নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত সরকারি পাথরের স্তুপ -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত সরকারি পাথরের স্তুপ গভীর রাতে হরিলুটের ঘটনা ঘটেছে। তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে লুটের অভিযোগ ওঠেছে। সরকারি সম্পদ হরিলুটের ঘটনাটি গতকাল রোববার বিকেলে প্রকাশ হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লুট হয়ে যাওয়া পাথর উদ্ধার সহ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। নয়তো তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধে সরকারের নির্দেশিত আইন প্রয়োগে বিঘœ ঘটবে এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে ।
দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে, উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত পাথর জব্দের কার্যক্রম শুরু করেন।
জানা গেছে, তিস্তায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা। তিস্তা ব্যারেজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫টি প্রভাবশালী চক্র এর সঙ্গে জড়িত। তবে চক্রটির এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে ও নিরুৎসাহী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে নৌকা ও শ্যালো মেশিন ভাঙচুর , বালু পাথর উত্তোলনের যন্ত্রাংশ জব্দ এবং মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়। তারপরও চক্রটি রাষ্ট্রবিরোধী এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে। এই চক্রটির নেতারা পাথর উত্তোলনের শ্রমিকদের অনেকটাই জিম্মি করে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলনে বাধ্য করে । শ্রমিকদের উত্তোলনকৃত পাথর প্রতি সেফটি ৪০-৫০ টাকায় কিনে ট্রলিতে করে নিয়ে গয়াবাড়ি ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নসহ শঠিবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকার পাকা রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় স্তুপ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেই পাথরগুলো প্রতি সেফটি ১২০-১৫০ টাকা দরে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছেন অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের নেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান সম্প্রতি তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করেন। তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাথর ও অবৈধ পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ জব্দ করেন এবং নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৩টি নৌকা বিনষ্ট করে দেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ় অবস্থানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী অবৈধ পাথর চক্রের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন কবির। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেন ডিমলা থানা পুলিশের একটি দল এবং টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম শাহীন । অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন ও বাজারজাত বন্ধে এ অভিযানে শঠিবাড়ি বাজারের পূর্ব পার্শ্বে শাইল্লার বাঁশতলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের গডফাদার জাহাঙ্গীর আলমের চারটি পাথর ভাঙার যন্ত্র (মেশিন) ও প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট (সেফটি) পাথর জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মেশিন ও পাথরগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদের জিম্মায় রাখা হয়। গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমানকে পাহারার দায়িত্ব দেয়া হয়।
জব্দকৃত পাথরগুলো ওই দিনই (গত ৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের নেতা ও গয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর খান (৪০) ও জুয়েল খান (৪৫), মৃত আকবরের ছেলে রজব আলী (৩৫) এবং মৃত মোকাদ্দেছ (মোকা) আলীর ছেলে মো. জাফর আলী (৩৩) ও আব্দুর রহমান (৪৭) ৪টি ট্রাক্টরে করে অধিকাংশ পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমান বাধা দেয়ায় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হলে তিনি পাথর নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদকে জানান। প্যানেল চেয়ারম্যান ঘটনা জানার পর বিষয়টি রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন । জব্দকৃত পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদকে ঘটনাস্থলে পাঠান আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পাথর লুটকারীরা পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান- আমি ঘটনার দিন, রাত আড়াই ঘটিকার সময় আমার চৌকিদার মশিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে ঘটনায় বিষয় জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করি।
ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউএনও স্যারের মোবাইল ফোন পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমার উপস্থিত টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল রোববার পাথর হরিলুটের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত সরকারি পাথরের স্তুপ -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত সরকারি পাথরের স্তুপ গভীর রাতে হরিলুটের ঘটনা ঘটেছে। তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে লুটের অভিযোগ ওঠেছে। সরকারি সম্পদ হরিলুটের ঘটনাটি গতকাল রোববার বিকেলে প্রকাশ হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লুট হয়ে যাওয়া পাথর উদ্ধার সহ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। নয়তো তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধে সরকারের নির্দেশিত আইন প্রয়োগে বিঘœ ঘটবে এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে ।
দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে, উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত পাথর জব্দের কার্যক্রম শুরু করেন।
জানা গেছে, তিস্তায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা। তিস্তা ব্যারেজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫টি প্রভাবশালী চক্র এর সঙ্গে জড়িত। তবে চক্রটির এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে ও নিরুৎসাহী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে নৌকা ও শ্যালো মেশিন ভাঙচুর , বালু পাথর উত্তোলনের যন্ত্রাংশ জব্দ এবং মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়। তারপরও চক্রটি রাষ্ট্রবিরোধী এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে। এই চক্রটির নেতারা পাথর উত্তোলনের শ্রমিকদের অনেকটাই জিম্মি করে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলনে বাধ্য করে । শ্রমিকদের উত্তোলনকৃত পাথর প্রতি সেফটি ৪০-৫০ টাকায় কিনে ট্রলিতে করে নিয়ে গয়াবাড়ি ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নসহ শঠিবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকার পাকা রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় স্তুপ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেই পাথরগুলো প্রতি সেফটি ১২০-১৫০ টাকা দরে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছেন অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের নেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান সম্প্রতি তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করেন। তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাথর ও অবৈধ পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ জব্দ করেন এবং নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৩টি নৌকা বিনষ্ট করে দেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ় অবস্থানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দিনব্যাপী অবৈধ পাথর চক্রের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন কবির। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেন ডিমলা থানা পুলিশের একটি দল এবং টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম শাহীন । অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন ও বাজারজাত বন্ধে এ অভিযানে শঠিবাড়ি বাজারের পূর্ব পার্শ্বে শাইল্লার বাঁশতলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের গডফাদার জাহাঙ্গীর আলমের চারটি পাথর ভাঙার যন্ত্র (মেশিন) ও প্রায় ৮ হাজার ঘনফুট (সেফটি) পাথর জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মেশিন ও পাথরগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদের জিম্মায় রাখা হয়। গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমানকে পাহারার দায়িত্ব দেয়া হয়।
জব্দকৃত পাথরগুলো ওই দিনই (গত ৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী চক্রের নেতা ও গয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর খান (৪০) ও জুয়েল খান (৪৫), মৃত আকবরের ছেলে রজব আলী (৩৫) এবং মৃত মোকাদ্দেছ (মোকা) আলীর ছেলে মো. জাফর আলী (৩৩) ও আব্দুর রহমান (৪৭) ৪টি ট্রাক্টরে করে অধিকাংশ পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমান বাধা দেয়ায় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হলে তিনি পাথর নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদকে জানান। প্যানেল চেয়ারম্যান ঘটনা জানার পর বিষয়টি রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন । জব্দকৃত পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদকে ঘটনাস্থলে পাঠান আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পাথর লুটকারীরা পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান- আমি ঘটনার দিন, রাত আড়াই ঘটিকার সময় আমার চৌকিদার মশিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে ঘটনায় বিষয় জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণিক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করি।
ডিমলা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউএনও স্যারের মোবাইল ফোন পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমার উপস্থিত টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত পাথর লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল রোববার পাথর হরিলুটের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।