প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে টেকসই প্রবৃদ্ধির অর্জনের পথ দেখিয়ে অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন তিন গবেষক। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার, (১৩ অক্টোবর ২০২৫) অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে জোয়েল মোকিয়ার, ফিলিপ অ্যাঁগিও, পিটার হাওইটের নাম ঘোষণা করে। পুরস্কারের এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।
পুরস্কারের এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা
প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠিত হয় এবং কীভাবে তা সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, সেই গবেষণার জন্য গতবছর তিন অর্থনীতিবিদ ডেরন আসেমোগ্লু, সাইমন জনসন ও জেমস এ রবিনসনকে অর্থনীতির নোবেল দেয়া হয়।
এ বছর পুরস্কারের অর্ধেকটা পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের ইভানস্টনের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোয়েল মোকিয়ার। ১৯৪৬ সালে নেদারল্যান্ডসের লাইডেনে জন্ম নেয়া এই অর্থনীতিবিদ ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
তাকে এবারের নোবেল দেয়া হচ্ছে ‘প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করায়’, বলেছে রয়্যাল সুইডিশ কমিটি। ‘সৃজনশীল কৌশলে পুরনোকে ভেঙে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব’ দেয়ায় পুরস্কারের বাকি অর্ধেকটা যৌথভাবে ভাগ করে দেয়া হয়েছে কোলেজ দ্য ফ্রঁস, প্যারিসের ইনসিড ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সেস-এর অধ্যাপক ফিলিপ অ্যাঁগিও ও যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার হাওইটকে।
ফরাসী অধ্যাপক অ্যাঁগিও জন্মেছেন ১৯৫৬ সালে প্যারিসে, আর হাওইট ১৯৪৬ সালে কানাডায়। অ্যাঁগিও ১৯৮৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি নেন; হাওইটের পিএইচডিও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
নতুন প্রযুক্তি কীভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে চালিত করতে পারে এ তিনজনই তা দেখিয়েছেন, বলেছে পুরস্কারদাতা কমিটি। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব গত দুই শতক ধরে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখছে।
এটি বিপুল সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে এবং আমাদের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। কীভাবে উদ্ভাবনই পরবর্তী অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে অর্থনীতিতে আমাদের এবারের নোবেলজয়ী জোয়েল মোকিয়ার, ফিলিপ অ্যাঁগিও ও পিটার হাওইট তা ব্যাখ্যা করেছেন।’
অর্থনীতিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবার নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে কৌতুহলের অবসান হলো। ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার।
অর্থনীতির এই পুরস্কার মূল নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৯৬৯ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার চালু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনীতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরস্কার- এটাই এই পুরস্কারের কেতাবি নাম।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছেন লিওনিড হারউইচ। ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে (৪৬) এই পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালে স্বামী অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে টেকসই প্রবৃদ্ধির অর্জনের পথ দেখিয়ে অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন তিন গবেষক। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস সোমবার, (১৩ অক্টোবর ২০২৫) অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে জোয়েল মোকিয়ার, ফিলিপ অ্যাঁগিও, পিটার হাওইটের নাম ঘোষণা করে। পুরস্কারের এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।
পুরস্কারের এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা
প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠিত হয় এবং কীভাবে তা সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, সেই গবেষণার জন্য গতবছর তিন অর্থনীতিবিদ ডেরন আসেমোগ্লু, সাইমন জনসন ও জেমস এ রবিনসনকে অর্থনীতির নোবেল দেয়া হয়।
এ বছর পুরস্কারের অর্ধেকটা পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের ইভানস্টনের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোয়েল মোকিয়ার। ১৯৪৬ সালে নেদারল্যান্ডসের লাইডেনে জন্ম নেয়া এই অর্থনীতিবিদ ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
তাকে এবারের নোবেল দেয়া হচ্ছে ‘প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করায়’, বলেছে রয়্যাল সুইডিশ কমিটি। ‘সৃজনশীল কৌশলে পুরনোকে ভেঙে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব’ দেয়ায় পুরস্কারের বাকি অর্ধেকটা যৌথভাবে ভাগ করে দেয়া হয়েছে কোলেজ দ্য ফ্রঁস, প্যারিসের ইনসিড ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সেস-এর অধ্যাপক ফিলিপ অ্যাঁগিও ও যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার হাওইটকে।
ফরাসী অধ্যাপক অ্যাঁগিও জন্মেছেন ১৯৫৬ সালে প্যারিসে, আর হাওইট ১৯৪৬ সালে কানাডায়। অ্যাঁগিও ১৯৮৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি নেন; হাওইটের পিএইচডিও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
নতুন প্রযুক্তি কীভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে চালিত করতে পারে এ তিনজনই তা দেখিয়েছেন, বলেছে পুরস্কারদাতা কমিটি। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব গত দুই শতক ধরে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখছে।
এটি বিপুল সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে এবং আমাদের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। কীভাবে উদ্ভাবনই পরবর্তী অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে অর্থনীতিতে আমাদের এবারের নোবেলজয়ী জোয়েল মোকিয়ার, ফিলিপ অ্যাঁগিও ও পিটার হাওইট তা ব্যাখ্যা করেছেন।’
অর্থনীতিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবার নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে কৌতুহলের অবসান হলো। ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার।
অর্থনীতির এই পুরস্কার মূল নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৯৬৯ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার চালু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনীতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরস্কার- এটাই এই পুরস্কারের কেতাবি নাম।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছেন লিওনিড হারউইচ। ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে (৪৬) এই পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালে স্বামী অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।