alt

নগর-মহানগর

আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিমছড়ি পাহাড়, ঝুঁকিপূর্ণ উঠা-নামার পথ

বাকী বিল্লাহ, হিমছড়ি থেকে ফিরে : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিমছড়ি পাহাড় ও ঝরনা। প্রতি বছর দেশি-বিদেশি প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যটক হিমছড়ির পর্যটক স্পটে বেড়াতে যান। যদিও পর্যটকরা ২৩ টাকায় প্রবেশ টিকেট কিনে ভিতরে ঢুকেই হতাশ হয়ে পড়েন।

সমতল ভূমি থেকে পাহাড়ে উঠার একমাত্র সিড়িটি এত ছোট যে সেখানে পা রাখা কষ্টকর। আবার দেখলেও ভয় লাগে। তাই টিকেট কিনেও ভেতরে আনেক পর্যটক পাহাড়ে উঠার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তারা কর্তৃপক্ষকে বকাঝকা করে ফিরে যান। পর্যটকদের অভিযোগ শোনার কেউ নেই। অনেকের মতে, পাহাড়ের উপরে উঠার সিঁড়িটি বিপজ্জনক।

সরেজমিন হিমছড়ি গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারে যত পর্যটক যান তারা এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় অটোরিকশা, টমটম কিংবা অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করে হিমছড়ি পর্যটন স্পটেও বেড়াতে যান। গাড়িটি প্রধান সড়কের কাছে থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ইজাদারের লোকজনকে প্রথমে ৩০ টাকা দিতে হয়। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কয়েক গজ দূরে হিমছড়ি পাহার ও ঝরনার প্রবেশপথে আবার ২৩ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়।

টিকেট কিনে প্রথমে পাহাড়ে উপরে উঠতে গিয়ে পর্যটরা হোঁচট খান। কখন কে পড়ে আহত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন। উঠতি বয়সের কিছু পর্যটক উপরে উঠলেও রাস্তাগুলো অনেক বছরের পুরনো। ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে আছে। একবার দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে।

পাহাড়ের উপরে ছোট ছোট দোকানপাট ভাড়া দেয়া হয়েছে। কেউ একবার উঠলে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা তাকে বিশ্রাম নিয়ে নিচে নামতে হয়। ভাঙা ইট, মাটির উপর দিয়ে ভয়-আতঙ্কে পাহাড়ে বসে বা দাঁড়িয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। এরপরও পর্যটকরা পাহাড়ে সুখ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ছবিও তোলেন।

হিমছড়ি পাহাড়ের উপরে দোকানদার গিয়াস উদ্দিন জানান, বছর বছর কোটি টাকার টেন্ডার হলেও উন্নয়ন হয় না। পর্যটকরা পাহাড়ে উঠতে পারে না। তাই দোকানে বেচা-কেনাও কম। মাঝে মধ্যে বন্যহাতি পর্যটন স্পটে ঢুকে পড়ে।

তার মতে, এ পর্যটন স্পটে প্রতিদিন অনেকেই বেড়াতে যান। পাহাড়ে উঠে সাগর দেখার ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর দোকানে কেনাকাটা বাড়বে।

কয়েকজন নারী পর্যটক বলেন, হিমছড়ি পাহাড়ে গিয়ে টাকা খরচ ছাড়া কোন আনন্দ নেই। পাহাড়ে উঠা কষ্টকর ও ঝরনার স্থানটি আকর্ষণীয় করা হয়নি। বন বিভাগ শুধু টাকায়ই নেয়। সেখানে একটু বসা ও হালকা খাবারের ব্যবস্থা নেই। ধুলা-বালুর মধ্যে সবকিছু। আর ছোটখাটো দোকানগুলো যেন পর্যটকদের পকেট কাটতে বসছে। সেখানে কোন নিয়মকানুন নেই। প্রতিটি জিনিস চড়া দামে বিক্রি করছে। একটি ডাব (বড়) আড়াইশ’ টাকা, ছোট ২শ’ টাকা। ওইসব ডাব ঢাকায় সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা। নিচে ৬০ টাকাও বিক্রি হয়। নিয়ম-কানুন না থাকায় ক্ষুদ্র অসাধু ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের পকেট কাটেন।

এ সম্পর্কে কক্সবাজার দক্ষিণের বন বিভাগের ডিএফও সরোয়ার আলম মুঠোফোনে জানান, হিমছড়ি পাহাড়ের উঠার সিঁড়িটি অনেক সরু। পর্যটকদের উঠতে কষ্ট হয় বলে তিনি স্বীকার করেন। ২০১২ সালে সম্ভবত সিঁড়িটি তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

তাই নতুন করে নামার জন্য আরেকটি আধুনিক সিঁড়ি করার প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ক্যাপসুল লিফট চালু করার যায় কি না তা নিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।

চলতি বছর হিমছড়ির এই পর্যটন স্পটটি এক কোটি ২০ লাখ টাকায় টেন্ডার দেয়া হয়েছে। লিফট চালু করলে পর্যটক আরও বাড়বে। বছরে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যটক হিমছড়িতে বেড়াতে যান।

পাহাড়ের উপরে পর্যটকদের বিশ্রাম, খাবারের ব্যবস্থা করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ঝুলন্ত সেতু করলেও সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে বলে পর্যটকরা মন্তব্য করেন।

ছবি

আনু মুহাম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

ছবি

এবার এডিসের লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা: মেয়র আতিক

ছবি

রিহ্যাবের মতামত ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করার দাবি

ছবি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা, দাম বাড়ানোর দাবি

ছবি

ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের

ছবি

রেকি করে ফাঁকা ঢাকায় চুরি করতেন তারা

ছবি

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আইনজীবীদের গাউন পড়নে শিথিলতা

ছবি

হাতিরঝিলে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

ছবি

শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস

ছবি

শিশু হাসপাতালে আগুন, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইদা বাস থার্ড টার্মিনালে, প্রকৌশলী নিহত

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

ছবি

ভাষানটেকে বাবা-মা-দাদির পরে চলে গেল লামিয়াও

ছবি

যমুনা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার, ঢাকামুখী পথ সচল

ছবি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

ছবি

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: শাশুড়ি ও স্ত্রীর পর স্বামীও মারা গেছে

ছবি

পহেলা বৈশাখে জাহানারা জাদুঘরের বিশেষ প্রদর্শনী

ছবি

চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

ছবি

ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৮

ঢাবি চারুকলার বকুলতলায় গান-নাচ-আবৃত্তিতে চৈত্রসংক্রান্তি উদ্‌যাপন

ছবি

ঢাকায় এসেছে ইসরায়েলের ফ্লাইট, বেবিচকের ব্যাখা

ছবি

বর্ষবরণের অপেক্ষায় রমনা

ছবি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গাড়িতে আগুন লাগে জানান পুলিশ

লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড

ছবি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর প্রাইভেট কারে আগুন

রাজধানীর শাহজাদপুরে বুথের নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা

ছবি

যাত্রীদের পিটুনিতে হয়নি চালক-সহকারীর মৃত্যু, হেলপার গল্প সাজিয়েছে বলছে পুলিশ

ছবি

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

ছবি

মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা

ছবি

কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

আবাসিক হোটেল থেকে নির্মাতা সোহানুর রহমানের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

কেটলির শর্টসার্কিট থেকে লিকেজের গ্যাসে বিস্তার

ছবি

জনগণের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশের সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে : আইজিপি

tab

নগর-মহানগর

আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিমছড়ি পাহাড়, ঝুঁকিপূর্ণ উঠা-নামার পথ

বাকী বিল্লাহ, হিমছড়ি থেকে ফিরে

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিমছড়ি পাহাড় ও ঝরনা। প্রতি বছর দেশি-বিদেশি প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যটক হিমছড়ির পর্যটক স্পটে বেড়াতে যান। যদিও পর্যটকরা ২৩ টাকায় প্রবেশ টিকেট কিনে ভিতরে ঢুকেই হতাশ হয়ে পড়েন।

সমতল ভূমি থেকে পাহাড়ে উঠার একমাত্র সিড়িটি এত ছোট যে সেখানে পা রাখা কষ্টকর। আবার দেখলেও ভয় লাগে। তাই টিকেট কিনেও ভেতরে আনেক পর্যটক পাহাড়ে উঠার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তারা কর্তৃপক্ষকে বকাঝকা করে ফিরে যান। পর্যটকদের অভিযোগ শোনার কেউ নেই। অনেকের মতে, পাহাড়ের উপরে উঠার সিঁড়িটি বিপজ্জনক।

সরেজমিন হিমছড়ি গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারে যত পর্যটক যান তারা এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় অটোরিকশা, টমটম কিংবা অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করে হিমছড়ি পর্যটন স্পটেও বেড়াতে যান। গাড়িটি প্রধান সড়কের কাছে থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ইজাদারের লোকজনকে প্রথমে ৩০ টাকা দিতে হয়। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কয়েক গজ দূরে হিমছড়ি পাহার ও ঝরনার প্রবেশপথে আবার ২৩ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়।

টিকেট কিনে প্রথমে পাহাড়ে উপরে উঠতে গিয়ে পর্যটরা হোঁচট খান। কখন কে পড়ে আহত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন। উঠতি বয়সের কিছু পর্যটক উপরে উঠলেও রাস্তাগুলো অনেক বছরের পুরনো। ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে আছে। একবার দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে।

পাহাড়ের উপরে ছোট ছোট দোকানপাট ভাড়া দেয়া হয়েছে। কেউ একবার উঠলে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা তাকে বিশ্রাম নিয়ে নিচে নামতে হয়। ভাঙা ইট, মাটির উপর দিয়ে ভয়-আতঙ্কে পাহাড়ে বসে বা দাঁড়িয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। এরপরও পর্যটকরা পাহাড়ে সুখ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ছবিও তোলেন।

হিমছড়ি পাহাড়ের উপরে দোকানদার গিয়াস উদ্দিন জানান, বছর বছর কোটি টাকার টেন্ডার হলেও উন্নয়ন হয় না। পর্যটকরা পাহাড়ে উঠতে পারে না। তাই দোকানে বেচা-কেনাও কম। মাঝে মধ্যে বন্যহাতি পর্যটন স্পটে ঢুকে পড়ে।

তার মতে, এ পর্যটন স্পটে প্রতিদিন অনেকেই বেড়াতে যান। পাহাড়ে উঠে সাগর দেখার ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর দোকানে কেনাকাটা বাড়বে।

কয়েকজন নারী পর্যটক বলেন, হিমছড়ি পাহাড়ে গিয়ে টাকা খরচ ছাড়া কোন আনন্দ নেই। পাহাড়ে উঠা কষ্টকর ও ঝরনার স্থানটি আকর্ষণীয় করা হয়নি। বন বিভাগ শুধু টাকায়ই নেয়। সেখানে একটু বসা ও হালকা খাবারের ব্যবস্থা নেই। ধুলা-বালুর মধ্যে সবকিছু। আর ছোটখাটো দোকানগুলো যেন পর্যটকদের পকেট কাটতে বসছে। সেখানে কোন নিয়মকানুন নেই। প্রতিটি জিনিস চড়া দামে বিক্রি করছে। একটি ডাব (বড়) আড়াইশ’ টাকা, ছোট ২শ’ টাকা। ওইসব ডাব ঢাকায় সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা। নিচে ৬০ টাকাও বিক্রি হয়। নিয়ম-কানুন না থাকায় ক্ষুদ্র অসাধু ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের পকেট কাটেন।

এ সম্পর্কে কক্সবাজার দক্ষিণের বন বিভাগের ডিএফও সরোয়ার আলম মুঠোফোনে জানান, হিমছড়ি পাহাড়ের উঠার সিঁড়িটি অনেক সরু। পর্যটকদের উঠতে কষ্ট হয় বলে তিনি স্বীকার করেন। ২০১২ সালে সম্ভবত সিঁড়িটি তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

তাই নতুন করে নামার জন্য আরেকটি আধুনিক সিঁড়ি করার প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ক্যাপসুল লিফট চালু করার যায় কি না তা নিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।

চলতি বছর হিমছড়ির এই পর্যটন স্পটটি এক কোটি ২০ লাখ টাকায় টেন্ডার দেয়া হয়েছে। লিফট চালু করলে পর্যটক আরও বাড়বে। বছরে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যটক হিমছড়িতে বেড়াতে যান।

পাহাড়ের উপরে পর্যটকদের বিশ্রাম, খাবারের ব্যবস্থা করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ঝুলন্ত সেতু করলেও সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে বলে পর্যটকরা মন্তব্য করেন।

back to top