পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্তহীনতায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে একটি ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন। তাতে ওই ব্রোকারেজ হাউসের প্রায় ২২ হাজার বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। হঠাৎ করে ব্রোকারেজ হাউসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিলার ও লেনদেন সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২৪ নভেম্বর ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজের লেনদেন স্থগিত করে দেয়। ব্রোকারেজ হাউসটির আগের নাম ছিল আনোয়ার খান মর্ডাণ সিকিউরিটিজ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এটি মালিকানা বদল হয়। প্রতিষ্ঠানটির সব দায়দেনা ও সম্পদ কিনে নেয় ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজ।
মালিকানা বদলের পর ডিএসইতে ব্রোকারেজ হাউসটির নাম বদলে হয় ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজ। মালিকানা বদলের পরপর নতুন প্রতিষ্ঠানটি নাম বদল ও লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করে ডিএসইতে। ডিএসইর পক্ষ থেকে সেই আবেদন অনুমোদনের জন্য বেশ কয়েক মাস আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে পাঠানো হয়।
কিন্তু বিএসইসিতে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন ও নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকায় এরই মধ্যে লাইসেন্সটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। তাতে হঠাৎ করেই ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করে দেওয়া হয়। তাতে বিপাকে পড়েছেন এই ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেনকারী ২২ হাজার বিনিয়োগকারী। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী তাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন ও নাম বদলের ছাড়পত্রের বিষয়ে বিএসইসির কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ডিএসইও এটির লেনদেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সব ধরনের কাগজপত্র বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় ফিও প্রতিষ্ঠানটি পরিশোধ করেছে। আর কোনো কাগজপত্রের দরকার আছে কি না, সে বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এদিকে লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় লেনদেন বন্ধ করা ছাড়া আমাদের কাছে কোনো উপায়ও নেই। আবার কবে লেনদেন চালু করা যাবে, তা বিএসইসির সিদ্ধান্ত না পেলে আমরাও বলতে পারছি না। এমন এক পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভোগান্তিতে পড়লেও আমাদের করণীয় কিছু নেই।’
নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স বা সনদ নির্ধারিত সময় পরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে নবায়ন করতে হয়। এর মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বদল বা নাম বদল হলেও সেটি বিএসইসিকে অবগত করতে হয়। সেই সঙ্গে নতুন নামে ব্রোকারেজ হাউসটি লাইসেন্স স্থানান্তরের আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। সেটি পালন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন ভোগান্তিতে পড়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্তহীনতায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে একটি ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন। তাতে ওই ব্রোকারেজ হাউসের প্রায় ২২ হাজার বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। হঠাৎ করে ব্রোকারেজ হাউসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা লেনদেনে অংশ নিতে পারছেন না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিলার ও লেনদেন সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২৪ নভেম্বর ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজের লেনদেন স্থগিত করে দেয়। ব্রোকারেজ হাউসটির আগের নাম ছিল আনোয়ার খান মর্ডাণ সিকিউরিটিজ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এটি মালিকানা বদল হয়। প্রতিষ্ঠানটির সব দায়দেনা ও সম্পদ কিনে নেয় ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজ।
মালিকানা বদলের পর ডিএসইতে ব্রোকারেজ হাউসটির নাম বদলে হয় ট্রেডক্যাপ স্টক ব্রোকারেজ। মালিকানা বদলের পরপর নতুন প্রতিষ্ঠানটি নাম বদল ও লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করে ডিএসইতে। ডিএসইর পক্ষ থেকে সেই আবেদন অনুমোদনের জন্য বেশ কয়েক মাস আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে পাঠানো হয়।
কিন্তু বিএসইসিতে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন ও নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকায় এরই মধ্যে লাইসেন্সটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। তাতে হঠাৎ করেই ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করে দেওয়া হয়। তাতে বিপাকে পড়েছেন এই ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেনকারী ২২ হাজার বিনিয়োগকারী। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী তাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন ও নাম বদলের ছাড়পত্রের বিষয়ে বিএসইসির কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ডিএসইও এটির লেনদেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সব ধরনের কাগজপত্র বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় ফিও প্রতিষ্ঠানটি পরিশোধ করেছে। আর কোনো কাগজপত্রের দরকার আছে কি না, সে বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এদিকে লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় লেনদেন বন্ধ করা ছাড়া আমাদের কাছে কোনো উপায়ও নেই। আবার কবে লেনদেন চালু করা যাবে, তা বিএসইসির সিদ্ধান্ত না পেলে আমরাও বলতে পারছি না। এমন এক পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভোগান্তিতে পড়লেও আমাদের করণীয় কিছু নেই।’
নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স বা সনদ নির্ধারিত সময় পরপরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে নবায়ন করতে হয়। এর মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বদল বা নাম বদল হলেও সেটি বিএসইসিকে অবগত করতে হয়। সেই সঙ্গে নতুন নামে ব্রোকারেজ হাউসটি লাইসেন্স স্থানান্তরের আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। সেটি পালন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন ভোগান্তিতে পড়েছে।