জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানীয় জলের গুণগত মান বদলে যাচ্ছে, বাড়ছে ম্যাঙ্গানিজ। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে প্রজনন স্বাস্থ্য।
বুধবার ব্র্যাক ক্লাইমেট ব্রীজ ফান্ড এবং সেন্টার ফর পিপল এন্ড এনভায়রন (সিপিই) এর উদ্যোগে ব্র্যাক ইনে ‘নগরে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ও অভিযোজন’ শীর্ষক কর্মশালায় বিষয়টি উঠে আসে।
কর্মশালায় গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মনিরুল কাদের মীর্জা ও সেন্টার ফর পিপল এন্ড এনভাইরন(সিপিই) পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান।
ক্লাইমেট ব্রীজ ফান্ডের অর্থায়ণে সিপিই বিগত এক বছরে দেশের ১৩টি নগরের জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নির্ণয় ও অভিযোজন নিয়ে গবেষণাটি পরিচালণা করে।
প্রবন্ধে বলা হয় কক্সবাজার, গাইবান্ধা, ও সিরাজগঞ্জে বাড়ছে বায়ু ঝড় যা মূলত মরুভূমির বৈশিষ্ট্য। হাওরাঞ্চলে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি আতংক হয়ে দেখা দিচ্ছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভাইরনমেন্টাল রিসার্চের চেয়ারম্যান ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘জলবায়ু সহিষ্ণু নগর সৃষ্টি করতে নগরের হাইড্রলজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু অতীত ঘটনাবলীর উপর নির্ভর করে এখন জলবায়ু সহিষ্ণু নগর পরিকল্পনা করলে কোন কাজে আসবেনা, বরং জলবায়ুর ইরাটিক ঘটনাবলীকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।’
ড. মনিরুল কাদের মীর্জা বলেন, ‘২০৫০ সাল নাগাদ সারা পৃথিবীতে ৭০ শতাংশ মানুষ নগরে বসবাস করবে। তাই এখনই সময় জলবায়ু সহিষ্ণু নগর নিয়ে পরিকল্পনার।’
গবেষণার টিম লিডার মুহম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা ও প্রকল্প বাস্তাবায়ণে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে বায়ুপ্রবাহ বাড়ছে এবং এর সাথে বাড়ছে আগুন লাগার হার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে পানীয় জলে বাড়ছে ম্যাঙ্গানিজ যা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিশাল প্রভাব রাখছে।’
কর্মলায় আরও দেনবক্তব্য রাখেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস হাসিন জাহান, বুয়েটের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশরাত ইসলাম, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র পরিকল্পনাবিদ আজমেরী আশরাফী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভাইরনমেন্টাল রিসার্চের সহকারী পরিচালক রউফা খানম, সিবিএফ বোর্ড অফ ট্রাস্টি ও ব্র্যাকের সিসিপি, ইউডিপি, ডিআরএমপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, ক্লাইমেট ব্রীজ ফান্ড হেড অব সেক্রেটারিয়েট ড. গোলাম রব্বানীসহ অনেকে।
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানীয় জলের গুণগত মান বদলে যাচ্ছে, বাড়ছে ম্যাঙ্গানিজ। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে প্রজনন স্বাস্থ্য।
বুধবার ব্র্যাক ক্লাইমেট ব্রীজ ফান্ড এবং সেন্টার ফর পিপল এন্ড এনভায়রন (সিপিই) এর উদ্যোগে ব্র্যাক ইনে ‘নগরে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ও অভিযোজন’ শীর্ষক কর্মশালায় বিষয়টি উঠে আসে।
কর্মশালায় গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মনিরুল কাদের মীর্জা ও সেন্টার ফর পিপল এন্ড এনভাইরন(সিপিই) পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান।
ক্লাইমেট ব্রীজ ফান্ডের অর্থায়ণে সিপিই বিগত এক বছরে দেশের ১৩টি নগরের জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নির্ণয় ও অভিযোজন নিয়ে গবেষণাটি পরিচালণা করে।
প্রবন্ধে বলা হয় কক্সবাজার, গাইবান্ধা, ও সিরাজগঞ্জে বাড়ছে বায়ু ঝড় যা মূলত মরুভূমির বৈশিষ্ট্য। হাওরাঞ্চলে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি আতংক হয়ে দেখা দিচ্ছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভাইরনমেন্টাল রিসার্চের চেয়ারম্যান ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘জলবায়ু সহিষ্ণু নগর সৃষ্টি করতে নগরের হাইড্রলজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু অতীত ঘটনাবলীর উপর নির্ভর করে এখন জলবায়ু সহিষ্ণু নগর পরিকল্পনা করলে কোন কাজে আসবেনা, বরং জলবায়ুর ইরাটিক ঘটনাবলীকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।’
ড. মনিরুল কাদের মীর্জা বলেন, ‘২০৫০ সাল নাগাদ সারা পৃথিবীতে ৭০ শতাংশ মানুষ নগরে বসবাস করবে। তাই এখনই সময় জলবায়ু সহিষ্ণু নগর নিয়ে পরিকল্পনার।’
গবেষণার টিম লিডার মুহম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা ও প্রকল্প বাস্তাবায়ণে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে বায়ুপ্রবাহ বাড়ছে এবং এর সাথে বাড়ছে আগুন লাগার হার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে পানীয় জলে বাড়ছে ম্যাঙ্গানিজ যা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিশাল প্রভাব রাখছে।’
কর্মলায় আরও দেনবক্তব্য রাখেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস হাসিন জাহান, বুয়েটের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশরাত ইসলাম, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র পরিকল্পনাবিদ আজমেরী আশরাফী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভাইরনমেন্টাল রিসার্চের সহকারী পরিচালক রউফা খানম, সিবিএফ বোর্ড অফ ট্রাস্টি ও ব্র্যাকের সিসিপি, ইউডিপি, ডিআরএমপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, ক্লাইমেট ব্রীজ ফান্ড হেড অব সেক্রেটারিয়েট ড. গোলাম রব্বানীসহ অনেকে।