alt

নগর-মহানগর

‘বিশৃঙ্খলায় ঢাকায় বাসে যাত্রী পরিবহন কম’

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ : বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচলের জন্য ৩৮৬টি রুটে মধ্যে বর্তমানে ১২৮টি রুট সচল আছে। এসব রুটে প্রায় সাত হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করে বলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ জানায়। তবে এখন বাস্তবে প্রায় চার হাজার বাস চলাচল করে বলে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এসব বাসে দৈনিক প্রায় ৩০ লাখ মানুষ পরিবহন করা হয়। অফিস যখন শুরু হয় এবং যখন ছুটি হয় এই দুই সময়ই গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে। দিনের অন্যান্য সময় যে পরিমাণ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করে; অফিসের সময় তার দেড় গুণের বেশি যাত্রী পরিবহন করা হয় বলে বুয়েটের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অফিস-আদালত খোলা রেখে শনিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস-ট্রেন-লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

অফিস খোলা কিন্তু অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে বাস সংকটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলার কারণে বাসে স্বাভাবিক সময় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে যদি অফিস খোলা রেখে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হয় তাহলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।’

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক সমীক্ষায় তথ্যমতে, ঢাকায় এক রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাসের মধ্যে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। একটির পথ আগলে অন্য বাসে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। ফলে ঢাকা শহরের বাসগুলোর সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। যাত্রা সময়ও বিলম্বিত হচ্ছে। এতে রাজধানীর বাসপ্রতি যাত্রী চলাচল বিশ্বের অন্য শহরের তুলনায় অর্ধেকের কম হয়। এ ছাড়া যানজটের কারণে বাস নির্ধারিত ট্রিপ দিতে পারে না।

২০১৮ সালের পরিচালনা করা বুয়েটের এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, ঢাকার ছয় হাজার বাসে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চলাচল করে। অর্থাৎ বাসপ্রতি দৈনিক ৫০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মুম্বাই শহরে বাস রয়েছে আরও কম, তিন হাজার ৬০০। তবে এসব বাসে যাত্রী বহন করা হয় দৈনিক গড়ে ৪৮ লাখ। অর্থাৎ বাসপ্রতি যাত্রী পরিবহনের হার এক হাজার ৩৩৩। আর সিঙ্গাপুর শহরে বাস রয়েছে তিন হাজার। এর মাধ্যমে ঢাকার চেয়ে বেশি প্রায় ৩২ লাখ যাত্রী দৈনিক পরিবহন করা হয়। এক্ষেত্রে বাসপ্রতি যাত্রীর সংখ্যা এক হাজার ৬৭।

এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. মোয়াজ্জেম হোসেন সংবাদকে বলেন, সিঙ্গাপুর ও মুম্বাইয়ে রয়েছে পরিকল্পিত বাস নেটওয়ার্ক। এক রুটে চলাচল করে একটি কোম্পানির বাস। এ জন্য এত বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা যায়। আবার বাসগুলোতে যাত্রীদের খুব বেশি ভিড়ও হয় না। অথচ ঢাকার বিভিন্ন বাসে যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ থাকে সব সময়ই। যাত্রীদের মধ্যেও বাসে উঠার জন্য প্রতিযোগিতা লেগে যায়। অনেক যাত্রী নিয়মিতই দাঁড়িয়ে এমনকি দরজায় ঝুলেও যাতায়াত করেন। গত এক দশকে বাসে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে পরিকল্পিত বাস নেটওয়ার্ক না গড়ে তোলা গেলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।’ এর মধ্যে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করা হলে বাস সংকটের কারণে যাত্রী চাপ আরও বেড়ে যাবে। তাই এই দুর্যোগের সময় বিআরটিসি সব বাস ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বাস যাত্রী পরিবহনে ব্যবহারের পরামর্শ দেন অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিট ফাঁকা রেখে বাস পরিচালনা করলে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাবে। এ জন্য সরকারি সংস্থার বাস ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাস যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ আছে তাদের অফিসে না আসার পরামর্শ আমার।’

ছবি

আনু মুহাম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

ছবি

এবার এডিসের লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা: মেয়র আতিক

ছবি

রিহ্যাবের মতামত ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করার দাবি

ছবি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা, দাম বাড়ানোর দাবি

ছবি

ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের

ছবি

রেকি করে ফাঁকা ঢাকায় চুরি করতেন তারা

ছবি

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আইনজীবীদের গাউন পড়নে শিথিলতা

ছবি

হাতিরঝিলে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

ছবি

শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস

ছবি

শিশু হাসপাতালে আগুন, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইদা বাস থার্ড টার্মিনালে, প্রকৌশলী নিহত

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

ছবি

ভাষানটেকে বাবা-মা-দাদির পরে চলে গেল লামিয়াও

ছবি

যমুনা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার, ঢাকামুখী পথ সচল

ছবি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

ছবি

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: শাশুড়ি ও স্ত্রীর পর স্বামীও মারা গেছে

ছবি

পহেলা বৈশাখে জাহানারা জাদুঘরের বিশেষ প্রদর্শনী

ছবি

চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

ছবি

ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৮

ঢাবি চারুকলার বকুলতলায় গান-নাচ-আবৃত্তিতে চৈত্রসংক্রান্তি উদ্‌যাপন

ছবি

ঢাকায় এসেছে ইসরায়েলের ফ্লাইট, বেবিচকের ব্যাখা

ছবি

বর্ষবরণের অপেক্ষায় রমনা

ছবি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গাড়িতে আগুন লাগে জানান পুলিশ

লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড

ছবি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর প্রাইভেট কারে আগুন

রাজধানীর শাহজাদপুরে বুথের নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা

ছবি

যাত্রীদের পিটুনিতে হয়নি চালক-সহকারীর মৃত্যু, হেলপার গল্প সাজিয়েছে বলছে পুলিশ

ছবি

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

ছবি

মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা

ছবি

কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

আবাসিক হোটেল থেকে নির্মাতা সোহানুর রহমানের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

কেটলির শর্টসার্কিট থেকে লিকেজের গ্যাসে বিস্তার

ছবি

জনগণের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশের সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে : আইজিপি

tab

নগর-মহানগর

‘বিশৃঙ্খলায় ঢাকায় বাসে যাত্রী পরিবহন কম’

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচলের জন্য ৩৮৬টি রুটে মধ্যে বর্তমানে ১২৮টি রুট সচল আছে। এসব রুটে প্রায় সাত হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করে বলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ জানায়। তবে এখন বাস্তবে প্রায় চার হাজার বাস চলাচল করে বলে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এসব বাসে দৈনিক প্রায় ৩০ লাখ মানুষ পরিবহন করা হয়। অফিস যখন শুরু হয় এবং যখন ছুটি হয় এই দুই সময়ই গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে। দিনের অন্যান্য সময় যে পরিমাণ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করে; অফিসের সময় তার দেড় গুণের বেশি যাত্রী পরিবহন করা হয় বলে বুয়েটের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অফিস-আদালত খোলা রেখে শনিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস-ট্রেন-লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

অফিস খোলা কিন্তু অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে বাস সংকটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলার কারণে বাসে স্বাভাবিক সময় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে যদি অফিস খোলা রেখে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হয় তাহলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।’

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক সমীক্ষায় তথ্যমতে, ঢাকায় এক রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাসের মধ্যে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। একটির পথ আগলে অন্য বাসে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। ফলে ঢাকা শহরের বাসগুলোর সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। যাত্রা সময়ও বিলম্বিত হচ্ছে। এতে রাজধানীর বাসপ্রতি যাত্রী চলাচল বিশ্বের অন্য শহরের তুলনায় অর্ধেকের কম হয়। এ ছাড়া যানজটের কারণে বাস নির্ধারিত ট্রিপ দিতে পারে না।

২০১৮ সালের পরিচালনা করা বুয়েটের এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, ঢাকার ছয় হাজার বাসে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চলাচল করে। অর্থাৎ বাসপ্রতি দৈনিক ৫০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মুম্বাই শহরে বাস রয়েছে আরও কম, তিন হাজার ৬০০। তবে এসব বাসে যাত্রী বহন করা হয় দৈনিক গড়ে ৪৮ লাখ। অর্থাৎ বাসপ্রতি যাত্রী পরিবহনের হার এক হাজার ৩৩৩। আর সিঙ্গাপুর শহরে বাস রয়েছে তিন হাজার। এর মাধ্যমে ঢাকার চেয়ে বেশি প্রায় ৩২ লাখ যাত্রী দৈনিক পরিবহন করা হয়। এক্ষেত্রে বাসপ্রতি যাত্রীর সংখ্যা এক হাজার ৬৭।

এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. মোয়াজ্জেম হোসেন সংবাদকে বলেন, সিঙ্গাপুর ও মুম্বাইয়ে রয়েছে পরিকল্পিত বাস নেটওয়ার্ক। এক রুটে চলাচল করে একটি কোম্পানির বাস। এ জন্য এত বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা যায়। আবার বাসগুলোতে যাত্রীদের খুব বেশি ভিড়ও হয় না। অথচ ঢাকার বিভিন্ন বাসে যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ থাকে সব সময়ই। যাত্রীদের মধ্যেও বাসে উঠার জন্য প্রতিযোগিতা লেগে যায়। অনেক যাত্রী নিয়মিতই দাঁড়িয়ে এমনকি দরজায় ঝুলেও যাতায়াত করেন। গত এক দশকে বাসে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে পরিকল্পিত বাস নেটওয়ার্ক না গড়ে তোলা গেলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।’ এর মধ্যে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করা হলে বাস সংকটের কারণে যাত্রী চাপ আরও বেড়ে যাবে। তাই এই দুর্যোগের সময় বিআরটিসি সব বাস ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বাস যাত্রী পরিবহনে ব্যবহারের পরামর্শ দেন অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিট ফাঁকা রেখে বাস পরিচালনা করলে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাবে। এ জন্য সরকারি সংস্থার বাস ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাস যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ আছে তাদের অফিসে না আসার পরামর্শ আমার।’

back to top