সিলেটে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে নগরীর আম্বরখানা এলাকায়। এর আগে তার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
নিহত যুবকের নাম আবুল হাসান (২৯) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর এলাকার পূর্বভাগ কলাশহর গ্রারেম মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের ছোট বোনের স্বামী মোস্তফা আকমল বুধবার (১৯ জুন) বিকালে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে আমার সম্বন্ধি (আবুল হাসান) মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিলেট আসার উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ভাদেশ্বর থেকে রওয়ানা হন। সঙ্গে তার এক চাচাতো ভাই ছিলেন। তারা উঠার সময় গাড়িতে আগে থেকে দুজন যাত্রী বসা ছিলেন। তারা দুজন গোলাপগঞ্জ এসে নেমে যান এবং আরও দুজন যাত্রী সিলেট আসার জন্য অটোরিকশায় উঠেন। পরে দক্ষিণ সুরমার ওভারব্রিজে এসে গাড়িতে উঠেন আরও এক যাত্রী। এরপরই আমার সম্বন্ধি ও তার চাচাতো ভাই অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের আর কিছু মনে ছিলো না। পরে জ্ঞান ফিরলে তারা নিজেদের একটি ভবনের ছাদে দেখতে পান। এসময় তাদের ৪-৫ জন যুবক বেধড়ক মারধর করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর আগে দুজনের মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা নগদ প্রায় ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে আমার সম্বন্ধি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে মারধরকারীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় আমার সম্বন্ধির চাচাতো ভাই ওই ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে জায়গাটি আম্বরখানা পয়েন্ট এলাকা দেখতে পান এবং লোকজনকে ডেকে বিষয়টি বলেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার সম্বন্ধিকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ও ওসমানী হাসপাতালে আইসিইউ না পাওয়ায় আমার সম্বন্ধিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
মোস্তফা আকমল আরও বলেন, পুলিশের পরামর্শে এখন লাশের ময়না তদন্ত হচ্ছে। দাফন শেষে আমরা মামলা দায়ের করবো।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তবে ঘটনা যেহেতু সিলেট শহরে, তাই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। নিহতের স্বজনদের পরামর্শ দিয়েছি- লাশের ময়না তদন্ত করাতে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে সব সহযোগিতা করবো।
বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
সিলেটে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে নগরীর আম্বরখানা এলাকায়। এর আগে তার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
নিহত যুবকের নাম আবুল হাসান (২৯) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর এলাকার পূর্বভাগ কলাশহর গ্রারেম মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের ছোট বোনের স্বামী মোস্তফা আকমল বুধবার (১৯ জুন) বিকালে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে আমার সম্বন্ধি (আবুল হাসান) মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিলেট আসার উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ভাদেশ্বর থেকে রওয়ানা হন। সঙ্গে তার এক চাচাতো ভাই ছিলেন। তারা উঠার সময় গাড়িতে আগে থেকে দুজন যাত্রী বসা ছিলেন। তারা দুজন গোলাপগঞ্জ এসে নেমে যান এবং আরও দুজন যাত্রী সিলেট আসার জন্য অটোরিকশায় উঠেন। পরে দক্ষিণ সুরমার ওভারব্রিজে এসে গাড়িতে উঠেন আরও এক যাত্রী। এরপরই আমার সম্বন্ধি ও তার চাচাতো ভাই অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের আর কিছু মনে ছিলো না। পরে জ্ঞান ফিরলে তারা নিজেদের একটি ভবনের ছাদে দেখতে পান। এসময় তাদের ৪-৫ জন যুবক বেধড়ক মারধর করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর আগে দুজনের মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা নগদ প্রায় ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে আমার সম্বন্ধি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে মারধরকারীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় আমার সম্বন্ধির চাচাতো ভাই ওই ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে জায়গাটি আম্বরখানা পয়েন্ট এলাকা দেখতে পান এবং লোকজনকে ডেকে বিষয়টি বলেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার সম্বন্ধিকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ও ওসমানী হাসপাতালে আইসিইউ না পাওয়ায় আমার সম্বন্ধিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
মোস্তফা আকমল আরও বলেন, পুলিশের পরামর্শে এখন লাশের ময়না তদন্ত হচ্ছে। দাফন শেষে আমরা মামলা দায়ের করবো।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তবে ঘটনা যেহেতু সিলেট শহরে, তাই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। নিহতের স্বজনদের পরামর্শ দিয়েছি- লাশের ময়না তদন্ত করাতে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে সব সহযোগিতা করবো।