দক্ষিণাঞ্চলের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, যন্ত্রপাতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার স্থানেরও সংকট দীর্ঘদিনের। প্রতিদিন এই দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় দুই হাজার রোগী বহির্বিভাগে, প্রায় ছয় শত রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। অন্যদিকে এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার রোগী হাসপতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
রোগীর চাপ সামলতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর নতুন ভবনে মূল ভবন থেকে মেডিসেন ওয়ার্ডটি নির্মানাধীন পাঁচ তলা ভবনে (করোনা ওয়ার্ড হিসাবে পরিচিত) স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ভবনেও রোগীর চাপ সামাল দিতে বারান্দা, মেঝে এমনকি টয়লেটের সামনে বিছানা পেতে রোগীদেরকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। চরম স্থান সংকট থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভবনের নীচ তলার বড় বড় দুটি কক্ষ বেসরকারি মেঘনা ব্যাংকের শাখা স্থাপনের জন্য মাত্র কুড়ি হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। অথচ হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বেতন এই ব্যাংকের মাধ্যমে আসে না। হাসপাতালের সব ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। এমনকি মেঘনা ব্যাংকের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে শাখা না থাকায় হাসপাতাল ভবনে স্থাপিত শাখা রোগীদেরও কোনো উপকারে আসে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা কমিটি না থাকার সুযোগ নিয়ে বর্তমান পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত ক্ষমতা খাটিয়ে তার ছোট ভাই মনির হোসেন মেঘনা ব্যাংকের কর্মকর্তা পদে অধিষ্টিত থাকায় তার চাকুরির সুবিধার জন্য শাখাটি খোলার অনুমতি দেন। অবশ্য মনির হোসেনকে এখন অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক জানান, নতুন এই ভবনের নকশায় ব্যাংকর শাখা খোলার ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে রোগীর সব ধরনের লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হবে। এই অটোমেশন পদ্ধতির অ্যাপও প্রস্তুত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে অটোমেশন পদ্ধতির সুবিধা রোগীরা পাবে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানান রোগীদের জন্য ব্যাংকে কোনো বাড়তি সুবিধা নেই। হাসপাতালের পরিচালক জানান, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের সম্মানি এই ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিকটেই জনতা ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে।
শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
দক্ষিণাঞ্চলের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, যন্ত্রপাতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার স্থানেরও সংকট দীর্ঘদিনের। প্রতিদিন এই দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় দুই হাজার রোগী বহির্বিভাগে, প্রায় ছয় শত রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। অন্যদিকে এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার রোগী হাসপতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
রোগীর চাপ সামলতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর নতুন ভবনে মূল ভবন থেকে মেডিসেন ওয়ার্ডটি নির্মানাধীন পাঁচ তলা ভবনে (করোনা ওয়ার্ড হিসাবে পরিচিত) স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ভবনেও রোগীর চাপ সামাল দিতে বারান্দা, মেঝে এমনকি টয়লেটের সামনে বিছানা পেতে রোগীদেরকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। চরম স্থান সংকট থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভবনের নীচ তলার বড় বড় দুটি কক্ষ বেসরকারি মেঘনা ব্যাংকের শাখা স্থাপনের জন্য মাত্র কুড়ি হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। অথচ হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বেতন এই ব্যাংকের মাধ্যমে আসে না। হাসপাতালের সব ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। এমনকি মেঘনা ব্যাংকের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে শাখা না থাকায় হাসপাতাল ভবনে স্থাপিত শাখা রোগীদেরও কোনো উপকারে আসে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা কমিটি না থাকার সুযোগ নিয়ে বর্তমান পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত ক্ষমতা খাটিয়ে তার ছোট ভাই মনির হোসেন মেঘনা ব্যাংকের কর্মকর্তা পদে অধিষ্টিত থাকায় তার চাকুরির সুবিধার জন্য শাখাটি খোলার অনুমতি দেন। অবশ্য মনির হোসেনকে এখন অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক জানান, নতুন এই ভবনের নকশায় ব্যাংকর শাখা খোলার ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে রোগীর সব ধরনের লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হবে। এই অটোমেশন পদ্ধতির অ্যাপও প্রস্তুত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে অটোমেশন পদ্ধতির সুবিধা রোগীরা পাবে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানান রোগীদের জন্য ব্যাংকে কোনো বাড়তি সুবিধা নেই। হাসপাতালের পরিচালক জানান, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের সম্মানি এই ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিকটেই জনতা ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে।