দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন যেকটি শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, তার চেয়ে ৭ গুণ সংখ্যকের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক একদিনেই প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। এর মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স রোববার তিন মাস আগের অবস্থানে নেমেছে। তবে এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির। বিপরীতে কমেছে ৩১১টির। আর ৩৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দর কমা সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৭৫টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৭০টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬৬টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ডিএসইএক্স সূচকটি আজকের চেয়ে কম ছিল গত ২০ জুন। ওইদিন সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১১৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারে এত বড় কারেকশন হওয়ার প্রধান কারণ পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ সিদ্ধান্ত। সরকার ওই পাঁচ ব্যাংকে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধনের যোগান দেবে। এতে মূল্যস্ফীতি সামনে আরো বাড়তে পারে, যার প্রভাব পুঁজিবাজারেও আসবে। তাছাড়া ওই পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এতে বড় একটি শ্রেণি আতঙ্কিত হয়ে শেয়ারে বিক্রি চাপ বাড়াচ্ছেন। এর বাইরে জুন ক্লোজিং অনেকগুলো কোম্পানি ভালো মুনাফা তুলতে পারেনি। ফলে ওইসব কোম্পানির শেয়ারেও বিক্রির চাপ বাড়ছে। এসব কারণে কয়েকদিন ধরে বাজারে বড় কারেকশন হচ্ছে।’
এদিক রোববার ডিএসইতে মোট ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩০ কোটি ১৮ লাখ লাখ টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল বাবদ লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
রোববার ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি পিএলসির শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজকের লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এতে দ্বিতীয় বৃহত্তর এই পুঁজিবাজারের সবগুলো মূল্য সূচকে পতন হওয়ার পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির সার্বিক লেনদেন পরিমাণও কমেছে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৮৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর সিএসসিএক্স সূচকটি ১১২ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৭ পয়েন্টে নেমেছে।
সিএসইতে মোট ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১৪৭টির। আর ১৫টির দর দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল। আজ এক্সচেঞ্জটিতে সার্বিক লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। রোববার ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছিল।
বাজারে সাম্প্রতিক সময়ের এই বড় কারেকশনের কারণ হিসেবে পাঁচ ব্যাংকের একীভূত সিদ্ধান্তের কথা জানান ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুলও। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি পরিষ্কার না করে পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় পুরো বাজারে একটি নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। এটি বাজারকে সামগ্রিকভাবে পতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আমরা এই মার্জার প্রক্রিয়ায় ডিবিএকে সঙ্গে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিগগির বাজার তার নিজস্ব গতিতে ফিরবে বলে আমরা আশাবাদী।’
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন যেকটি শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, তার চেয়ে ৭ গুণ সংখ্যকের দরপতন হয়েছে। এতে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক একদিনেই প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। এর মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স রোববার তিন মাস আগের অবস্থানে নেমেছে। তবে এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির। বিপরীতে কমেছে ৩১১টির। আর ৩৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দর কমা সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৭৫টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৭০টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬৬টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ডিএসইএক্স সূচকটি আজকের চেয়ে কম ছিল গত ২০ জুন। ওইদিন সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১১৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজারে এত বড় কারেকশন হওয়ার প্রধান কারণ পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ সিদ্ধান্ত। সরকার ওই পাঁচ ব্যাংকে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধনের যোগান দেবে। এতে মূল্যস্ফীতি সামনে আরো বাড়তে পারে, যার প্রভাব পুঁজিবাজারেও আসবে। তাছাড়া ওই পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এতে বড় একটি শ্রেণি আতঙ্কিত হয়ে শেয়ারে বিক্রি চাপ বাড়াচ্ছেন। এর বাইরে জুন ক্লোজিং অনেকগুলো কোম্পানি ভালো মুনাফা তুলতে পারেনি। ফলে ওইসব কোম্পানির শেয়ারেও বিক্রির চাপ বাড়ছে। এসব কারণে কয়েকদিন ধরে বাজারে বড় কারেকশন হচ্ছে।’
এদিক রোববার ডিএসইতে মোট ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩০ কোটি ১৮ লাখ লাখ টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল বাবদ লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
রোববার ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি পিএলসির শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজকের লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এতে দ্বিতীয় বৃহত্তর এই পুঁজিবাজারের সবগুলো মূল্য সূচকে পতন হওয়ার পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির সার্বিক লেনদেন পরিমাণও কমেছে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৮৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আর সিএসসিএক্স সূচকটি ১১২ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৭ পয়েন্টে নেমেছে।
সিএসইতে মোট ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১৪৭টির। আর ১৫টির দর দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল। আজ এক্সচেঞ্জটিতে সার্বিক লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। রোববার ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছিল।
বাজারে সাম্প্রতিক সময়ের এই বড় কারেকশনের কারণ হিসেবে পাঁচ ব্যাংকের একীভূত সিদ্ধান্তের কথা জানান ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুলও। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি পরিষ্কার না করে পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় পুরো বাজারে একটি নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। এটি বাজারকে সামগ্রিকভাবে পতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আমরা এই মার্জার প্রক্রিয়ায় ডিবিএকে সঙ্গে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিগগির বাজার তার নিজস্ব গতিতে ফিরবে বলে আমরা আশাবাদী।’