জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দুই দিনের আল্টিমেটাম শেষে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দিয়ে অবরোধ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রেজিস্ট্রার ভবনের দুই গেটে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রেজিস্ট্রার ভবনের প্রবেশ পথ বন্ধ থাকায় সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মশাল মিছিল শেষে অপরাধী রিকশা চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আট দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে- ‘তুমি কে আমি কে, রাঁচি রাঁচি,’ ‘আমার বোন কবরে, প্রশাসন কী করে?’, ‘রাঁচির ভাই-বোন, এক হও এক হও’, ‘জাস্টিস জাস্টিজ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, একটা মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসনের নুন্যতম দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখলাম না। গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে আসা জাবি প্রশাসন পুরো জাবিকেই লজ্জিত করলো।আপনাদের কাছে আমরা আরো অনেক কিছু প্রত্যাশা করতাম। আপনারা এখন অব্দি ব্যর্থ। আপনারা শুধুমাত্র নিজেরা ব্যর্থ হলেন না। গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার হিসেবে আমাদেরও ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু স্পষ্ট কথা শুনে রাখুন। আমরা ব্যর্থ হবোনা। নিজেদের শেষ সুযোগটা জানপ্রাণ দিয়ে লড়ে রক্ষা করুন। রাচিকে জাস্টিস দেন। নয়তো জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
অবরোধে অবস্থান নেওয়া বাংলা বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহাদী বলেন, আমাদের বোন রাঁচি গত ১৯ তারিখে মারা যাওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে আমাদের নানা কর্মসূচি চলমান ছিল। আমাদের সর্বশেষ কর্মসূচি ছিল বৃহস্পতিবার মশাল মিছিল। সেই মশাল মিছিলে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যাতে অপরাধী চালককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হয়। এজন্য আমরা প্রশাসনকে দুই দিনের সময়ও দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এমনকি এ বিষয়ে আমাদের আশ্বাসও দিতে পারেনি।
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দুই দিনের আল্টিমেটাম শেষে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দিয়ে অবরোধ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রেজিস্ট্রার ভবনের দুই গেটে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রেজিস্ট্রার ভবনের প্রবেশ পথ বন্ধ থাকায় সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মশাল মিছিল শেষে অপরাধী রিকশা চালককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আট দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে- ‘তুমি কে আমি কে, রাঁচি রাঁচি,’ ‘আমার বোন কবরে, প্রশাসন কী করে?’, ‘রাঁচির ভাই-বোন, এক হও এক হও’, ‘জাস্টিস জাস্টিজ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, একটা মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসনের নুন্যতম দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখলাম না। গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে আসা জাবি প্রশাসন পুরো জাবিকেই লজ্জিত করলো।আপনাদের কাছে আমরা আরো অনেক কিছু প্রত্যাশা করতাম। আপনারা এখন অব্দি ব্যর্থ। আপনারা শুধুমাত্র নিজেরা ব্যর্থ হলেন না। গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার হিসেবে আমাদেরও ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু স্পষ্ট কথা শুনে রাখুন। আমরা ব্যর্থ হবোনা। নিজেদের শেষ সুযোগটা জানপ্রাণ দিয়ে লড়ে রক্ষা করুন। রাচিকে জাস্টিস দেন। নয়তো জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
অবরোধে অবস্থান নেওয়া বাংলা বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহাদী বলেন, আমাদের বোন রাঁচি গত ১৯ তারিখে মারা যাওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে আমাদের নানা কর্মসূচি চলমান ছিল। আমাদের সর্বশেষ কর্মসূচি ছিল বৃহস্পতিবার মশাল মিছিল। সেই মশাল মিছিলে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যাতে অপরাধী চালককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হয়। এজন্য আমরা প্রশাসনকে দুই দিনের সময়ও দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এমনকি এ বিষয়ে আমাদের আশ্বাসও দিতে পারেনি।