দৃকে চলছে বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪
বাংলাদেশের সম্মুখ সারিতে কর্মরত আলোকচিত্র সাংবাদিকদের অর্জনকে উদযাপন এবং সম্মান জানাতে দৃক পিকচার লাইব্রেরি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন হলো গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে। সকলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ২৬ জুলাই ২০২৪, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২২ সাল থেকে দৃকের ধারাবাহিক আয়োজন বাংলাদেশ প্রেস ফটো কনটেস্ট (বিপিপিসি) এর ৩য় সংস্করণে নির্বাচিত ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। এবছর ১৬ এপ্রিল ছবি আহ্বানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে আলোকচিত্র সাংবাদিকরা ২০২৩ সালে তোলা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রায় একহাজারের বেশি ছবি জমা দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিপিসি ২০২৪ এর অন্যতম বিচারক এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। তিনি বলেন, “দুনিয়ার কোন প্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় আমার জানামতে গণমুখী সাংবাদিকতার ক্যাটাগরি নেই। মিডিয়ার মালিকানাসহ নানা কারণে তারকা বা প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় প্রচারেই মিডিয়ার কাজ সীমাবদ্ধ থাকে। আজকের প্রদর্শিত ছবিগুলোর আলোকচিত্রীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজগুলো করেছে। তাদের কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করে বাংলাদেশের আলোকচিত্র আজ অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছে।“
প্রতিযোগিতার অন্য বিচারকেরা ছিলেনঃ অমল আকাশ, শিল্পী, গায়ক, আন্দোলনকর্মী, সমগীত; মনিরুল আলম, আলোকচিত্র সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ইপিএ; শোয়েব ফারুকী, আলোকচিত্রী, শিক্ষাবিদ, ফটোব্যাংক গ্যালারি এবং তাসমিমা হোসেন, সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক। বিচারকেরা তাদের বক্তব্যে এই আয়োজন এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দৃকের জেনারেল ম্যানেজার ও প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান ।
অমল আকাশ তার বক্তব্যে বলেন, “আমি নিজে ছবি আঁকার এবং গানের মানুষ, কিন্তু দৃক আমাকে এই প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে সুযোগ দিয়ে দেখিয়েছে যে অন্য মাধ্যমের মানুষ এবং শিল্পীদেরও এই বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবার সুযোগ আছে।“
মনিরুল আলম ভবিষ্যত প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের প্রথাগত ছবির বাইরে, সাধারণ অনুষ্ঠানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি তোলার অভ্যাস করতে হবে, যেসকল ছবি অনন্য এবং আলাদা সেগুলোই মানুষের মনে ধরে, প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে নেয়। আর যারা এবছর পুরস্কার পায়নি তাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।“
শোয়েব ফারুকী বলেন, “সাংবাদিকদের চোখ খোলা রাখতে হবে নতুন ধরনের ছবির জন্য। নতুন ছবি সহজেই যেকোন মানুষের চোখে পরে এবং পুরস্কার জেতার দৌড়ে এগিয়ে থাকে।“
তাসমিমা হোসেন তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের কাজ অনেক কঠিন। তাদের সকল কিছু আলাদা চোখ দিয়ে দেখতে হয় কিন্তু সেই দেখার চোখের আজ অনেক অভাব। তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করারটাও সমানভাবে জরুরী।“
এবারে বর্ষসেরা আলোকচিত্র ২০২৩ বিজয়ী হয়েছেন ফোকাস বাংলার কুদ্দুস আলম এবং তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ১,০০,০০০ টাকা। তার অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে তিনি বলেন, “আমি ছবি তোলা শুরু করি ১৯৭৮ সালে, বহু সংগ্রাম, পরিশ্রম করে আজ এই জায়গায় এসেছি। এর পেছনে আমার স্ত্রীর অবদান এত বিশাল যে সে না থাকলে এই পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না।“
একইসাথে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন আরও ছয়জন আলোকচিত্রী। বিভাগ বিজয়ীরা হচ্ছেন- শিল্প, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঃ কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল, এফআইএপি এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন পিয়াস বিশ্বাস, নিউজবাংলা২৪.কম। রাজনীতিঃ নায়েম আলী, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ সাজিদ হোসাইন, দৈনিক প্রথম আলো। জনমুখী সাংবাদিকতাঃ আবদুল গনি, দৈনিক ইত্তেফাক এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, দৈনিক বাংলা।
প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন বিজয়ী ও একজন বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার বিজয়ী পেয়েছেন যথাক্রমে ৫০,০০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা। পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক এবং সনদ।
দৃক ২০২৩ সাল থেকে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় প্রান্তিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী গ্র্যান্ট’ প্রবর্তন করেছে। এবছর এই গ্র্যান্টটি জিতেছেন আদিবাসী আলোকচিত্রী ডেনিম চাকমা, যার মূল্যমান ৫০,০০০ টাকা। গ্রান্টের সার্টিফিকেট গ্রহণকালে তিনি বলেন, “কাজ করতে যেয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ছবি তোলাটা একটা যুদ্ধ মনে হয়, সবসময় একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি বরাজ করছে। কখন কি হয় বলা যায় না।
“অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষনা করেন আলোকচিত্রী এবং লেখক জান্নাতুল মাওয়া। তিনি বলেন, “বছর তিনেক আগে দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছবির প্রতিযোগিতায় আমি বিচারক থাকাকালীন একটা ছবির পক্ষে কথা বলি, তখনো জানতাম না সেটা ডেনিমের কাজ। আজ ওকে এখানে এই গ্র্যান্ট জিতে নিতে দেখে খুব ভালো লাগছে।“
একইসাথে এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৩ সালের প্রথম অনুদান বিজয়ী পদ্মিনী চাকমার কিছু বাছাইকৃত ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। ভুয়া খবরের এই যুগেও গণমাধ্যমে মুদ্রিত আলোকচিত্র, খবরের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস হিসেবে বেঁচে আছে। একই সাথে প্রেস আলোকচিত্রীর পেশা পরিণত হয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোর একটিতে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশী আলোকচিত্রীরা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন। কিন্তু তাদের যৌথ প্রতিভার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি কিংবা জাতির প্রতি তাদের অবদানের বিশেষ কোনো মূল্যায়ন আজ পর্যন্ত হয়নি। সেই সকল সাহসী নারী ও পুরুষ, যারা সম্মুখ সারির যোদ্ধা হয়ে প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে চলেছেন – তাঁদের কীর্তিগাঁথাকে উদযাপন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ২০২২ সালে প্রথমবারের মত ২০২১ সালের আলোকচিত্র নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দৃক।
পুরস্কার প্রদান ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Drik.bd/
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
দৃকে চলছে বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪
বাংলাদেশের সম্মুখ সারিতে কর্মরত আলোকচিত্র সাংবাদিকদের অর্জনকে উদযাপন এবং সম্মান জানাতে দৃক পিকচার লাইব্রেরি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন হলো গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে। সকলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ২৬ জুলাই ২০২৪, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২২ সাল থেকে দৃকের ধারাবাহিক আয়োজন বাংলাদেশ প্রেস ফটো কনটেস্ট (বিপিপিসি) এর ৩য় সংস্করণে নির্বাচিত ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। এবছর ১৬ এপ্রিল ছবি আহ্বানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে আলোকচিত্র সাংবাদিকরা ২০২৩ সালে তোলা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রায় একহাজারের বেশি ছবি জমা দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিপিসি ২০২৪ এর অন্যতম বিচারক এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। তিনি বলেন, “দুনিয়ার কোন প্রেস ফটো প্রতিযোগিতায় আমার জানামতে গণমুখী সাংবাদিকতার ক্যাটাগরি নেই। মিডিয়ার মালিকানাসহ নানা কারণে তারকা বা প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় প্রচারেই মিডিয়ার কাজ সীমাবদ্ধ থাকে। আজকের প্রদর্শিত ছবিগুলোর আলোকচিত্রীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজগুলো করেছে। তাদের কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করে বাংলাদেশের আলোকচিত্র আজ অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছে।“
প্রতিযোগিতার অন্য বিচারকেরা ছিলেনঃ অমল আকাশ, শিল্পী, গায়ক, আন্দোলনকর্মী, সমগীত; মনিরুল আলম, আলোকচিত্র সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ইপিএ; শোয়েব ফারুকী, আলোকচিত্রী, শিক্ষাবিদ, ফটোব্যাংক গ্যালারি এবং তাসমিমা হোসেন, সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক। বিচারকেরা তাদের বক্তব্যে এই আয়োজন এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দৃকের জেনারেল ম্যানেজার ও প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান ।
অমল আকাশ তার বক্তব্যে বলেন, “আমি নিজে ছবি আঁকার এবং গানের মানুষ, কিন্তু দৃক আমাকে এই প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে সুযোগ দিয়ে দেখিয়েছে যে অন্য মাধ্যমের মানুষ এবং শিল্পীদেরও এই বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবার সুযোগ আছে।“
মনিরুল আলম ভবিষ্যত প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের প্রথাগত ছবির বাইরে, সাধারণ অনুষ্ঠানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি তোলার অভ্যাস করতে হবে, যেসকল ছবি অনন্য এবং আলাদা সেগুলোই মানুষের মনে ধরে, প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে নেয়। আর যারা এবছর পুরস্কার পায়নি তাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।“
শোয়েব ফারুকী বলেন, “সাংবাদিকদের চোখ খোলা রাখতে হবে নতুন ধরনের ছবির জন্য। নতুন ছবি সহজেই যেকোন মানুষের চোখে পরে এবং পুরস্কার জেতার দৌড়ে এগিয়ে থাকে।“
তাসমিমা হোসেন তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, “আলোকচিত্র সাংবাদিকদের কাজ অনেক কঠিন। তাদের সকল কিছু আলাদা চোখ দিয়ে দেখতে হয় কিন্তু সেই দেখার চোখের আজ অনেক অভাব। তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করারটাও সমানভাবে জরুরী।“
এবারে বর্ষসেরা আলোকচিত্র ২০২৩ বিজয়ী হয়েছেন ফোকাস বাংলার কুদ্দুস আলম এবং তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ১,০০,০০০ টাকা। তার অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে তিনি বলেন, “আমি ছবি তোলা শুরু করি ১৯৭৮ সালে, বহু সংগ্রাম, পরিশ্রম করে আজ এই জায়গায় এসেছি। এর পেছনে আমার স্ত্রীর অবদান এত বিশাল যে সে না থাকলে এই পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না।“
একইসাথে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন আরও ছয়জন আলোকচিত্রী। বিভাগ বিজয়ীরা হচ্ছেন- শিল্প, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঃ কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল, এফআইএপি এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন পিয়াস বিশ্বাস, নিউজবাংলা২৪.কম। রাজনীতিঃ নায়েম আলী, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ সাজিদ হোসাইন, দৈনিক প্রথম আলো। জনমুখী সাংবাদিকতাঃ আবদুল গনি, দৈনিক ইত্তেফাক এবং বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, দৈনিক বাংলা।
প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন বিজয়ী ও একজন বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার বিজয়ী পেয়েছেন যথাক্রমে ৫০,০০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা। পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক এবং সনদ।
দৃক ২০২৩ সাল থেকে আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় প্রান্তিক গোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী গ্র্যান্ট’ প্রবর্তন করেছে। এবছর এই গ্র্যান্টটি জিতেছেন আদিবাসী আলোকচিত্রী ডেনিম চাকমা, যার মূল্যমান ৫০,০০০ টাকা। গ্রান্টের সার্টিফিকেট গ্রহণকালে তিনি বলেন, “কাজ করতে যেয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ছবি তোলাটা একটা যুদ্ধ মনে হয়, সবসময় একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি বরাজ করছে। কখন কি হয় বলা যায় না।
“অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষনা করেন আলোকচিত্রী এবং লেখক জান্নাতুল মাওয়া। তিনি বলেন, “বছর তিনেক আগে দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছবির প্রতিযোগিতায় আমি বিচারক থাকাকালীন একটা ছবির পক্ষে কথা বলি, তখনো জানতাম না সেটা ডেনিমের কাজ। আজ ওকে এখানে এই গ্র্যান্ট জিতে নিতে দেখে খুব ভালো লাগছে।“
একইসাথে এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৩ সালের প্রথম অনুদান বিজয়ী পদ্মিনী চাকমার কিছু বাছাইকৃত ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। ভুয়া খবরের এই যুগেও গণমাধ্যমে মুদ্রিত আলোকচিত্র, খবরের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস হিসেবে বেঁচে আছে। একই সাথে প্রেস আলোকচিত্রীর পেশা পরিণত হয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোর একটিতে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশী আলোকচিত্রীরা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন। কিন্তু তাদের যৌথ প্রতিভার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি কিংবা জাতির প্রতি তাদের অবদানের বিশেষ কোনো মূল্যায়ন আজ পর্যন্ত হয়নি। সেই সকল সাহসী নারী ও পুরুষ, যারা সম্মুখ সারির যোদ্ধা হয়ে প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে চলেছেন – তাঁদের কীর্তিগাঁথাকে উদযাপন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ২০২২ সালে প্রথমবারের মত ২০২১ সালের আলোকচিত্র নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দৃক।
পুরস্কার প্রদান ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Drik.bd/