চলতি ২০২৫-২৬ কর বছরে ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক প্রেস বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে একে কর প্রশাসনের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারায় অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক সাফল্য বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই করদাতারা সহজেই অনলাইনে রিটার্ন পূরণ ও দাখিল করতে পারছেন।’
এ বছর এনবিআর এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব ব্যক্তিগত করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। তবে, যারা এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, তারাও ইচ্ছা করলে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দিলে করদাতারা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট আবেদন করতে পারবেন। যৌক্তিক কারণ উল্লেখপূর্বক অনুমোদন পাওয়া গেলে তারা পেপার রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
এনবিআর জানায়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতারাও পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে ereturn@etaxnbr.gov.bd এ আবেদন করলে তাদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সহজেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন।
এনবিআর আরও জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেমে করদাতাদের কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না। কেবল আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য দিলেই তাৎক্ষণিকভাবে একনলেজমেন্ট স্লিপ ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের মধ্যে ই-রিটার্ন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সংস্থাটি জানায়, করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর এ বছরও অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। শুধু করদাতারাই নয়, বরং আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ও চার্টার্ড সেক্রেটারিজদেরও ই-রিটার্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে এনবিআর একটি কল সেন্টার (০৯৬৪৩৭১৭১৭১) চালু করেছে, যেখানে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সহায়তা পাচ্ছেন। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ‘ই-ট্যাক্স সার্ভিস’ অপশন এবং দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে স্থাপিত ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক থেকেও সরাসরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে দাখিল করতে এনবিআর অনুরোধ করেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
চলতি ২০২৫-২৬ কর বছরে ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক প্রেস বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে একে কর প্রশাসনের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারায় অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক সাফল্য বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই করদাতারা সহজেই অনলাইনে রিটার্ন পূরণ ও দাখিল করতে পারছেন।’
এ বছর এনবিআর এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব ব্যক্তিগত করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। তবে, যারা এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, তারাও ইচ্ছা করলে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দিলে করদাতারা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট আবেদন করতে পারবেন। যৌক্তিক কারণ উল্লেখপূর্বক অনুমোদন পাওয়া গেলে তারা পেপার রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
এনবিআর জানায়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতারাও পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে ereturn@etaxnbr.gov.bd এ আবেদন করলে তাদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সহজেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন।
এনবিআর আরও জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেমে করদাতাদের কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না। কেবল আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য দিলেই তাৎক্ষণিকভাবে একনলেজমেন্ট স্লিপ ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের মধ্যে ই-রিটার্ন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সংস্থাটি জানায়, করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর এ বছরও অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। শুধু করদাতারাই নয়, বরং আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ও চার্টার্ড সেক্রেটারিজদেরও ই-রিটার্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে এনবিআর একটি কল সেন্টার (০৯৬৪৩৭১৭১৭১) চালু করেছে, যেখানে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সহায়তা পাচ্ছেন। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ‘ই-ট্যাক্স সার্ভিস’ অপশন এবং দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে স্থাপিত ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক থেকেও সরাসরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে দাখিল করতে এনবিআর অনুরোধ করেছে।