৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল সংসদ ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন, নতুন কলা ভবন, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদ ভবনে স্থাপিত পাঁচটি কেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে প্রায় ৭০০টি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫১৬ জন শিক্ষার্থী এবার ভোটার হিসেবে অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন এবং ছাত্র ১৬ হাজার ১৮৭ জন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালটে, যেখানে প্রথমবারের মতো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ডিজিটাল ভোটগণনা ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে পৃথক ভোটকেন্দ্র।
চাকসু নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিজ নিজ প্যানেলে লড়ছে। শিবির ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেল দিয়েছে, আর ছাত্রদল নিজেদের নামে লড়ছে।
বৈচিত্র্যের ঐক্য, দ্রোহ পর্ষদ, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ, অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্যসহ একাধিক জোটও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ২৬টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪১৫ জন, আর হল ও হোস্টেল সংসদে ২০৬টি পদে লড়ছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা এবার প্রথমবারের মতো তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের আশা—দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক’ ক্যাম্পাস।
ভোটের দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ৩৩টি প্রবেশপথের মধ্যে সাতটি বন্ধ রাখা হয়েছে, বাকিগুলোয় প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রথমবার ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহের পাশাপাশি আশা—চাকসু এমন একটি নেতৃত্ব গঠন করবে, যারা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে এবং ‘মুক্ত ক্যাম্পাসের’ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল সংসদ ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন, নতুন কলা ভবন, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদ ভবনে স্থাপিত পাঁচটি কেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে প্রায় ৭০০টি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫১৬ জন শিক্ষার্থী এবার ভোটার হিসেবে অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন এবং ছাত্র ১৬ হাজার ১৮৭ জন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালটে, যেখানে প্রথমবারের মতো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ডিজিটাল ভোটগণনা ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে পৃথক ভোটকেন্দ্র।
চাকসু নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিজ নিজ প্যানেলে লড়ছে। শিবির ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেল দিয়েছে, আর ছাত্রদল নিজেদের নামে লড়ছে।
বৈচিত্র্যের ঐক্য, দ্রোহ পর্ষদ, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ, অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্যসহ একাধিক জোটও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ২৬টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪১৫ জন, আর হল ও হোস্টেল সংসদে ২০৬টি পদে লড়ছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা এবার প্রথমবারের মতো তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের আশা—দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক’ ক্যাম্পাস।
ভোটের দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ৩৩টি প্রবেশপথের মধ্যে সাতটি বন্ধ রাখা হয়েছে, বাকিগুলোয় প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রথমবার ভোট দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহের পাশাপাশি আশা—চাকসু এমন একটি নেতৃত্ব গঠন করবে, যারা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে এবং ‘মুক্ত ক্যাম্পাসের’ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।