বাজারমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম শুক্রবার আবার কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণার জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিটকয়েন ১ লাখ ০৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নামার পর দাম ওঠানামা করতে থাকে। কখনো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। কখনো আবার সাময়িকভাবে ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়।
শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চীনা রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। পাশাপাশি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ‘যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার’ রপ্তানির ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এর আগে চীন দুর্লভ খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। তার জেরেই মূলত ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধের পালে হাওয়া দেন।
এই সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেয়ার সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দুই শতাংশের বেশি পড়ে যায়। বিটকয়েনের দাম অনুযায়ী ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১ লাখ ০৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নেমে আসে। অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়ামের দাম একই সময়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৬৩৭ ডলারে নেমে আসে।
গতকাল শুক্রবার বিটকয়েন ১ লাখ ০৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নামার পর দাম ওঠানামা করতে থাকে। কখনো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। কখনো আবার সাময়িকভাবে ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। এক দিনে বিটকয়েনের দাম সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে বিটকয়েনের বাজার মূলধন কমে ২ দশমিক ২৩ লাখ কোটি ডলারের নেমে আসে। এই ধসের সময় শেয়ারবাজারেও ব্যাপক বিক্রির চাপ সৃষ্টি হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে বিনিয়োগকারীদের সরে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট হয়।
অথচ কিছুদিন আগেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও স্পট বিটকয়েন ইটিএফের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিটকয়েনের দাম রেকর্ড ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের ওপরে উঠে যায়। কিন্তু আকস্মিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও নতুন বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ—বিশেষ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি- থেকে দ্রুত সরে যেতে বাধ্য করে। ইথেরিয়াম ও এক্সআরপির মতো বিকল্প ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলোর দামও ২ থেকে ৫ শতাংশ কমে যায়।
দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে দেওয়া এক নির্বাহী আদেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ক্রিপ্টো কারেন্সির কৌশলগত রিজার্ভ’ গঠনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ক্রিপ্টোবান্ধব একাধিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যেমন এসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পল অ্যাটকিনস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতের সম্রাট-খ্যাত ডেভিড স্যাক্সকে হোয়াইট হাউসে নিয়োগ দেওয়া। খবর ইকোনমিক টাইমস
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো খাতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেমন স্টেবলকয়েন নিয়মাবলির অনুমোদন ও মার্কিন সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নিয়মাবলি সংস্কার। ফলে সামগ্রিকভাবে এ বছর বিটকয়েনের দাম বেড়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব এতদিন সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বিটকয়েনের দাম পড়ছেই।
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
বাজারমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম শুক্রবার আবার কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণার জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিটকয়েন ১ লাখ ০৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নামার পর দাম ওঠানামা করতে থাকে। কখনো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। কখনো আবার সাময়িকভাবে ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়।
শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চীনা রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। পাশাপাশি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ‘যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার’ রপ্তানির ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এর আগে চীন দুর্লভ খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। তার জেরেই মূলত ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধের পালে হাওয়া দেন।
এই সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেয়ার সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দুই শতাংশের বেশি পড়ে যায়। বিটকয়েনের দাম অনুযায়ী ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১ লাখ ০৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নেমে আসে। অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়ামের দাম একই সময়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৬৩৭ ডলারে নেমে আসে।
গতকাল শুক্রবার বিটকয়েন ১ লাখ ০৪ হাজার ৭৮২ ডলারে নামার পর দাম ওঠানামা করতে থাকে। কখনো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। কখনো আবার সাময়িকভাবে ১ লাখ ৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে যায়। বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। এক দিনে বিটকয়েনের দাম সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে বিটকয়েনের বাজার মূলধন কমে ২ দশমিক ২৩ লাখ কোটি ডলারের নেমে আসে। এই ধসের সময় শেয়ারবাজারেও ব্যাপক বিক্রির চাপ সৃষ্টি হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে বিনিয়োগকারীদের সরে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট হয়।
অথচ কিছুদিন আগেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও স্পট বিটকয়েন ইটিএফের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিটকয়েনের দাম রেকর্ড ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের ওপরে উঠে যায়। কিন্তু আকস্মিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও নতুন বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ—বিশেষ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি- থেকে দ্রুত সরে যেতে বাধ্য করে। ইথেরিয়াম ও এক্সআরপির মতো বিকল্প ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলোর দামও ২ থেকে ৫ শতাংশ কমে যায়।
দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে দেওয়া এক নির্বাহী আদেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ক্রিপ্টো কারেন্সির কৌশলগত রিজার্ভ’ গঠনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ক্রিপ্টোবান্ধব একাধিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যেমন এসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পল অ্যাটকিনস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতের সম্রাট-খ্যাত ডেভিড স্যাক্সকে হোয়াইট হাউসে নিয়োগ দেওয়া। খবর ইকোনমিক টাইমস
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো খাতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেমন স্টেবলকয়েন নিয়মাবলির অনুমোদন ও মার্কিন সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নিয়মাবলি সংস্কার। ফলে সামগ্রিকভাবে এ বছর বিটকয়েনের দাম বেড়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব এতদিন সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বিটকয়েনের দাম পড়ছেই।