প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের চেম্বার অব কমার্স বা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। সবাই আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সবার কাছে আছে। কিন্তু যে কাজটা আমরা করি না, সেটা হলো সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমাদের এখানে সৌজন্য সাক্ষাতের অর্থ হলো, একটা ফুল দিয়ে ছবি তুলে চলে যাওয়া। আমরা ওভাবে সাক্ষাৎ করি না।’
গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন লুৎফে সিদ্দিকী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) নামে এই মেলা আয়োজিত হচ্ছে। এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) বাণিজ্য ও মেলা শাখার পরিচালক মো. তসলিম আমিন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তমন্ত্রণালয় বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটি আছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান আছেন; বন্দরগুলোর চেয়ারম্যান ও বিডার চেয়ারম্যানও আছেন। ওই কমিটিতে যেসব বিষয় আলোচনা হয়, সেগুলো তখনই নিষ্পত্তির চেষ্টা করি। যেসব বিষয়ে নীতিগত কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, সেগুলোও আমরা ওই মিটিং থেকেই এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।’
লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখেন, গত এক বছরে সাত-আটটি মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি করেছি। তবু যখন কারও কোনো অসুবিধা হয়, আমরা সেটা নিয়ে তখনই খুব দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার চেষ্টা করি।’
দেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা নিয়ে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘পর্যটন দেশের অন্যতম কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতগুলোর একটি। অন্য অনেক খাতই প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে; কিন্তু পর্যটন এমন একটি খাত যা এখনো মানুষের সেবার ওপর নির্ভরশীল। সিঙ্গাপুরের মতো দেশ, যাদের তেমন ঐতিহ্যবাহী সম্পদ নেই, তারাও কীভাবে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করছে। এ বিষয়ে আমাদের ভাবা উচিত।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়মা শাহীন সুলতানা বলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনা বৈচিত্র্যময়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, খাদ্য ও লোকসংস্কৃতি—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান গন্তব্য হতে পারে। তবে এসব সুযোগ এখনো পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি।’
সমাপনী বক্তব্যে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে আগমন বাড়াতে হলে অন-অ্যারাইভাল ভিসার পরিবর্তে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। এ ছাড়া দেশের অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জাম যদি স্বল্প করের আওতায় আনা যায়, তাহলে পর্যটনের আরও প্রসার হবে।’
এ সময় উপস্থিত আরও বক্তব্য দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন, ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের চেম্বার অব কমার্স বা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। সবাই আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সবার কাছে আছে। কিন্তু যে কাজটা আমরা করি না, সেটা হলো সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমাদের এখানে সৌজন্য সাক্ষাতের অর্থ হলো, একটা ফুল দিয়ে ছবি তুলে চলে যাওয়া। আমরা ওভাবে সাক্ষাৎ করি না।’
গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন লুৎফে সিদ্দিকী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) নামে এই মেলা আয়োজিত হচ্ছে। এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) বাণিজ্য ও মেলা শাখার পরিচালক মো. তসলিম আমিন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তমন্ত্রণালয় বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটি আছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান আছেন; বন্দরগুলোর চেয়ারম্যান ও বিডার চেয়ারম্যানও আছেন। ওই কমিটিতে যেসব বিষয় আলোচনা হয়, সেগুলো তখনই নিষ্পত্তির চেষ্টা করি। যেসব বিষয়ে নীতিগত কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, সেগুলোও আমরা ওই মিটিং থেকেই এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।’
লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখেন, গত এক বছরে সাত-আটটি মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি করেছি। তবু যখন কারও কোনো অসুবিধা হয়, আমরা সেটা নিয়ে তখনই খুব দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার চেষ্টা করি।’
দেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা নিয়ে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘পর্যটন দেশের অন্যতম কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতগুলোর একটি। অন্য অনেক খাতই প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে; কিন্তু পর্যটন এমন একটি খাত যা এখনো মানুষের সেবার ওপর নির্ভরশীল। সিঙ্গাপুরের মতো দেশ, যাদের তেমন ঐতিহ্যবাহী সম্পদ নেই, তারাও কীভাবে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করছে। এ বিষয়ে আমাদের ভাবা উচিত।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়মা শাহীন সুলতানা বলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনা বৈচিত্র্যময়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, খাদ্য ও লোকসংস্কৃতি—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান গন্তব্য হতে পারে। তবে এসব সুযোগ এখনো পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি।’
সমাপনী বক্তব্যে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে আগমন বাড়াতে হলে অন-অ্যারাইভাল ভিসার পরিবর্তে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। এ ছাড়া দেশের অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জাম যদি স্বল্প করের আওতায় আনা যায়, তাহলে পর্যটনের আরও প্রসার হবে।’
এ সময় উপস্থিত আরও বক্তব্য দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন, ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ।