প্রায় ৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেলাল হোসাইন তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪ কোটি ৬০ লাখ ১৯ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করলেও তা প্রকাশ না করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেলাল হোসাইন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মোট ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনি এই অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এই কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১ জুন কমিশন বেলাল হোসাইনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস (ফরম নম্বর ০০০৪১৪৭) দেয়। পরে সে বছরের ২৬ জুলাই তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি নিজের নামে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ১৬৬ টাকার সম্পদের তথ্য দেন, যার মধ্যে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর এবং ৬ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত।
তবে দুদকের যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৯ টাকা, যার মধ্যে ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬২৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দুদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এনবিআরের এই সদস্যের ৫ কোটি ৯০ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬৬ টাকার গ্রহণযোগ্য দায়-দেনা পাওয়া গেছে। সেটি বাদ দিলে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩ টাকা।
অন্যদিকে, ২০০৮-২০২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার আয়কর রিটার্ন বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনি কর, পারিবারিক ব্যয় ও শেয়ারে লোকসানসহ মোট ৮ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ১৩ টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন, যেখানে তার বৈধ আয় দেখানো হয়েছে ১১ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০ টাকা। অর্থাৎ, ঘোষিত আয় ও ব্যয়ের তুলনায় তার ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৬ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলাল হোসাইন অবৈধ অর্থে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন মৌজায় জমি, প্লট, ফ্ল্যাট ও শেয়ার কিনেছেন, যার মোট মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৬ টাকা।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রায় ৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেলাল হোসাইন তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪ কোটি ৬০ লাখ ১৯ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করলেও তা প্রকাশ না করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেলাল হোসাইন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মোট ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনি এই অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এই কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১ জুন কমিশন বেলাল হোসাইনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস (ফরম নম্বর ০০০৪১৪৭) দেয়। পরে সে বছরের ২৬ জুলাই তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি নিজের নামে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ১৬৬ টাকার সম্পদের তথ্য দেন, যার মধ্যে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর এবং ৬ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত।
তবে দুদকের যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৯ টাকা, যার মধ্যে ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬২৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দুদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এনবিআরের এই সদস্যের ৫ কোটি ৯০ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬৬ টাকার গ্রহণযোগ্য দায়-দেনা পাওয়া গেছে। সেটি বাদ দিলে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩ টাকা।
অন্যদিকে, ২০০৮-২০২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার আয়কর রিটার্ন বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনি কর, পারিবারিক ব্যয় ও শেয়ারে লোকসানসহ মোট ৮ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ১৩ টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন, যেখানে তার বৈধ আয় দেখানো হয়েছে ১১ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০ টাকা। অর্থাৎ, ঘোষিত আয় ও ব্যয়ের তুলনায় তার ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৬ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলাল হোসাইন অবৈধ অর্থে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন মৌজায় জমি, প্লট, ফ্ল্যাট ও শেয়ার কিনেছেন, যার মোট মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৬ টাকা।