ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও দাম ধরে না রাখতে পারার কারণ কি জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। আমাদের পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। বাম্পার ফলন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ সংরক্ষণকে সুবিধাজনক করতে ১০ হাজার হাইফ্লো মেশিন দেওয়া হয়েছে। এতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, দামও দীর্ঘদিন একটা সহনশীল মাত্রা ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দামে উস্ফলন ঘটেছে। আমরা এ বিষয়টাতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। বাণিজ্য সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই আমদানির জন্য আবেদন করেছে। ২৮০০ আবেদন বর্তমানে আমাদের হাতে আছে। আমরা নজর রাখছি। যদি দেখি যে বাজারে দাম না কমে তাহলে আমরা আমদানির অনুমোদন দিয়ে দেবো।’
কতো দিনের মধ্যে এ অনুমোদন দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ৪ থেকে ৫ দিন বা চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি দেখি যে বাজার দামের অবনতি না ঘটে তাহলে আমদানির অনুমোদন দেবো। আমাদের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দুই এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ আসবে।’
সিন্ডিকেটের জন্য পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ভোক্তারা অভিযোগ করছে, আপনাদের কাছে কি তথ্য আছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘একাধিক কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মৌসুম শেষ, শুকিয়ে ওজন কমেছে, হাইফ্লো মেশিন ব্যবহারে ব্যয় বেড়েছে। নতুন করে পেঁয়াজ খুব শিগগিরই উঠবে। সামগ্রিকভাবে বলতে পারি আমরা পেঁয়াজের দামের ওপর দৃষ্টি রাখছি। আমাদের কাছে ২৮০০ আইপির আবেদন আছে। সেটা ১০ শতাংশ যদি ছেড়ে দেই তাহলে বাজারে একটা ধস নামবে। আগাম ধস নামাতে চাই না। একটা স্বাভাবিক দাম বিরাজ করুক। যাতে কৃষক ও ভোক্তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সার্বিকভাবে বলতে পারবো আমরা নজর রাখছি, যদি প্রয়োজন হয় পদক্ষেপ নেবো।’
এ সময় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য দিয়েছে যে, সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের কাছে আছে। এ মাসে আসবে ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার মেট্রিক টন। আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ মেট্রিক টন। আগামী মাস থেকেই মুড়িকাটা পরের মাস থেকে রেগুলার নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে।
পুরো বছরে কিন্তু পেঁয়াজের মূল্য কম ছিল। গত রমজানের পর পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকায় নেমে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন সে মূল্যে ছিল, সেটা উৎপাদন ব্যয় থেকে কম ছিল। সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল সংকট ছিল না দেখে দাম বেড়েনি। যখন দাম বাড়ে তখন কিছু আইপির অনুমোদন দিয়েছি। এতে দাম কিছুটা কমেছে। তারপর সম্প্রতি দাম বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে চলতি বছর থেকে আগামী বছর পেঁয়াজের ফলন বেশি হবে। সেটা হলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য গত সপ্তাহ থেকে ভোক্তা অধিকারকে অ্যাক্টিভ করেছি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। যদি না আসে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রোববার,(০৯ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও দাম ধরে না রাখতে পারার কারণ কি জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। আমাদের পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। বাম্পার ফলন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ সংরক্ষণকে সুবিধাজনক করতে ১০ হাজার হাইফ্লো মেশিন দেওয়া হয়েছে। এতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, দামও দীর্ঘদিন একটা সহনশীল মাত্রা ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দামে উস্ফলন ঘটেছে। আমরা এ বিষয়টাতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। বাণিজ্য সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই আমদানির জন্য আবেদন করেছে। ২৮০০ আবেদন বর্তমানে আমাদের হাতে আছে। আমরা নজর রাখছি। যদি দেখি যে বাজারে দাম না কমে তাহলে আমরা আমদানির অনুমোদন দিয়ে দেবো।’
কতো দিনের মধ্যে এ অনুমোদন দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ৪ থেকে ৫ দিন বা চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি দেখি যে বাজার দামের অবনতি না ঘটে তাহলে আমদানির অনুমোদন দেবো। আমাদের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দুই এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ আসবে।’
সিন্ডিকেটের জন্য পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ভোক্তারা অভিযোগ করছে, আপনাদের কাছে কি তথ্য আছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘একাধিক কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মৌসুম শেষ, শুকিয়ে ওজন কমেছে, হাইফ্লো মেশিন ব্যবহারে ব্যয় বেড়েছে। নতুন করে পেঁয়াজ খুব শিগগিরই উঠবে। সামগ্রিকভাবে বলতে পারি আমরা পেঁয়াজের দামের ওপর দৃষ্টি রাখছি। আমাদের কাছে ২৮০০ আইপির আবেদন আছে। সেটা ১০ শতাংশ যদি ছেড়ে দেই তাহলে বাজারে একটা ধস নামবে। আগাম ধস নামাতে চাই না। একটা স্বাভাবিক দাম বিরাজ করুক। যাতে কৃষক ও ভোক্তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সার্বিকভাবে বলতে পারবো আমরা নজর রাখছি, যদি প্রয়োজন হয় পদক্ষেপ নেবো।’
এ সময় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য দিয়েছে যে, সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের কাছে আছে। এ মাসে আসবে ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার মেট্রিক টন। আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ মেট্রিক টন। আগামী মাস থেকেই মুড়িকাটা পরের মাস থেকে রেগুলার নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে।
পুরো বছরে কিন্তু পেঁয়াজের মূল্য কম ছিল। গত রমজানের পর পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকায় নেমে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন সে মূল্যে ছিল, সেটা উৎপাদন ব্যয় থেকে কম ছিল। সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল সংকট ছিল না দেখে দাম বেড়েনি। যখন দাম বাড়ে তখন কিছু আইপির অনুমোদন দিয়েছি। এতে দাম কিছুটা কমেছে। তারপর সম্প্রতি দাম বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে চলতি বছর থেকে আগামী বছর পেঁয়াজের ফলন বেশি হবে। সেটা হলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য গত সপ্তাহ থেকে ভোক্তা অধিকারকে অ্যাক্টিভ করেছি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। যদি না আসে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।’