alt

ভারতে ১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে গত সোমবার পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার কেজি ইলিশ। এই ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বা প্রায় ২০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ ২১টি প্রতিষ্ঠান সোমবার পর্যন্ত কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। এই দুটি স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর ইলিশ রপ্তানি হওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে ২০১৯ সালে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ওই বছর চার লাখ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। রপ্তানি আয় হয় ৩৯ লাখ ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা। গত সাত বছরে সবচেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই বছর ১৭ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয় এক কোটি ৩৪ লাখ ডলার বা ১৩৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এবারই ভারতে সবচেয়ে কম ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।

এ বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের একটি চট্টগ্রামের কালুরঘাটের প্যাসিফিক সি ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি ৪০ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। তবে সিংহভাগই রপ্তানি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

প্যাসিফিক সি ফুডসের পরিচালক আবদুল মান্নান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমতে পারে এমন আশায় ছিলাম আমরা। তবে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমেনি। ফলে মাত্র দেড় হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছি আমরা। তাতেও লোকসান হয়েছে। দাম বেশি থাকায় আর রপ্তানি করছি না।’

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করে ভারত। দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পরিমাণে ইলিশ আমদানি করে মিয়ানমার থেকে। যেমন ২৪-২৫ অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) দেশটি মিয়ানমার থেকে সাড়ে ছয় লাখ কেজি ইলিশ আমদানি করেছে।

গড়ে ভারতের আমদানিমূল্য ছিল ছয় ডলার ২৩ সেন্ট। অন্যদিকে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার কেজি ইলিশ। গড় আমদানিমূল্য ছিল ১০ ডলার ৯৩ সেন্ট।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার সাড়ে ১২ ডলার বা এক হাজার ৫৩২ টাকা দরে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বেঁধে দিয়েছে। এর মানে হলো, এর চেয়ে কমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না। তবে চাইলেই বেশি দামে রপ্তানি করা যাবে।

এনবিআরের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম মূল্যে ইলিশ রপ্তানি হয়ে আসছে। ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইলিশ রপ্তানির নজির খুব কম।

যেমন এ বছর রপ্তানি হওয়া ৪৫টি চালানের মধ্যে ৪৪টি চালানের ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য, অর্থাৎ সাড়ে ১২ ডলারে। শুধু একটি চালান ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে রপ্তানি হয়েছে। এই চালানটি রপ্তানি করেছে ভোলার চরফ্যাশনের রাফিদ এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি ৪২০ কেজি ইলিশ কেজিপ্রতি ১৩ ডলার ৬০ সেন্ট করে রপ্তানি করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এবং এনবিআরের রপ্তানির হিসাব তুলনা করে দেখা গেছে, প্রতিবারই যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়, বাস্তবে রপ্তানি হয় খুব কম। যেমন গত বছর ২৪ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও বাস্তবে রপ্তানি হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার কেজি ইলিশ। অর্থাৎ অনুমতির ২৩ শতাংশ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এবারও এখন পর্যন্ত অনুমতির ১১ শতাংশ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

ছবি

প্রবাসী আয় বাড়াতে দরকার প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ

ছবি

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি

ছবি

মালয়েশিয়ায় মিহাস মেলা, রিমার্কের হালাল পণ্যে ২১ দেশের ১১৮ প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ

ছবি

মাসব্যাপী শেল্টেক্ আবাসন মেলা চলছে

ছবি

হুন্দাই গাড়িতে ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকেরা

ছবি

সিটি ব্যাংককে সাড়ে ৭ কোটি ডলার দিচ্ছে দুই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংক

ছবি

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, করদাতাদের যা জানা দরকার

ছবি

স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায়

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হবে বর্ধিত ট্যারিফ

ছবি

টেকসই উন্নয়নে এনভয় টেক্সটাইলকে ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

৯ মাসে পুঁজিবাজার বিমুখ ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার নিয়ম সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

ডিএসই পরিচালক বললেন, অর্থপাচার রোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

ছবি

ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ শতাংশ

ছবি

মার্কিন শাটডাউন: ডলারের দর ২২ বছরে সর্বোচ্চ বার্ষিক পতনের পথে

ছবি

ব্যবসা মন্দা, রাজস্বে ঘাটতি চাপ বাড়াবে আইএমএফ

ছবি

পনের বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের রেকর্ড ও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ

ছবি

এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু

ছবি

ডিসেম্বরে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত, মতামত দিতে পারবেন নাগরিকেরা

ছবি

কর্মানুমতির বিপরীতে নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল

ছবি

ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র বাধ্যতামূলক

ছবি

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল

ছবি

বাংলাদেশ সফরে টেলিনর সিইও

ছবি

ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা ব্যবসা-বিনিয়োগে

ছবি

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ বাড়লো

ছবি

২ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত

ছবি

৬৩ কোটি টাকা মুনাফা ইবনে সিনার, বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২০ কোটি

ছবি

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক বিএলএফসিএ নেতাদের

ছবি

৫২ হাজার টন গম নিয়ে রুশ জাহাজ কুতুবদিয়ায় ভিড়লো

ছবি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফিরবে: উপদেষ্টা

ছবি

দেশের ইস্ট ইন্ডিয়াকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে: ফরাসউদ্দিন

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৬৯৬ কোটি টাকা

tab

ভারতে ১৪ দিনে ২০ কোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে গত সোমবার পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার কেজি ইলিশ। এই ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বা প্রায় ২০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানি করেছে। অর্থাৎ ২১টি প্রতিষ্ঠান সোমবার পর্যন্ত কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। এই দুটি স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর ইলিশ রপ্তানি হওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে ২০১৯ সালে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ওই বছর চার লাখ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। রপ্তানি আয় হয় ৩৯ লাখ ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা। গত সাত বছরে সবচেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই বছর ১৭ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয় এক কোটি ৩৪ লাখ ডলার বা ১৩৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এবারই ভারতে সবচেয়ে কম ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।

এ বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের একটি চট্টগ্রামের কালুরঘাটের প্যাসিফিক সি ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি ৪০ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। তবে সিংহভাগই রপ্তানি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

প্যাসিফিক সি ফুডসের পরিচালক আবদুল মান্নান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমতে পারে এমন আশায় ছিলাম আমরা। তবে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কমেনি। ফলে মাত্র দেড় হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছি আমরা। তাতেও লোকসান হয়েছে। দাম বেশি থাকায় আর রপ্তানি করছি না।’

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করে ভারত। দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পরিমাণে ইলিশ আমদানি করে মিয়ানমার থেকে। যেমন ২৪-২৫ অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) দেশটি মিয়ানমার থেকে সাড়ে ছয় লাখ কেজি ইলিশ আমদানি করেছে।

গড়ে ভারতের আমদানিমূল্য ছিল ছয় ডলার ২৩ সেন্ট। অন্যদিকে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার কেজি ইলিশ। গড় আমদানিমূল্য ছিল ১০ ডলার ৯৩ সেন্ট।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার সাড়ে ১২ ডলার বা এক হাজার ৫৩২ টাকা দরে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বেঁধে দিয়েছে। এর মানে হলো, এর চেয়ে কমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না। তবে চাইলেই বেশি দামে রপ্তানি করা যাবে।

এনবিআরের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম মূল্যে ইলিশ রপ্তানি হয়ে আসছে। ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইলিশ রপ্তানির নজির খুব কম।

যেমন এ বছর রপ্তানি হওয়া ৪৫টি চালানের মধ্যে ৪৪টি চালানের ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য, অর্থাৎ সাড়ে ১২ ডলারে। শুধু একটি চালান ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের চেয়ে বেশি দামে রপ্তানি হয়েছে। এই চালানটি রপ্তানি করেছে ভোলার চরফ্যাশনের রাফিদ এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি ৪২০ কেজি ইলিশ কেজিপ্রতি ১৩ ডলার ৬০ সেন্ট করে রপ্তানি করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এবং এনবিআরের রপ্তানির হিসাব তুলনা করে দেখা গেছে, প্রতিবারই যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়, বাস্তবে রপ্তানি হয় খুব কম। যেমন গত বছর ২৪ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও বাস্তবে রপ্তানি হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার কেজি ইলিশ। অর্থাৎ অনুমতির ২৩ শতাংশ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এবারও এখন পর্যন্ত অনুমতির ১১ শতাংশ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

back to top