ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের ‘শরৎ উৎসব’। শনিবার সকালে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো স্কুলটির সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করে এ শরৎ বন্দনা অনুষ্ঠান।
নাটক, গান ও আবৃত্তিতে মুখর সকাল
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল নাটক, গান ও আবৃত্তির পরিবেশনা। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে উৎসবের আবহে। ‘শরৎ প্রাতে অরুণ আলো’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান শুরু হয় সম্মেলক কণ্ঠে ‘শরৎ তোমার আলোর অঞ্জলি’ পরিবেশনের মাধ্যমে।
তরুণ প্রজন্মের মাঝে প্রকৃতিপ্রেম ছড়াতে চায় ছায়ানট
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইস আহমদ লিসা বলেন, “আমরা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই, তরুণ প্রজন্মের মাঝে যেতে চাই। সে লক্ষ্যেই সেন্ট যোসেফ স্কুলের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আয়োজন করতে চাই।”
তিনি বলেন, “যারা অন্ধকারে আছে, তাদের মাঝেও আলোর শিখা জ্বালাতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শরতের রঙ
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সেন্ট যোসেফ স্কুলের কালচারাল ফোরামের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে দুটি সম্মেলক গান, তিনটি একক গান ও একটি বৃন্দ আবৃত্তি। পরিবেশনায় ছিল ‘আমারে ডাক দিল কে’, ‘শরতে আজ কোন অতিথি’, ‘শিউলি ফুল শিউলি ফুল’সহ শরৎ-প্রেরণায় ভরা গান। শেষে তারা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে’।
ছায়ানটের নিবেদন: রবীন্দ্রনাথের ‘শারোদোৎসব’
দ্বিতীয় পর্বে ছিল ছায়ানটের পরিবেশনা ‘শারোদোৎসব’। এতে গান, নাট্যাংশ পাঠ ও অভিনয়ে অংশ নেয় নালন্দার শিশুশিল্পীরা। গানে অংশ নেয় সংগীত-প্রবেশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা, সঙ্গে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য ও সত্যম্ কুমার দেবনাথ।
ছায়ানটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, “শরৎ হচ্ছে বর্ষা ও শীতের সংযোগ ঋতু। আমরা চাই নবীন প্রজন্ম ঋতুবৈচিত্র্যকে জানুক ও ভালোবাসুক।”
‘প্রকৃতির রূপ চিনতে হবে’ — শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়
নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন আয়োজন আরও বাড়ানো উচিত। রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখায় ঋতুর নানা রূপ তুলে ধরেছেন—নবীন প্রজন্মকেও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে শেখাতে হবে।”
শারোদোৎসবের পরিবেশনায় ছিল ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘আজ ধানের ক্ষেতে’, ‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ’সহ শরৎ-প্রাণিত গান ও নৃত্য।
নির্দেশনায় ছিলেন জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, নৃত্য পরিচালনায় শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেলায়েত হোসেন খান। তবলায় ছিলেন সুবীর ঘোষ ও গৌতম সরকার, এস্রাজে শৌণক দেবনাথ ঋক, বাঁশিতে মামুনুর রশিদ এবং কি-বোর্ডে রবিন্স চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষ হয় সম্মেলক নৃত্যগীত ‘নয়ন ভুলানো এলে’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
---
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের ‘শরৎ উৎসব’। শনিবার সকালে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো স্কুলটির সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করে এ শরৎ বন্দনা অনুষ্ঠান।
নাটক, গান ও আবৃত্তিতে মুখর সকাল
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল নাটক, গান ও আবৃত্তির পরিবেশনা। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে উৎসবের আবহে। ‘শরৎ প্রাতে অরুণ আলো’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান শুরু হয় সম্মেলক কণ্ঠে ‘শরৎ তোমার আলোর অঞ্জলি’ পরিবেশনের মাধ্যমে।
তরুণ প্রজন্মের মাঝে প্রকৃতিপ্রেম ছড়াতে চায় ছায়ানট
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইস আহমদ লিসা বলেন, “আমরা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই, তরুণ প্রজন্মের মাঝে যেতে চাই। সে লক্ষ্যেই সেন্ট যোসেফ স্কুলের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন আয়োজন করতে চাই।”
তিনি বলেন, “যারা অন্ধকারে আছে, তাদের মাঝেও আলোর শিখা জ্বালাতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শরতের রঙ
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সেন্ট যোসেফ স্কুলের কালচারাল ফোরামের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে দুটি সম্মেলক গান, তিনটি একক গান ও একটি বৃন্দ আবৃত্তি। পরিবেশনায় ছিল ‘আমারে ডাক দিল কে’, ‘শরতে আজ কোন অতিথি’, ‘শিউলি ফুল শিউলি ফুল’সহ শরৎ-প্রেরণায় ভরা গান। শেষে তারা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে’।
ছায়ানটের নিবেদন: রবীন্দ্রনাথের ‘শারোদোৎসব’
দ্বিতীয় পর্বে ছিল ছায়ানটের পরিবেশনা ‘শারোদোৎসব’। এতে গান, নাট্যাংশ পাঠ ও অভিনয়ে অংশ নেয় নালন্দার শিশুশিল্পীরা। গানে অংশ নেয় সংগীত-প্রবেশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা, সঙ্গে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য ও সত্যম্ কুমার দেবনাথ।
ছায়ানটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, “শরৎ হচ্ছে বর্ষা ও শীতের সংযোগ ঋতু। আমরা চাই নবীন প্রজন্ম ঋতুবৈচিত্র্যকে জানুক ও ভালোবাসুক।”
‘প্রকৃতির রূপ চিনতে হবে’ — শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়
নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন আয়োজন আরও বাড়ানো উচিত। রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখায় ঋতুর নানা রূপ তুলে ধরেছেন—নবীন প্রজন্মকেও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে শেখাতে হবে।”
শারোদোৎসবের পরিবেশনায় ছিল ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘আজ ধানের ক্ষেতে’, ‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ’সহ শরৎ-প্রাণিত গান ও নৃত্য।
নির্দেশনায় ছিলেন জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, নৃত্য পরিচালনায় শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেলায়েত হোসেন খান। তবলায় ছিলেন সুবীর ঘোষ ও গৌতম সরকার, এস্রাজে শৌণক দেবনাথ ঋক, বাঁশিতে মামুনুর রশিদ এবং কি-বোর্ডে রবিন্স চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষ হয় সম্মেলক নৃত্যগীত ‘নয়ন ভুলানো এলে’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
---