প্রায় দুই দশক আগে পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুকের দাবির জেরে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূ ডালিয়া বেগমকে হত্যার দায়ে তার স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার এই রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। আদালতে রায় ঘোষণার আগে টিটু উপস্থিত ছিলেন; পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি হারুনুর রশিদ জানান, অভিযোগে নাম থাকা টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে ডালিয়া বেগমকে বিয়ে করার পর থেকে যৌতুকের জন্য টিটু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন শুরু হয়। ডালিয়া প্রথমে মামলা করলেও পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহার করে সংসার পুনরায় শুরু করেন। কিন্তু পরে টিটু ও তার পরিবার আবার ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে।
২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর যৌতুক না পাওয়ায় টিটু ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা ও মা আমেনা বেগম সহযোগিতা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর ডালিয়া মারা যান।
১২ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার বাবা রোস্তম আলী কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি টিটুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বিচারাধীন সময়ে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সকল সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর আদালত রায় ঘোষণা করে টিটুকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
প্রায় দুই দশক আগে পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুকের দাবির জেরে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূ ডালিয়া বেগমকে হত্যার দায়ে তার স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার এই রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। আদালতে রায় ঘোষণার আগে টিটু উপস্থিত ছিলেন; পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি হারুনুর রশিদ জানান, অভিযোগে নাম থাকা টিটুর মা আমেনা বেগম ও তার ভাই শাহ আলমকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে ডালিয়া বেগমকে বিয়ে করার পর থেকে যৌতুকের জন্য টিটু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন শুরু হয়। ডালিয়া প্রথমে মামলা করলেও পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহার করে সংসার পুনরায় শুরু করেন। কিন্তু পরে টিটু ও তার পরিবার আবার ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে।
২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর যৌতুক না পাওয়ায় টিটু ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা ও মা আমেনা বেগম সহযোগিতা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর ডালিয়া মারা যান।
১২ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার বাবা রোস্তম আলী কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি টিটুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বিচারাধীন সময়ে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সকল সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর আদালত রায় ঘোষণা করে টিটুকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।