alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

যাত্রাবাড়ীতে দম্পতি খুন

তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে ‘জমির বিরোধও’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দম্পতি খুনের ঘটনা ‘ডাকাতি বা সম্পদ লুট’ এর জন্য হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ২০ জুন বৃহস্পতিবার ভোরে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুরনো বিরোধের মতো কোনো কারণ আছে কি না সেসব বিষয়েও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তারা। তারা বলছেন, বাড়ির ভেতরে সব কিছু এলোমেলো করা হলেও তেমন কিছু খোয়া যায়নি। স্বজনরাও পুলিশকে গ্রামের বাড়িতে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের কথা বলেছেন।

দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করা হয়েছে। নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে পুলিশ এই জোড়া খুনের মামলায় শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। নিহত দম্পতির একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বুধবার রাত একটা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ছয়টার মধ্যে তাদের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা ঢুকে তার মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারা কেন তার মা-বাবাকে হত্যা করল, এর কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামের বাড়িতে শুধু জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেই তার মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে তার মা-বাবার মরদেহ রাজধানীর মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে শফিকুর-ফরিদা দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার ছায়া তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ। পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু কী কারণে, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান বলেন, নিহত দম্পতির বাড়ির কাছে কোনো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরা নেই। এই কারণে খুনি শনাক্তে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার ইকবাল হোসাইন বলেন, এটিকে ডাকাতি বা চুরির ঘটনা বলা যাচ্ছে না। কারণ ওই নারীর গলায় স্বর্ণের চেইনটি নেয়নি খুনিরা। তার মোবাইল ফোনটিও সেখানে পাওয়া গেছে। তবে বাসার ভেতর সব আলমারি খোলা পাওয়া গেছে। ‘এ দম্পতির স্বজনরা গ্রামের বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের কথা বলেছেন, সেগুলোসহ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে।

‘শফিকুরের ভাই মফিজুর রহমান পুলিশকে বলেছেন, তাদের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁঞায়। সেখানে শরিকদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার ভাইয়ের বিরোধ রয়েছে, যার জেরে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলাও দেয় প্রতিপক্ষ।’ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ বটতলা এলাকায় নিজের চারতলা বাড়িতে খুন হন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।

পুলিশ বলছে, এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই। মামুন ও তার স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে একই ভবনে দোতলায় থাকেন। ঈদে মামুন ফেনীতে তার দাদাবাড়ি এবং তার স্ত্রী বাবার বাড়ি যান। মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকেন। ছুটির কদিন শুধু শফিকুর ও ফরিদা বাড়িতে ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, তারা জানতে পেরেছেন শফিকুর রহমান প্রতিদিন সকালে উঠে বাড়ির পানির মোটর ছাড়তেন এবং বাসায় ফজরের সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে যেতেন জামাত ধরতে। ‘ধারণা করছি, পানির মোটর ছাড়ার জন্য তিনি ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যার পর দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে।’

পুলিশ গিয়ে বাসার নিচের প্রধান গেইট ও দোতলার ঘরের দরজা খোলা পেয়েছে। ঘরের আলমারিও খোলা ছিল। তবে ফরিদা ইয়াসমিনের গায়ে স্বর্ণালঙ্কার থাকলেও খুনিরা তা নেয়নি। বাসা থেকে কিছু খোয়া গেছে কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

শফিকুরের যাত্রাবাড়ীর বাড়িটির চারতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ অতি সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আরও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। ভবনের দোতলায় শফিকুর ও তার ছেলে ইমন পরিবার নিয়ে থাকেন। ওপরের দুই তলার পুরোটা এবং নিচতলার

একপাশ ভাড়া দেওয়া। যাত্রাবাড়ী থানার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শফিকুরের বাড়ির পাশে যে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনটি রয়েছে, সেটির দেয়ালে রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা শফিকুরের ভবনের ছাদ দিয়ে সেই ভবনে হয়ে পালিয়েছে। কিন্তু যারাই এই ঘটনা ঘটাক তারা শফিকুরের বাড়ি ও তার গতিবিধি সম্পর্কে আগেই ভালোভাবেই জানত। স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী জমির বিরোধের দিক ছাড়াও খুনিদের আসা-যাওয়ার এসব বিষয়ও বিশেষভাবে আমলে নেয়া হচ্ছে।

গজারিয়ায় ডাকাতি প্রস্ততিকালে অস্ত্রসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

ছবি

সন্তানকে গাছে বেঁধে স্বামীর কাছে ভিডিও পাঠিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ

সোনারগাঁয়ে ডাকাতি, প্রবাসির গ্রীনকার্ড, বৈদেশীক মুদ্রাসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

ছবি

ছিনতাই ও চুরি হওয়া ৭৪টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার

ছবি

জেনারেল আজিজের দুই ভাইয়ের চার এনআইডি বাতিল

ছবি

হত্যা মামলা: সাবেক আইজিপি মামুন ৪ দিনের রিমান্ডে

ছবি

এবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন

গোয়ালন্দে গুলি ও কুপিয়ে চরমপন্থী নেতা সুশিলকে হত্যা

ছবি

শরীয়তপুরে পিটিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে মেরে ফেলা সেই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

ওষুধ ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষের মারামারি

ছবি

ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, চট্টগ্রামে ‘কিলার ফয়সাল’ গ্রেপ্তার

ছবি

সিলেটের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক ৯

ছবি

চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

ছবি

বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, ১৭ মামলা

ছবি

আমি নিরপরাধ, এসব মামলা মিথ্যা-বানোয়াট: বিচারপতি মানিক

রংপুর খাদ্য গুদামের কোটি টাকার চাল-গম আত্মসাৎ

ছবি

নগদের প্রশাসককে সাবেক এমডির হুমকির অভিযোগ

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তা কাফি ফের রিমান্ডে

ত্বকীহত্যার সাথে ‘জড়িত না’ দাবি করে গ্রেপ্তার শিপন-মামুনের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ছবি

ত্বকী হত্যা: আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ গ্রেপ্তার

ছবি

পেট্রো সেন্টারে হামলা: পেট্র্রোবাংলার ৫ জন বরখাস্ত, তিতাসের এক কর্মকর্তার পদাবনতি

ছবি

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক

ছবি

চুনারুঘাটে হামলা করে জমি দখলের চেষ্টায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার -৩

নোয়াখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী খালাসি সুমন গ্রেপ্তার.

যশোরে চাঞ্চল্যকর মিঠু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি গ্রেফতার

ছবি

সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বিমানবন্দরে আটক

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সোনাসহ দুই নারী আটক

ছবি

কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ‘গন্ডার’কে গ্রেফতার করল র‌্যাব

ছবি

চিকিৎসকদের ওপর হামলা, গাইবান্ধা থেকে সঞ্জয় পাল গ্রেপ্তার

প্রভাবশালীদের দখলে বটতলী খাল : বানের পানি নামছে না, ভোগান্তিতে হাজার হাজার পরিবার

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

যমুনা সার কারখানায় চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি, আহত -৭

শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত-৩

ফরিদপুরে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

ছবি

গণহত্যায় উস্কানি : ৩০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

যাত্রাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বার পেটে ছুরিকাঘাত গর্ভের সন্তানসহ মৃত্যু

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

যাত্রাবাড়ীতে দম্পতি খুন

তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে ‘জমির বিরোধও’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দম্পতি খুনের ঘটনা ‘ডাকাতি বা সম্পদ লুট’ এর জন্য হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ২০ জুন বৃহস্পতিবার ভোরে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুরনো বিরোধের মতো কোনো কারণ আছে কি না সেসব বিষয়েও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তারা। তারা বলছেন, বাড়ির ভেতরে সব কিছু এলোমেলো করা হলেও তেমন কিছু খোয়া যায়নি। স্বজনরাও পুলিশকে গ্রামের বাড়িতে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের কথা বলেছেন।

দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করা হয়েছে। নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে পুলিশ এই জোড়া খুনের মামলায় শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। নিহত দম্পতির একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বুধবার রাত একটা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ছয়টার মধ্যে তাদের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা ঢুকে তার মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারা কেন তার মা-বাবাকে হত্যা করল, এর কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামের বাড়িতে শুধু জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেই তার মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে তার মা-বাবার মরদেহ রাজধানীর মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে শফিকুর-ফরিদা দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার ছায়া তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ। পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু কী কারণে, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান বলেন, নিহত দম্পতির বাড়ির কাছে কোনো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরা নেই। এই কারণে খুনি শনাক্তে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার ইকবাল হোসাইন বলেন, এটিকে ডাকাতি বা চুরির ঘটনা বলা যাচ্ছে না। কারণ ওই নারীর গলায় স্বর্ণের চেইনটি নেয়নি খুনিরা। তার মোবাইল ফোনটিও সেখানে পাওয়া গেছে। তবে বাসার ভেতর সব আলমারি খোলা পাওয়া গেছে। ‘এ দম্পতির স্বজনরা গ্রামের বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের কথা বলেছেন, সেগুলোসহ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে।

‘শফিকুরের ভাই মফিজুর রহমান পুলিশকে বলেছেন, তাদের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁঞায়। সেখানে শরিকদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার ভাইয়ের বিরোধ রয়েছে, যার জেরে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলাও দেয় প্রতিপক্ষ।’ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ বটতলা এলাকায় নিজের চারতলা বাড়িতে খুন হন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।

পুলিশ বলছে, এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই। মামুন ও তার স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে একই ভবনে দোতলায় থাকেন। ঈদে মামুন ফেনীতে তার দাদাবাড়ি এবং তার স্ত্রী বাবার বাড়ি যান। মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকেন। ছুটির কদিন শুধু শফিকুর ও ফরিদা বাড়িতে ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, তারা জানতে পেরেছেন শফিকুর রহমান প্রতিদিন সকালে উঠে বাড়ির পানির মোটর ছাড়তেন এবং বাসায় ফজরের সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে যেতেন জামাত ধরতে। ‘ধারণা করছি, পানির মোটর ছাড়ার জন্য তিনি ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যার পর দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে।’

পুলিশ গিয়ে বাসার নিচের প্রধান গেইট ও দোতলার ঘরের দরজা খোলা পেয়েছে। ঘরের আলমারিও খোলা ছিল। তবে ফরিদা ইয়াসমিনের গায়ে স্বর্ণালঙ্কার থাকলেও খুনিরা তা নেয়নি। বাসা থেকে কিছু খোয়া গেছে কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

শফিকুরের যাত্রাবাড়ীর বাড়িটির চারতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ অতি সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আরও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। ভবনের দোতলায় শফিকুর ও তার ছেলে ইমন পরিবার নিয়ে থাকেন। ওপরের দুই তলার পুরোটা এবং নিচতলার

একপাশ ভাড়া দেওয়া। যাত্রাবাড়ী থানার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শফিকুরের বাড়ির পাশে যে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনটি রয়েছে, সেটির দেয়ালে রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা শফিকুরের ভবনের ছাদ দিয়ে সেই ভবনে হয়ে পালিয়েছে। কিন্তু যারাই এই ঘটনা ঘটাক তারা শফিকুরের বাড়ি ও তার গতিবিধি সম্পর্কে আগেই ভালোভাবেই জানত। স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী জমির বিরোধের দিক ছাড়াও খুনিদের আসা-যাওয়ার এসব বিষয়ও বিশেষভাবে আমলে নেয়া হচ্ছে।

back to top