দেশে-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো-২০২৫’ এর পর্দা উঠলো। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে এ এক্সপো। রোববার,(৩০ নভেম্বর ২০২৫)পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এর উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) আর আগের মতো নেই। এখন থেকে ডিআইটিএফ হচ্ছে দুই পর্বে। মূল আসরের নাম হবে ঢাকা বাণিজ্যমেলা (ডিটিএফ)। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে হবে আলাদা মেলা- গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো। অর্থাৎ, এখন থেকে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জানুয়ারিতে মাসব্যাপী ডিটিএফ ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য শুরু হলো গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যরো এর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি ) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা-বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং ও ফ্যাশন শো-সহ নানা আয়োজন থাকছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আটটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ রপ্তানিখাতকে এক ছাদের নিচে একত্র করে, বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে তার একীকরণকে শক্তিশালী করতে এবং আমরা যে পণ্য রপ্তানি করি এবং যে বাজারগুলি পরিবেশন করি তা উভয়কেই প্রসারিত করতে সহায়তা করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যটি আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে, কারণ আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক, স্থিতিস্থাপক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের একত্র করে, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করে। যেহেতু এটি গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর প্রথম সংস্করণ, তাই আমরা স্বীকার করি যে, আমরা শুরুতেই প্রতিটি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি না। তবে, এখানে আপনার উপস্থিতি এবং এই নতুন উদ্যোগের প্রতি আপনার আস্থা যা মূলত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো দ্বারা আয়োজিত- আমাদের ভবিষ্যতের সংস্করণগুলোকে আরও কার্যকর, আরও ব্যাপক এবং বিশ্বব্যাপী আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে উৎসাহিত করে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বছর থেকে এক্সপোটি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে যেন এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় - অনেকটা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মতো, যা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিচয়ের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। আমরা এই এক্সপোকে একটি বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সোর্সিং প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার কল্পনা করি, যা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার প্রদর্শনী, নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের চালিকাশক্তি এবং উন্মুক্ততা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
রোববার শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশে-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো-২০২৫’ এর পর্দা উঠলো। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ঢাকায় সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে এ এক্সপো। রোববার,(৩০ নভেম্বর ২০২৫)পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এর উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) আর আগের মতো নেই। এখন থেকে ডিআইটিএফ হচ্ছে দুই পর্বে। মূল আসরের নাম হবে ঢাকা বাণিজ্যমেলা (ডিটিএফ)। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে হবে আলাদা মেলা- গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো। অর্থাৎ, এখন থেকে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জানুয়ারিতে মাসব্যাপী ডিটিএফ ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য শুরু হলো গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যরো এর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি ) মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
এবারের সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)। প্রদর্শনীতে এসব খাতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহ খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
এক্সপোতে আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা (বিটুবি), পণ্য কেনা-বেচা ও চুক্তি করতে পারবে। সোর্সিং এক্সপোতে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং ও ফ্যাশন শো-সহ নানা আয়োজন থাকছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আটটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ রপ্তানিখাতকে এক ছাদের নিচে একত্র করে, বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে তার একীকরণকে শক্তিশালী করতে এবং আমরা যে পণ্য রপ্তানি করি এবং যে বাজারগুলি পরিবেশন করি তা উভয়কেই প্রসারিত করতে সহায়তা করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যটি আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে, কারণ আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক, স্থিতিস্থাপক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকদের একত্র করে, অর্থপূর্ণ আলোচনা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের দ্বার উন্মুক্ত করে। যেহেতু এটি গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর প্রথম সংস্করণ, তাই আমরা স্বীকার করি যে, আমরা শুরুতেই প্রতিটি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি না। তবে, এখানে আপনার উপস্থিতি এবং এই নতুন উদ্যোগের প্রতি আপনার আস্থা যা মূলত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো দ্বারা আয়োজিত- আমাদের ভবিষ্যতের সংস্করণগুলোকে আরও কার্যকর, আরও ব্যাপক এবং বিশ্বব্যাপী আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে উৎসাহিত করে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বছর থেকে এক্সপোটি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে যেন এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় - অনেকটা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মতো, যা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিচয়ের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। আমরা এই এক্সপোকে একটি বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সোর্সিং প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার কল্পনা করি, যা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার প্রদর্শনী, নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের চালিকাশক্তি এবং উন্মুক্ততা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
রোববার শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।