অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, মাটি খুঁড়ে ৪৬ লাখ টাকা উদ্ধার
পুরান ঢাকায় স্টার হোটেলের সামনে থেকে ব্যবসায়ীর ৫২ লাখ টাকা লুট হয়েছে। ঈদের আগে এ ঘটনা ঘটছে। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে অভিযুক্ত ড্রাইভার রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার থেকে মাটি খুড়ে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও গাজীপুর থেকে মাটি খুঁড়ে পাতিলের মধ্যে রাখা আরও ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার কোতয়ালী থানার এসি নজরুল ইসলাম বুধবার (১৯ জুন) সংবাদকে জানান, ঈদের আগে রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী শওকত হোসেন সুমন তার হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ৫২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। ওই টাকা সঙ্গে নিয়ে তিনি রেন্টে গাড়ি ভাড়া করেন।
টাকাভর্তি ব্যাগ গাড়িতে নিয়ে প্রথমে পুরান ঢাকার কোর্টসংলগ্ন (আদালত) জনসন রোডে যান। কোর্টের অদূরে স্টার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়িতে রেখে তিনি হোটেলে নাস্তা করতে ঢুকেন।
তখন সুযোগ বুঝে ড্রাইভার রুবেল টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ব্যবসায়ী সুমন অনেক চেষ্টা করেও ড্রাইভার রুবেলকে খুঁজে না পেয়ে গত ১৪ জুন সূত্রাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। তারা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ড্রাইভারের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে ড্রাইভার রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।
তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে টাকা লুটের ঘটনা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মতে, কক্সবাজার থেকে মাটি খুঁড়ে লুটকৃত টাকার ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর অবশিষ্ট টাকা গাজীপুরের গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভার রুবেল লুটকৃত টাকা মাটি খুঁড়ে পলিথিনের ব্যাগ ভর্তি করে। এরপর পাতিলের ভিতর ভর্তি করে মাটি চাপা দিয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তার ওই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে মোট ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরান ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী, মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ী, নয়াবাজারের কাগজ ব্যবসায়ী, সোয়ারিঘাট, চম্পাটলী, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী পুলিশের সহায়তা না নিয়ে স্বাভাবিকভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করে।
এই টাকা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেট বা স্থানীয় ব্যাংকে তারা হাতে বা ব্যাগে ভর্তি করে নিয়ে যায়। তখনই ছিনতাইকারী বা সন্ত্রাসীর কবলে পড়ে সব হারাতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেন। তখনই থানা পুলিশসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটগুলো টাকা উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠে। এখন লুটের টাকা উদ্ধারও হচ্ছে। আর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করলেও ব্যবসায়ীরা ঢিলা-ঢালা ভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। লুট হওয়া টাকার মালিক শওকত হোসেন সুমনে রূপগঞ্জে একটি হাসপাতালও আছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী শওকত হোসেন সুমন সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, তার হাসপাতাল ছাড়াও আরও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৫২ লাখ টাকা নিয়ে তিনি কোর্টে যান। সেখানে কাজ শেষ করে পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু রেন্টাকারের ড্রাইভার টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, মাটি খুঁড়ে ৪৬ লাখ টাকা উদ্ধার
বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
পুরান ঢাকায় স্টার হোটেলের সামনে থেকে ব্যবসায়ীর ৫২ লাখ টাকা লুট হয়েছে। ঈদের আগে এ ঘটনা ঘটছে। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে অভিযুক্ত ড্রাইভার রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার থেকে মাটি খুড়ে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও গাজীপুর থেকে মাটি খুঁড়ে পাতিলের মধ্যে রাখা আরও ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার কোতয়ালী থানার এসি নজরুল ইসলাম বুধবার (১৯ জুন) সংবাদকে জানান, ঈদের আগে রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী শওকত হোসেন সুমন তার হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ৫২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। ওই টাকা সঙ্গে নিয়ে তিনি রেন্টে গাড়ি ভাড়া করেন।
টাকাভর্তি ব্যাগ গাড়িতে নিয়ে প্রথমে পুরান ঢাকার কোর্টসংলগ্ন (আদালত) জনসন রোডে যান। কোর্টের অদূরে স্টার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়িতে রেখে তিনি হোটেলে নাস্তা করতে ঢুকেন।
তখন সুযোগ বুঝে ড্রাইভার রুবেল টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ব্যবসায়ী সুমন অনেক চেষ্টা করেও ড্রাইভার রুবেলকে খুঁজে না পেয়ে গত ১৪ জুন সূত্রাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। তারা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ড্রাইভারের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে ড্রাইভার রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।
তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে টাকা লুটের ঘটনা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মতে, কক্সবাজার থেকে মাটি খুঁড়ে লুটকৃত টাকার ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর অবশিষ্ট টাকা গাজীপুরের গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভার রুবেল লুটকৃত টাকা মাটি খুঁড়ে পলিথিনের ব্যাগ ভর্তি করে। এরপর পাতিলের ভিতর ভর্তি করে মাটি চাপা দিয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তার ওই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে মোট ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরান ঢাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী, মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ী, নয়াবাজারের কাগজ ব্যবসায়ী, সোয়ারিঘাট, চম্পাটলী, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী পুলিশের সহায়তা না নিয়ে স্বাভাবিকভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করে।
এই টাকা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেট বা স্থানীয় ব্যাংকে তারা হাতে বা ব্যাগে ভর্তি করে নিয়ে যায়। তখনই ছিনতাইকারী বা সন্ত্রাসীর কবলে পড়ে সব হারাতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেন। তখনই থানা পুলিশসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটগুলো টাকা উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠে। এখন লুটের টাকা উদ্ধারও হচ্ছে। আর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করলেও ব্যবসায়ীরা ঢিলা-ঢালা ভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। লুট হওয়া টাকার মালিক শওকত হোসেন সুমনে রূপগঞ্জে একটি হাসপাতালও আছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী শওকত হোসেন সুমন সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, তার হাসপাতাল ছাড়াও আরও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৫২ লাখ টাকা নিয়ে তিনি কোর্টে যান। সেখানে কাজ শেষ করে পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু রেন্টাকারের ড্রাইভার টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।