নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী নৌযানে চাঁদাবাজির সময় পুলিশের সাথে নৌ-চাঁদাবাজদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নদীর নুনেরটেক এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশের ৩ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৫ জন। এসময় ২ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেঘনা নদী দিয়ে বালু, পাথর, সিমেন্ট, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের সময় প্রতিদিন চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলে থাকে। মঙ্গলবার সকালে এমবি জয়নব বৃষ্টি পরিবহন নামের একটি বাল্কহেডে চাঁদা দাবি করে চাঁদাবাজরা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাল্কহেডের শ্রমিক মহিবুল্লাহ ও জাকারিয়া ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে তারা।
খবর পেয়ে বৈদ্যেরবাজার ও মেঘনা থানাধীন চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালালে চাঁদাবাজরা পুলিশের ওপর রড, লাঠী ও টেঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে পুলিশের এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও সাইদুর আহত হন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে চাঁদাবাজ রানা ও সাজ্জাদ নামের ২ জনকে আটক করে।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কনস্টেবল সোহাগ ও শ্রমিক জাকারিয়া ইসলামের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাল্কহেডের সুকানী শফিকুল ইসলাম জানান, আড়াইহাজারের মরিচাকান্দি থেকে বালু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে নুনেরটেকে পৌঁছালে চাঁদাবাজরা নৌযান আটক করে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় আমাদের দুই শ্রমিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা জানায়, মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামের বারেকের নেতৃত্বে তার ছেলে মহসিন, হাসনাত, রানা, সাজ্জাদসহ ২০/৩০ জন ও সোনারগাঁয়ের রনি, সোহাগ, আলীনুর, হাসান, রোবেলসহ ২০/৩০ জনের দুটি চাঁদাবাজ চক্র নদীতে বালু ও পণ্যবাহী নৌযান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, চাঁদাবাজ চক্র মেঘনা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সকালে তারা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে পুলিশের ৩ জন ও নৌ শ্রমিক ২ জন আহত হয়। এসয় ২ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী নৌযানে চাঁদাবাজির সময় পুলিশের সাথে নৌ-চাঁদাবাজদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নদীর নুনেরটেক এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশের ৩ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৫ জন। এসময় ২ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেঘনা নদী দিয়ে বালু, পাথর, সিমেন্ট, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের সময় প্রতিদিন চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলে থাকে। মঙ্গলবার সকালে এমবি জয়নব বৃষ্টি পরিবহন নামের একটি বাল্কহেডে চাঁদা দাবি করে চাঁদাবাজরা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাল্কহেডের শ্রমিক মহিবুল্লাহ ও জাকারিয়া ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে তারা।
খবর পেয়ে বৈদ্যেরবাজার ও মেঘনা থানাধীন চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালালে চাঁদাবাজরা পুলিশের ওপর রড, লাঠী ও টেঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে পুলিশের এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও সাইদুর আহত হন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে চাঁদাবাজ রানা ও সাজ্জাদ নামের ২ জনকে আটক করে।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কনস্টেবল সোহাগ ও শ্রমিক জাকারিয়া ইসলামের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাল্কহেডের সুকানী শফিকুল ইসলাম জানান, আড়াইহাজারের মরিচাকান্দি থেকে বালু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে নুনেরটেকে পৌঁছালে চাঁদাবাজরা নৌযান আটক করে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় আমাদের দুই শ্রমিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা জানায়, মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামের বারেকের নেতৃত্বে তার ছেলে মহসিন, হাসনাত, রানা, সাজ্জাদসহ ২০/৩০ জন ও সোনারগাঁয়ের রনি, সোহাগ, আলীনুর, হাসান, রোবেলসহ ২০/৩০ জনের দুটি চাঁদাবাজ চক্র নদীতে বালু ও পণ্যবাহী নৌযান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, চাঁদাবাজ চক্র মেঘনা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সকালে তারা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে পুলিশের ৩ জন ও নৌ শ্রমিক ২ জন আহত হয়। এসয় ২ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়েছে।