দ্বিতীয় দফা সময় নিয়েও দুদকে যাননি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ কারণে তাকে আর সময় দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। রোববার (২৩ জুন) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এতথ্য জানিয়ে বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেনজীর আহমেদকে প্রথমে গত ৬ জুন দুদকে তলব করা হয়েছিল। ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে সময় চেয়েছিলেন। আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চাওয়ার পর দুদক তাকে রোববার হাজির হতে বলেছিল। কিন্তু এদিন তিনি হাজির হননি। আর কোনো সময়ের আবেদনও করা হয়নি তার পক্ষ থেকে।
খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, দ্বিতীয় দফার তলবে হাজির না হওয়ায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধানকারী দল এ বিষয়ে দেখভাল করছেন। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। অবশ্য গত ৫ জুন বেনজীর আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে ১৫ দিন বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন দুদক কমিশনার জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনেছি, দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে বেনজীর ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। আইন অনুযায়ী তাকে সময় দেয়া হবে।’
এর আগের দিন জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুদক কাউকে নোটিশ করলে তিনি আসতে বাধ্য কিনা, সেটা আইনে সুস্পষ্ট বলা নেই। না এলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। দুদকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই সূত্র জানিয়েছে। বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় র্যাবের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এই বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। যার মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়, তখন আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন বেনজীর আহমেদ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, তার বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে কিনা সেটা কমিশনের পরবর্তী বৈঠকের পর জানানো যাবে। গত ক’দিন ধরে আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। যদিও গণমাধ্যমের কাছে নিজের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই বলে দাবি করেন আসাদুজ্জামান মিয়া।
রোববার, ২৩ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় দফা সময় নিয়েও দুদকে যাননি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ কারণে তাকে আর সময় দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। রোববার (২৩ জুন) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এতথ্য জানিয়ে বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেনজীর আহমেদকে প্রথমে গত ৬ জুন দুদকে তলব করা হয়েছিল। ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে সময় চেয়েছিলেন। আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চাওয়ার পর দুদক তাকে রোববার হাজির হতে বলেছিল। কিন্তু এদিন তিনি হাজির হননি। আর কোনো সময়ের আবেদনও করা হয়নি তার পক্ষ থেকে।
খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, দ্বিতীয় দফার তলবে হাজির না হওয়ায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধানকারী দল এ বিষয়ে দেখভাল করছেন। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। অবশ্য গত ৫ জুন বেনজীর আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে ১৫ দিন বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন দুদক কমিশনার জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনেছি, দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে বেনজীর ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। আইন অনুযায়ী তাকে সময় দেয়া হবে।’
এর আগের দিন জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুদক কাউকে নোটিশ করলে তিনি আসতে বাধ্য কিনা, সেটা আইনে সুস্পষ্ট বলা নেই। না এলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। দুদকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই সূত্র জানিয়েছে। বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় র্যাবের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এই বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। যার মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়, তখন আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন বেনজীর আহমেদ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, তার বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে কিনা সেটা কমিশনের পরবর্তী বৈঠকের পর জানানো যাবে। গত ক’দিন ধরে আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। যদিও গণমাধ্যমের কাছে নিজের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই বলে দাবি করেন আসাদুজ্জামান মিয়া।