৯ দফা দাবিতে ফের রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় রাজধানীর গুলিস্তানে নটর ডেম কলেজের নাঈম হাসানের নিহতের ঘটনায় বিচার নিশ্চিত এবং বাসে হাফ পাস কার্যকর করা।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড়ে রোববার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। একই সময়ে শান্তিনগর মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়েছে ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসেই ধানমন্ডি, রামপুরা, শান্তিনগর এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজট। এর প্রভাব পড়ছে অন্যান্য সড়কগুলোতে।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইহসানুল ফিরদাউস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণদের ভোগান্তি যেন না হয় সেজন্য আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে কিছুক্ষণ পর আমরা রাস্তা ক্লিয়ার করে দেব।’
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন বলেন, ‘ইমপেরিয়াল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কিছুক্ষণ তাদের দাবি জানিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেবে।’
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের দক্ষিণ পাশে নটর ডেম কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে ধাক্কা দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লাবাহী ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার বিচার, বাসে হাফ পাস কার্যকর এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে টানা দুই দিন বিক্ষোভের পর শুক্রবার বিরতি দিয়ে ফের রাস্তায় নেমেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল:
০১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সকল সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে ও পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
০২. ঢাকাসহ সারা দেশে সকল গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
০৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
০৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সকল যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
০৫. পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে (এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে)।
০৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।
০৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সকল কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
০৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
০৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।
দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
৯ দফা দাবিতে ফের রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় রাজধানীর গুলিস্তানে নটর ডেম কলেজের নাঈম হাসানের নিহতের ঘটনায় বিচার নিশ্চিত এবং বাসে হাফ পাস কার্যকর করা।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড়ে রোববার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। একই সময়ে শান্তিনগর মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়েছে ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসেই ধানমন্ডি, রামপুরা, শান্তিনগর এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজট। এর প্রভাব পড়ছে অন্যান্য সড়কগুলোতে।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইহসানুল ফিরদাউস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণদের ভোগান্তি যেন না হয় সেজন্য আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে কিছুক্ষণ পর আমরা রাস্তা ক্লিয়ার করে দেব।’
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন বলেন, ‘ইমপেরিয়াল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কিছুক্ষণ তাদের দাবি জানিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেবে।’
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের দক্ষিণ পাশে নটর ডেম কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে ধাক্কা দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লাবাহী ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার বিচার, বাসে হাফ পাস কার্যকর এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে টানা দুই দিন বিক্ষোভের পর শুক্রবার বিরতি দিয়ে ফের রাস্তায় নেমেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল:
০১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সকল সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে ও পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
০২. ঢাকাসহ সারা দেশে সকল গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
০৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
০৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সকল যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
০৫. পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে (এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে)।
০৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।
০৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সকল কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
০৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
০৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।
দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।