দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বড়ো দরপতন হয়েছে। বাজারে যে কয়টি শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ সংখ্যকের দরপতন হয়েছে। এই বড়ো দরপতনে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক দিনের ব্যবধানে ১ শতাংশ বা তার বেশি কমেছে। লেনদেনের পরিমাণও দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে রোববার ৯ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দীর্ঘ বছর ধরেই বাজারে একটি অস্থিরতা দেখা যায়। তবে এবারের অস্থিরতা আগের সময়কার তুলনায় কিছুটা বেশিই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো দল দাবি করছে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার। এই অনিশ্চয়তার প্রভাব পুঁজিবাজারেও আসছে। এছাড়া, সম্প্রতি মার্জিন ঋণ নিয়ে প্রকাশিত গেজেটের একটি নেতিবাচক প্রভাব বাজারে আসছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার মোট ৩৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির। বিপরীতে কমেছে ৩২৯টির। এই দরপতন দরবৃদ্ধির চেয়ে ৯ দশমিক ৬৮ গুণ। রোববার লেনদেন শেষে ২৭টি সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৬৯টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৭২টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪৪টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৮ পয়েন্টে বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিলো ৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দিনের ব্যবধানে ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬০ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯২৯ পয়েন্টে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে রোববার আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এদিন মোট ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন গত ২৭ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন, ওইদিন ৩৯৪ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার এক্সচেঞ্জটিতে ৪১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল।
নির্বাচনী অনিশ্চয়তা ও সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক মার্জ হওয়ার বিষয়গুলো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে বলে মনে করেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি রোববার বলেন, ‘নির্বাচনী অনিশ্চয়তা বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি পাঁচ ব্যাংকের মার্জ হলে বিনিয়োগকারীরা কিছু পাবেন কিনা, বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না হওয়ায়, এটি সার্বিকভাবে বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এর পাশাপাশি মার্জিন ঋণ নিয়ে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীর বাজারে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে, তবে এটি হওয়া উচিত না। মার্জিন ঋণের বিষয়টি অনেক আগেই তো স্পষ্ট করা হয়েছে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বড়ো দরপতন হয়েছে। বাজারে যে কয়টি শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে, তার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ সংখ্যকের দরপতন হয়েছে। এই বড়ো দরপতনে এক্সচেঞ্জটির সবগুলো মূল্যসূচক দিনের ব্যবধানে ১ শতাংশ বা তার বেশি কমেছে। লেনদেনের পরিমাণও দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে রোববার ৯ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দীর্ঘ বছর ধরেই বাজারে একটি অস্থিরতা দেখা যায়। তবে এবারের অস্থিরতা আগের সময়কার তুলনায় কিছুটা বেশিই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো দল দাবি করছে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার। এই অনিশ্চয়তার প্রভাব পুঁজিবাজারেও আসছে। এছাড়া, সম্প্রতি মার্জিন ঋণ নিয়ে প্রকাশিত গেজেটের একটি নেতিবাচক প্রভাব বাজারে আসছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার মোট ৩৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির। বিপরীতে কমেছে ৩২৯টির। এই দরপতন দরবৃদ্ধির চেয়ে ৯ দশমিক ৬৮ গুণ। রোববার লেনদেন শেষে ২৭টি সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৬৯টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৭২টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪৪টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৮ পয়েন্টে বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিলো ৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দিনের ব্যবধানে ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬০ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯২৯ পয়েন্টে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার সূচকটির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে রোববার আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এদিন মোট ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন গত ২৭ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন, ওইদিন ৩৯৪ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার এক্সচেঞ্জটিতে ৪১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল।
নির্বাচনী অনিশ্চয়তা ও সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক মার্জ হওয়ার বিষয়গুলো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে বলে মনে করেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি রোববার বলেন, ‘নির্বাচনী অনিশ্চয়তা বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি পাঁচ ব্যাংকের মার্জ হলে বিনিয়োগকারীরা কিছু পাবেন কিনা, বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না হওয়ায়, এটি সার্বিকভাবে বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এর পাশাপাশি মার্জিন ঋণ নিয়ে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীর বাজারে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে, তবে এটি হওয়া উচিত না। মার্জিন ঋণের বিষয়টি অনেক আগেই তো স্পষ্ট করা হয়েছে।’