দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (৫-৯ অক্টোবর) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো সূচক ২ শতাংশের বেশি কমেছে। তবে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। আর ডিএসইর বাজার মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৭৯টির। বিপরীতে কমেছে ২৯৮টির। আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এই বড় সংখ্যক শেয়ার ও ইউনিটে দরপতন হওয়ায় গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছ, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৭৯টির। বিপরীতে কমেছে ২৯৮টির। আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এই বড় সংখ্যক শেয়ার ও ইউনিটে দরপতন হওয়ায় গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৮২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে।
আলোচিত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৬২০ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেড়েছে। এই সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হলেও আগের সপ্তাহে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দুই কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে যা হয়েছিল ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার শেষে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবগুলো মূল্যসূচক কমে যাওয়ার পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। তবে এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই প্রায় ১ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ৩২১টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টি, কমেছে ১৯৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর। এক্সচেঞ্জটিতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহের তিনি কার্যদিবসেও লেনদেন হয়েছিল ৪২ কোটি টাকা টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.২৭ শতাংশ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৯৬ শতাংশ। লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে রূপালী লাইফ। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৮৮ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে সামিট অ্যালায়েন্সের ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সে ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, প্রগতি লাইফের ১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ডমিনেজ স্টিলের ১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, রবি আজিয়াটার ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাষ্ট্রিজের ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
গত সপ্তাহে ডিএসইকে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পিপলস লিজিংয়ের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর কমেছে ১০ পয়সা বা ১৫.৩৮ শতাংশ। সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১৪.৮১ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ইনটেকের দর কমেছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৩.৭৪ শতাংশ। এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিআইএফসির ১৩.৫১ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১২.৭১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ১২.৫০ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ১২.১২ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১২ শতাংশ, বিবিএস কেবলসের ১১.১৭ শতাংশ এবং ইসলামী ফাইন্যান্সের ১১.১১ শতাংশ দর কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.৬৮ শতাংশ দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ৩৩ টাকা বা ১৮.৫৫ শতাংশ।
আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা রিলায়েন্স-১ মিউচুয়াল ফান্ডের ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৭.৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে। এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৪৭ শতাংশ, সেনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩.৫৪ শতাংশ, গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ১২.৮০ শতাংশ, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১১.৯৩ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১.৫৪ শতাংশ এবং ডমিনেজ স্টিলের ১৮.৭৩ শতাংশ।
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (৫-৯ অক্টোবর) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো সূচক ২ শতাংশের বেশি কমেছে। তবে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। আর ডিএসইর বাজার মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৭৯টির। বিপরীতে কমেছে ২৯৮টির। আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এই বড় সংখ্যক শেয়ার ও ইউনিটে দরপতন হওয়ায় গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছ, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৭৯টির। বিপরীতে কমেছে ২৯৮টির। আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এই বড় সংখ্যক শেয়ার ও ইউনিটে দরপতন হওয়ায় গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৮২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে।
আলোচিত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৬২০ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেড়েছে। এই সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হলেও আগের সপ্তাহে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দুই কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে যা হয়েছিল ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার শেষে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবগুলো মূল্যসূচক কমে যাওয়ার পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। তবে এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই প্রায় ১ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ৩২১টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টি, কমেছে ১৯৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর। এক্সচেঞ্জটিতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহের তিনি কার্যদিবসেও লেনদেন হয়েছিল ৪২ কোটি টাকা টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.২৭ শতাংশ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৯৬ শতাংশ। লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে রূপালী লাইফ। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৮৮ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে সামিট অ্যালায়েন্সের ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সে ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, প্রগতি লাইফের ১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ডমিনেজ স্টিলের ১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, রবি আজিয়াটার ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাষ্ট্রিজের ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
গত সপ্তাহে ডিএসইকে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পিপলস লিজিংয়ের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর কমেছে ১০ পয়সা বা ১৫.৩৮ শতাংশ। সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১৪.৮১ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ইনটেকের দর কমেছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৩.৭৪ শতাংশ। এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিআইএফসির ১৩.৫১ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১২.৭১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ১২.৫০ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ১২.১২ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১২ শতাংশ, বিবিএস কেবলসের ১১.১৭ শতাংশ এবং ইসলামী ফাইন্যান্সের ১১.১১ শতাংশ দর কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ২০.৬৮ শতাংশ দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ৩৩ টাকা বা ১৮.৫৫ শতাংশ।
আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা রিলায়েন্স-১ মিউচুয়াল ফান্ডের ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৭.৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে। এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৪৭ শতাংশ, সেনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩.৫৪ শতাংশ, গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ১২.৮০ শতাংশ, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১১.৯৩ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১.৫৪ শতাংশ এবং ডমিনেজ স্টিলের ১৮.৭৩ শতাংশ।