রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সোমবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং ব্যাংকিং খাতের সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুদ্রা সংকোচন নীতি এবং আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগের সংকট তীব্র হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এ সম্মেলনে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর আগে নিজস্ব বিনিয়োগে জোর দিতে হবে। তিনি উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা শক্তিশালী করতে নিজেকে সাহায্যকারী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ব্যবসা সহজ করতে প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার বিদেশি বিনিয়োগের সীমিত পরিসরের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ভিয়েতনাম যেখানে গত আট মাসে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে, বাংলাদেশে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার এসেছে।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু সরকারি ও বেসরকারি খাতে মুদ্রা নীতির বৈষম্যের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, সংকোচন নীতি বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে, ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে পড়েছে।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল পরিবেশ প্রত্যাশা করেন, যা অন্তর্বর্তী সরকারে আস্থা অর্জন ছাড়া সম্ভব নয়।”
ব্যাংকিং খাতে ধীর গতি নিয়ে সিটি ব্যাংকের এমডি এস এম মাশরুর আরেফিন বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা আর খারাপ হবে না, তবে ব্যবসার গতি না বাড়ালে খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকবে। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন ব্যাংকিং খাতে গত ১৫ বছরে চলমান অনিয়ম এবং দুর্নীতির সংকটকে “সুনামি” হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সাম্প্রতিককালে অর্থনীতির জন্য সঠিক নীতি গ্রহণের প্রশংসা করেন।
এছাড়া ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে জ্বালানির সরবরাহ এবং উৎপাদনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি দ্রুত একটি আধুনিক রিফাইনারি স্থাপনেরও পরামর্শ দেন, যা শিল্প ও ব্যবসা খাতে জ্বালানি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সোমবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং ব্যাংকিং খাতের সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুদ্রা সংকোচন নীতি এবং আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগের সংকট তীব্র হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এ সম্মেলনে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর আগে নিজস্ব বিনিয়োগে জোর দিতে হবে। তিনি উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা শক্তিশালী করতে নিজেকে সাহায্যকারী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ব্যবসা সহজ করতে প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার বিদেশি বিনিয়োগের সীমিত পরিসরের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ভিয়েতনাম যেখানে গত আট মাসে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে, বাংলাদেশে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার এসেছে।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু সরকারি ও বেসরকারি খাতে মুদ্রা নীতির বৈষম্যের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, সংকোচন নীতি বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে, ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে পড়েছে।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল পরিবেশ প্রত্যাশা করেন, যা অন্তর্বর্তী সরকারে আস্থা অর্জন ছাড়া সম্ভব নয়।”
ব্যাংকিং খাতে ধীর গতি নিয়ে সিটি ব্যাংকের এমডি এস এম মাশরুর আরেফিন বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা আর খারাপ হবে না, তবে ব্যবসার গতি না বাড়ালে খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকবে। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন ব্যাংকিং খাতে গত ১৫ বছরে চলমান অনিয়ম এবং দুর্নীতির সংকটকে “সুনামি” হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সাম্প্রতিককালে অর্থনীতির জন্য সঠিক নীতি গ্রহণের প্রশংসা করেন।
এছাড়া ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে জ্বালানির সরবরাহ এবং উৎপাদনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি দ্রুত একটি আধুনিক রিফাইনারি স্থাপনেরও পরামর্শ দেন, যা শিল্প ও ব্যবসা খাতে জ্বালানি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।