alt

চার মাস ধরে সবজি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, কিছুটা ঝাঁজ কমেছে মরিচে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

চার মাস ধরে রাজধানীর বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা ‘সবজির মৌসুম নয়’ বা ‘বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে’ এসব ধরনের নানা অজুহাত দেখিয়ে দাম কমাচ্ছে না। বর্তমানে পেঁপে ছাড়া সব সবজির দাম ৮০-১০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। ক্রেতারা বাড়তি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাড়তি দামের কারণে স্বল্প আয়ের অনেক পরিবার এখন কম সবজি কিনছেন। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মসুর ডালের দাম

প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা

অদৃশ্য কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস

একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা

শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (ছোট) প্রতি পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি পিস ১৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দামের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিটি সবজির দাম ৮০-১০০ টাকার ঘরে, আবার কিছু কিছু সবজি তার চেয়েও বেশি দাম। বিগত চার মাস ধরে অতিরিক্ত বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। এত বেশি দামে সবজি কিনতে পারছে না সাধারণ ক্রেতারা। আগে যেখানে এক কেজি সবজি কিনতাম এখন অতিরিক্ত বেশি দাম হওয়ার কারণে আধা কেজি সবজি কিনছি।’

অন্যদিকে সবজির দাম বৃদ্ধি বিষয়ে মগবাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে খেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাবে আরও কিছুটা দাম বেড়েছে সবজির। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় সেই সবজিগুলোর দাম বাড়তে যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই নতুন সবজি উঠতে শুরু করবে, তখন থেকে সবজির দাম কমে যাবে।’

এদিকে কিছুদিন ধরে কাঁচামরিচের দাম হু হু করে বাড়ছিল। সেই কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে তা ৩৫০ টাকার ওপরে ছিল।

অন্যদিকে, খুচরা বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম এখন ১৫৫-১৬০ টাকা। এই দাম ছোট দানার অর্থাৎ সরু মসুর ডালের। গত দেড় মাস আগে বাজার থেকে এই ডাল কেনা যেত ১৩৫-১৪০ টাকায় অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মসুর ডালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে খুচরা বাজারে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে।

এদিকে, বাজারে মাছ-মাংসের দাম আগের মতো চড়া দামে আটকে আছে। সরজমিনে দেখা গেছে, আজকের বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, যা গত এক মাস আগেও ছিল ১৬০-১৭০ টাকার মধ্যে। দেশি মুরগির দাম ৫০০-৫৫০ টাকার নিচে নেই। জনপ্রিয় মাছ যেমন রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও চিংড়ির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, ‘অদৃশ্য এক সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দামের বিশাল ব্যবধান তৈরি করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করছে।’

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বাজার মনিটরিং দুর্বল হয়ে পড়ায় এই ‘অদৃশ্য সিন্ডিকেট’ দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাইকারি-খুচরা দামের ব্যবধান কমাতে না পারলে নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে না। বাজারে এসে ক্রেতারা বলছেন, গরু-খাসির মাংস অনেক আগেই নাগালের বাইরে গেছে। এখন মুরগি ও মাছও বিলাসী খাবারের তালিকায় ঢুকছে।

খুচরা বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির দায় নিচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, পাইকারি পর্যায়েই প্রতিদিন দাম ওঠানামা করছে। খামারিরা ফিড, পরিবহন খরচ ও উৎপাদন ব্যয় বাড়ানোর অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন, ফলে খুচরা বিক্রেতাদেরও বাধ্য হয়ে সেই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে এ সিন্ডিকেট।

ছবি

হালাল শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত ইকোসিস্টেম জরুরী: ডিসিসিআই

ছবি

কাগজের টাকা ছাপাতেই বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিএসইতে বাজার মূলধন কমলো প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা

ছবি

৬০০ গ্রেড রডে নির্মাণকাজ ব্যয়সাশ্রয়ী ও টেকসই হয়, গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

ছবি

চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় কমছে বিটকয়েনের দাম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৭ উন্মোচন

ছবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ

ছবি

সাম্প্রতিক ধাক্কা সামলানো গেলেও আগামী দিনগুলো আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ

ছবি

স্কুল ফিডিংয়ে ডিম যুক্ত করতে হবে: ফরিদা আখতার

ছবি

মেঘনা ব্যাংকের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদান করেছেন

ছবি

মিউচুয়াল ফান্ডের প্রস্তাবিত বিধিমালায় জনমত আহ্বান

ছবি

এসএমই খাতে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার

সংকটাপন্ন পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

ছবি

এনবিআরের সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক চালু

ছবি

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা পেছানোর দাবি

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবি

ছবি

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা শোনে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন

ছবি

ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

১০ জন শ্রমিকে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের বিধান চায় স্কপ

ছবি

এআই ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমবাজারে ৭ শতাংশ চাকরি ঝুঁকির মুখে

ছবি

বিজনেস সামিট: তথ্যপ্রযুক্তি-জ্বালানিসহ ৫ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

ছবি

বাজারে এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ লেনেভো ব্র্যান্ডের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

বাজারে আসছে এআই পার্টি ফোন রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

চীন থেকে ২০টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মন্তব্যে অনাগ্রহ অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি, এটি কমানো সম্ভব: গভর্নর

ছবি

ব্যাংক একীভূত হলে সবার আগে ২ লাখ টাকার কম আমানত ফেরত

ছবি

তিন দেশ থেকে ১৮৪৭ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

ছবি

রেমিট্যান্সে করারোপের পরামর্শ আইএমএফের, পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

ট্রাম্প শুল্কে রপ্তানি আয়ে চাপ, টানা ২ মাসে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি

ছবি

সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে

tab

চার মাস ধরে সবজি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, কিছুটা ঝাঁজ কমেছে মরিচে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

চার মাস ধরে রাজধানীর বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা ‘সবজির মৌসুম নয়’ বা ‘বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে’ এসব ধরনের নানা অজুহাত দেখিয়ে দাম কমাচ্ছে না। বর্তমানে পেঁপে ছাড়া সব সবজির দাম ৮০-১০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। ক্রেতারা বাড়তি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাড়তি দামের কারণে স্বল্প আয়ের অনেক পরিবার এখন কম সবজি কিনছেন। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মসুর ডালের দাম

প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা

অদৃশ্য কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস

একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা

শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি (ছোট) প্রতি পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি পিস ১৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দামের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিটি সবজির দাম ৮০-১০০ টাকার ঘরে, আবার কিছু কিছু সবজি তার চেয়েও বেশি দাম। বিগত চার মাস ধরে অতিরিক্ত বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। এত বেশি দামে সবজি কিনতে পারছে না সাধারণ ক্রেতারা। আগে যেখানে এক কেজি সবজি কিনতাম এখন অতিরিক্ত বেশি দাম হওয়ার কারণে আধা কেজি সবজি কিনছি।’

অন্যদিকে সবজির দাম বৃদ্ধি বিষয়ে মগবাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে খেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাবে আরও কিছুটা দাম বেড়েছে সবজির। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় সেই সবজিগুলোর দাম বাড়তে যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই নতুন সবজি উঠতে শুরু করবে, তখন থেকে সবজির দাম কমে যাবে।’

এদিকে কিছুদিন ধরে কাঁচামরিচের দাম হু হু করে বাড়ছিল। সেই কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে তা ৩৫০ টাকার ওপরে ছিল।

অন্যদিকে, খুচরা বাজারে এক কেজি মসুর ডালের দাম এখন ১৫৫-১৬০ টাকা। এই দাম ছোট দানার অর্থাৎ সরু মসুর ডালের। গত দেড় মাস আগে বাজার থেকে এই ডাল কেনা যেত ১৩৫-১৪০ টাকায় অর্থাৎ দেড় মাসের ব্যবধানে ছোট দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মসুর ডালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে খুচরা বাজারে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে।

এদিকে, বাজারে মাছ-মাংসের দাম আগের মতো চড়া দামে আটকে আছে। সরজমিনে দেখা গেছে, আজকের বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, যা গত এক মাস আগেও ছিল ১৬০-১৭০ টাকার মধ্যে। দেশি মুরগির দাম ৫০০-৫৫০ টাকার নিচে নেই। জনপ্রিয় মাছ যেমন রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও চিংড়ির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, ‘অদৃশ্য এক সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দামের বিশাল ব্যবধান তৈরি করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করছে।’

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বাজার মনিটরিং দুর্বল হয়ে পড়ায় এই ‘অদৃশ্য সিন্ডিকেট’ দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাইকারি-খুচরা দামের ব্যবধান কমাতে না পারলে নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে না। বাজারে এসে ক্রেতারা বলছেন, গরু-খাসির মাংস অনেক আগেই নাগালের বাইরে গেছে। এখন মুরগি ও মাছও বিলাসী খাবারের তালিকায় ঢুকছে।

খুচরা বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির দায় নিচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, পাইকারি পর্যায়েই প্রতিদিন দাম ওঠানামা করছে। খামারিরা ফিড, পরিবহন খরচ ও উৎপাদন ব্যয় বাড়ানোর অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন, ফলে খুচরা বিক্রেতাদেরও বাধ্য হয়ে সেই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে এ সিন্ডিকেট।

back to top