশ করদাতা নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে নতুন করদাতারা নানা প্রশ্ন থাকে। অনলাইন রিটার্ন দাখিলে এরূপ কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
ই-রিটার্ন (e-Return) সিস্টেমে সাইন-ইন করার পদ্ধতি কী? অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য করদাতার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিমকার্ডসহ মোবাইল ফোন নম্বর ও টিআইএন প্রয়োজন। এরপর www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করতে “I am not registered yet” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তীতে টিআইএন ও মোবাইল ফোন নম্বর ইনপুট দিয়ে “Verifz” বাটনে ক্লিক করলে মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি যাবে, যা টাইপ করে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে এবং “Register” বাটনে ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। এরপর যে কোনো সময় টিআইএন ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সাইন-ইন করতে পারবেন। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যাবে।
সিম বায়োমেট্রিক কিনা, কী করে বুঝবেন? ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার টিআইএন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারপূর্বক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমকার্ডসহ মোবাইল ফোন নম্বর প্রয়োজন। আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি আপনার নামে নিবন্ধিত কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য *১৬০০১# ডায়াল করুন।
পাসওয়ার্ড কীভাবে সেট করবেন? পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিসেট করা সম্ভব? পাসওয়ার্ড কমপক্ষে আট ক্যারেক্টার (character) বিশিষ্ট হতে হবে। এর মধ্যে কমপক্ষে একটি করে lower case alphabet, upper case alphabet, digit (0-9) Ges special character (@, #, $, %, *, &, ! ইত্যাদি) থাকতে হবে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করলে সিস্টেম করদাতাকে গাইড করবে। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ‘Forget password’-এ ক্লিক করলে করদাতার মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে এবং পাসওয়ার্ড রিসেট করা যাবে। ই-রিটার্নের কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য কোথায় যোগাযোগ করবেন? ই-রিটার্নের যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন। কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১৭১ নম্বরে ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফোনে আয়কর কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ই-রিটার্নের যে কোনো সমস্যার উত্তর দিয়ে থাকেন। এছাড়া আয়কর সেবা মাসে প্রতিটি কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়।
মোবাইল ফোনে কি ই-রিটার্ন তৈরি করা যাবে? ই-রিটার্ন সিস্টেমকে সহজ ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি করার জন্য অনেক ফিচার দেওয়া আছে, যার অনেকগুলো মোবাইল ডিভাইসে পাওয়া যাবে না। তাই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে এই সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পর সাপোর্টিং কাগজপত্র কীভাবে সংযুক্ত করবেন? অনলাইন রিটার্ন দাখিলে কোনো ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে না। করদাতাকে দরকারি কাগজপত্র সাথে নিয়ে বসতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফিল্ডগুলোতে নির্ভুলভাবে এন্ট্রি দিতে হবে। অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করার সাথে সাথে সিস্টেমে অ্যাসেসমেন্ট হয়ে যাবে এবং করদাতা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement slip) পেয়ে যাবেন। ট্যাক্স সার্টিফিকেটও সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়ে যাবে।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পর পুনরায় কি সার্কেলে রিটার্ন বা কোনো প্রমাণ দাখিল করতে হবে? অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার পর পুনরায় সার্কেলে রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন নেই। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার সাথে সাথেই আপনার কর নির্ধারণ (অ্যাসেসমেন্ট) সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ই-রিটার্নে আয়কর রিটার্ন জমা প্রদানের সুবিধা কী? ই-রিটার্ন সিস্টেমে রিটার্ন জমা দেওয়া হলে করদাতা তাৎক্ষণিক নিম্নউক্ত সুবিধা পাবেন- ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। আয়কর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। টিআইএন সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করতে পারবেন। রিটার্ন ও ট্যাক্স সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করতে পারবেন। রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে Acknowledgement slip ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে পরিশোধিত করের চালান ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন। এই সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছরগুলোতে কোনো রিটার্ন দাখিল করা হয়ে থাকলে তার রেকর্ড প্রিন্টের সুবিধা পাওয়া যাবে।
২০২৫-২০২৬ কর বছরে কার জন্য e-Return দাখিল বাধ্যতামূলক? ২০২৫-২০২৬ কর বছরে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তবে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী করদাতা এবং মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধির রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।
অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল হয়ে থাকলে কীভাবে সংশোধন করবেন? অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল হয়ে থাকলে দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে আপনাকে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে সংশোধিত রিটার্ন একবার দাখিল করা যাবে।