চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটের কালি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি কিছু সময় পরই মুছে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোট দিয়ে প্রকৌশল অনুষদের সামনে সাংবাদিকদের তৌফিক বলেন, “প্রশাসন আরও ভালো কালির ব্যবস্থা করতে পারত। বাইরে সবাই ঘুরছে, কে ভোট দিয়েছে আর কে দেয়নি সেটা খাতা দেখে চিহ্নিত করা সম্ভব না। আঙুলের কালি থাকলে তা থেকে বোঝা যেত। এখন যেহেতু কালি মুছে যাচ্ছে, এতে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।”
তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ বিষয়ে প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তৌফিক আরও অভিযোগ করেন, ২১৪ নম্বর কক্ষে ‘সিগনেচার ছাড়া ব্যালট পেপার বিতরণ’ হয়েছে। “আমরা সরেজমিনে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি,” বলেন তিনি।
বহিরাগতদের প্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গতকালও আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছি, যার বৈধ পাস নেই সে যেই হোক, যত ক্ষমতাধর হোক, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এটা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন, বহিরাগতদের কোনো জায়গা নেই। এ ক্ষেত্রে দায় নিতে হবে প্রশাসনকে।”
সার্বিক পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত সবাই স্বাভাবিকভাবে ভোট দিচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও ভালোভাবে পরিস্থিতি বুঝতে পারব। এখন পর্যন্ত পরিবেশ ভালো আছে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়, হল ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পাঁচটি ভবনের ৬০টি কক্ষে স্থাপিত প্রায় ৭০০ বুথে একটানা ভোট চলছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
এবারের চাকসু নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলে মোট ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ছাত্রদল নিজেদের নামে প্যানেল দিয়েছে, ইসলামী ছাত্রশিবির অংশ নিচ্ছে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে। ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে ‘দ্রোহ পর্ষদ’ নামে, আর কয়েকটি বাম সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একত্র হয়ে দিয়েছে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল।
ভিপি পদে ২৪ জন এবং জিএস পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটের কালি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি কিছু সময় পরই মুছে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোট দিয়ে প্রকৌশল অনুষদের সামনে সাংবাদিকদের তৌফিক বলেন, “প্রশাসন আরও ভালো কালির ব্যবস্থা করতে পারত। বাইরে সবাই ঘুরছে, কে ভোট দিয়েছে আর কে দেয়নি সেটা খাতা দেখে চিহ্নিত করা সম্ভব না। আঙুলের কালি থাকলে তা থেকে বোঝা যেত। এখন যেহেতু কালি মুছে যাচ্ছে, এতে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।”
তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ বিষয়ে প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তৌফিক আরও অভিযোগ করেন, ২১৪ নম্বর কক্ষে ‘সিগনেচার ছাড়া ব্যালট পেপার বিতরণ’ হয়েছে। “আমরা সরেজমিনে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি,” বলেন তিনি।
বহিরাগতদের প্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গতকালও আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছি, যার বৈধ পাস নেই সে যেই হোক, যত ক্ষমতাধর হোক, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এটা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন, বহিরাগতদের কোনো জায়গা নেই। এ ক্ষেত্রে দায় নিতে হবে প্রশাসনকে।”
সার্বিক পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত সবাই স্বাভাবিকভাবে ভোট দিচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও ভালোভাবে পরিস্থিতি বুঝতে পারব। এখন পর্যন্ত পরিবেশ ভালো আছে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়, হল ও হোস্টেল সংসদের নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পাঁচটি ভবনের ৬০টি কক্ষে স্থাপিত প্রায় ৭০০ বুথে একটানা ভোট চলছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
এবারের চাকসু নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলে মোট ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ছাত্রদল নিজেদের নামে প্যানেল দিয়েছে, ইসলামী ছাত্রশিবির অংশ নিচ্ছে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে। ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে ‘দ্রোহ পর্ষদ’ নামে, আর কয়েকটি বাম সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একত্র হয়ে দিয়েছে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল।
ভিপি পদে ২৪ জন এবং জিএস পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।