মঙ্গলবার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ অবৈধ ৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে -সংবাদ
‘নীলফামারীর ডিমলায় পাউবো’র জায়গা দখল করে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ’ শিরোনামে গত ৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি নজরে আনেন ডালিয়া পাউবো কর্তৃপক্ষ। পাউবো’র জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করে ২টি অবৈধ পাকা স্থাপনা ও ৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র ইরি চাষাবাদে সেচ প্রদানের জন্য নির্মিত ডালিয়া-জলঢাকা মূল সেচ ক্যানেলের তুহিন বাজার নামক স্থানের মূল সেচ ক্যানেল থেকে অতিরিক্ত পানি নাউতারা নদীতে নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত আর-১টি স্কেপ সংরক্ষিত জায়গায় তুহিন বাজার এলাকার মৃত বাকী সরদারের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৪০) প্রকাশ্যে দিবালোকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিজেকে জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকার সুযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)’র তুহিন বাজার সংলগ্ন মেইন ক্যানেল হতে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত আর-১টি স্কেপের লোহার বেড়ায় ঘিরে রাখা সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এলাকার জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয় পাকা স্থাপনা। সদ্যনির্মিত জামায়াত নেতার ওই অবৈধ পাকা স্থাপনাটি ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও এ উচ্ছেদ অভিযানে এলাকার প্রভাবশালী নেতা আশরাফুল ইসলাম নামের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তুহিন বাজার নামক স্থানে তিস্তা মূল ক্যানেল সংলগ্ন পাউবো’র বেশ কিছু জমি ওই এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী আনিছুর রহমান (৩৫), মোজাফফর হোসেন (৪০) ও ফরিদুল ইসলাম (৩০) এই ৩ সহোদর মিলে দখল করে প্লট আকারে এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। প্রতিটি প্লট, এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে এ পর্যন্ত মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তুহিন বাজার এলাকায় পাউবো’র সংরক্ষিত জায়গায় ২০টি অবৈধ দোকানঘর গড়ে ওঠেছে সেগুলোও ওই চক্রটি বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তুহিন বাজার এলাকার মৃত ইছামুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী রফিকুল ইসলামও ডালিয়া পাউবো’র জায়গা দখল করে ৫টি দোকানঘর স্থাপনা তৈরির পজিশন বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তুহিন বাজার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রিজ ও আর-১টি স্কেপ এর পকেটের ৭টি সংরক্ষিত স্থানের স্পর্শকাতর জায়গা দখল করে নিয়েছে তারা। সেগুলোও ইতোমধ্যেই দোকান পজিশন আকারে বিক্রি করতে শুরু করেছে ।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তুহিন বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধভাবে করা পাকা স্থাপনাগুলোর মধ্যে আজ (মঙ্গলবার) ২টি পাকা স্থাপনাসহ ৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি অবৈধ স্থাপনাগুলো ক্রমান্বয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির, সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা ও এস ও মো. হাসেম আলীসহ পাউবো’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ অবৈধ ৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
‘নীলফামারীর ডিমলায় পাউবো’র জায়গা দখল করে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ’ শিরোনামে গত ৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি নজরে আনেন ডালিয়া পাউবো কর্তৃপক্ষ। পাউবো’র জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করে ২টি অবৈধ পাকা স্থাপনা ও ৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র ইরি চাষাবাদে সেচ প্রদানের জন্য নির্মিত ডালিয়া-জলঢাকা মূল সেচ ক্যানেলের তুহিন বাজার নামক স্থানের মূল সেচ ক্যানেল থেকে অতিরিক্ত পানি নাউতারা নদীতে নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত আর-১টি স্কেপ সংরক্ষিত জায়গায় তুহিন বাজার এলাকার মৃত বাকী সরদারের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৪০) প্রকাশ্যে দিবালোকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিজেকে জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকার সুযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)’র তুহিন বাজার সংলগ্ন মেইন ক্যানেল হতে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত আর-১টি স্কেপের লোহার বেড়ায় ঘিরে রাখা সংরক্ষিত স্পর্শকাতর এলাকার জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয় পাকা স্থাপনা। সদ্যনির্মিত জামায়াত নেতার ওই অবৈধ পাকা স্থাপনাটি ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও এ উচ্ছেদ অভিযানে এলাকার প্রভাবশালী নেতা আশরাফুল ইসলাম নামের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তুহিন বাজার নামক স্থানে তিস্তা মূল ক্যানেল সংলগ্ন পাউবো’র বেশ কিছু জমি ওই এলাকার মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী আনিছুর রহমান (৩৫), মোজাফফর হোসেন (৪০) ও ফরিদুল ইসলাম (৩০) এই ৩ সহোদর মিলে দখল করে প্লট আকারে এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। প্রতিটি প্লট, এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে এ পর্যন্ত মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তুহিন বাজার এলাকায় পাউবো’র সংরক্ষিত জায়গায় ২০টি অবৈধ দোকানঘর গড়ে ওঠেছে সেগুলোও ওই চক্রটি বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তুহিন বাজার এলাকার মৃত ইছামুদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী রফিকুল ইসলামও ডালিয়া পাউবো’র জায়গা দখল করে ৫টি দোকানঘর স্থাপনা তৈরির পজিশন বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তুহিন বাজার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রিজ ও আর-১টি স্কেপ এর পকেটের ৭টি সংরক্ষিত স্থানের স্পর্শকাতর জায়গা দখল করে নিয়েছে তারা। সেগুলোও ইতোমধ্যেই দোকান পজিশন আকারে বিক্রি করতে শুরু করেছে ।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তুহিন বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধভাবে করা পাকা স্থাপনাগুলোর মধ্যে আজ (মঙ্গলবার) ২টি পাকা স্থাপনাসহ ৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি অবৈধ স্থাপনাগুলো ক্রমান্বয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির, সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা ও এস ও মো. হাসেম আলীসহ পাউবো’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।