রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান ও এএসআই কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। তবে এএসআই রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পল্লবীর ইরানি ক্যাম্পে এক গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমনের অশালীন আচরণকে কেন্দ্র করে জনি ও তার ভাই রকির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সুমনের ডাকে পুলিশ এসে দুই ভাইকে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। গুরুতর আহত জনিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।গ
নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলা করেন— যা ২০১৩ সালে প্রণীত *নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন* অনুযায়ী প্রথম মামলা। বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালত ২০১৬ সালে অভিযোগ গঠন করে।
২০২0 সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন, জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের রায় দেন। পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। এতে জাহিদুর ও কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন বহাল, রাশেদুলের সাজা ১০ বছর এবং রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারকে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন আদালত।
রায়ে হাই কোর্ট উল্লেখ করে, রাষ্ট্র ও পুলিশ নিরপরাধ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জনি সম্পূর্ণ নিরপরাধ ছিলেন, অথচ বিনা বিচারে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে। আদালত জনির মা, স্ত্রী ও সন্তানদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন।
---
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান ও এএসআই কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। তবে এএসআই রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পল্লবীর ইরানি ক্যাম্পে এক গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমনের অশালীন আচরণকে কেন্দ্র করে জনি ও তার ভাই রকির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সুমনের ডাকে পুলিশ এসে দুই ভাইকে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। গুরুতর আহত জনিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।গ
নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলা করেন— যা ২০১৩ সালে প্রণীত *নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন* অনুযায়ী প্রথম মামলা। বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালত ২০১৬ সালে অভিযোগ গঠন করে।
২০২0 সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন, জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের রায় দেন। পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। এতে জাহিদুর ও কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন বহাল, রাশেদুলের সাজা ১০ বছর এবং রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারকে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন আদালত।
রায়ে হাই কোর্ট উল্লেখ করে, রাষ্ট্র ও পুলিশ নিরপরাধ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জনি সম্পূর্ণ নিরপরাধ ছিলেন, অথচ বিনা বিচারে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে। আদালত জনির মা, স্ত্রী ও সন্তানদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন।
---