alt

আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

গাজা যুদ্ধে অসংখ্য বেসামরিক নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাটির বিশ্লেষণ দেখা গেছে, গত ছয় মাসের সময়সীমায় যাচাই করা নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক আইনের অভূতপূর্ব লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে যা ‘যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য সম্ভাব্য নৃশংস অপরাধের’ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় ৮,১১৯ জন নিহত হয়েছেন। যাচাইকৃত নিহতদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। নিহতদের মধ্যে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশই আবাসিক ভবন বা অনুরূপ বসতিতে নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই অপ্রত্যাশিত মাত্রার হত্যা এবং বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের কারণ হলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মৌলিক নীতিগুলো পালন করতে ব্যর্থ হওয়া।’

শুক্রবারের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বিবিসি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

জাতিসংঘ জানায়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জনবহুল অঞ্চল থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। ফলে ইসরায়েললি বাহিনীর নির্বিচারে গোলা বা ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করছে যা মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। আইডিএফ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং ‘বেঁচে থাকা মানুষদের আহত, গৃহহীন ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি, খাদ্য বা স্বাস্থ্যসেবার অভাব তৈরি করেছে।’

উত্তর গাজায় পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, অক্টোবরের শুরুর দিকে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে নতুন স্থল আক্রমণ শুরু করলে উত্তর গাজা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ জানায়, অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে উত্তরে কোনও খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করেনি।

ত্রাণ সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জ্যান এগেল্যান্ড শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, গাজায় সাম্প্রতিক এক সফরে তিনি ‘অবিশ্বাস্য ধ্বংসযজ্ঞ’ প্রত্যক্ষ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সেখানে এমন কোনও ভবন নেই যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর বড় বড় এলাকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্তালিনগ্রাদের মতো দেখাচ্ছে। এই অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর উপর এই নির্বিচারে বোমাবর্ষণের তীব্রতা কল্পনাতীত বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের মূল দিচ্ছে প্রধানত শিশু এবং নারী।’

ছবি

মার্কিন তিন রণতরীতে ইয়েমেনিদের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ছবি

ট্রাম্পের প্রশাসনে ইলন মাস্ক এবং বিবেক রামস্বামীকে বিশেষ দায়িত্বে নিয়োগ

ছবি

প্রথম দিনেই অভিবাসীদের ওপর কঠোর হবেন ট্রাম্প

ছবি

পার্বত্য লেবাননের দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ২৩

ছবি

গাজা ও লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ১০৭

ছবি

এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের জয়: কংগ্রেসেও রিপাবলিকানদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ

ছবি

গাজায় নিহত আরও ৪০, প্রাণহানি ছাড়িয়ে গেল ৪৩ হাজার ৬০০

ছবি

গাজা লেবানন সিরিয়ায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৯৪

ছবি

অ্যারিজোনাতেও ট্রাম্পের জয়, সব সুইং স্টেট রিপাবলিকানদের দখলে

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি

ছবি

কাতার গাজা যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় বিরত, হামাসকে দোহা ছাড়ার অনুরোধ

ছবি

ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইরান, অভিযোগ মার্কিন সরকারের

ছবি

নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য বাইডেনকে দুষলেন পেলোসি

ছবি

গাজায় নিহত প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু : জাতিসংঘ

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার এফ-১৫ যুদ্ধবিমান

ছবি

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের প্রশংসায় পুতিন, সংলাপের জন্য প্রস্তুত

ছবি

গাজা ও লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত শতাধিক

ছবি

ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে

ছবি

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে কমলা হ্যারিসের পরাজয় নিয়ে ক্ষোভ ও আত্মসমালোচনা

ছবি

ইরানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাক খোলার পর নারী আটক, মুক্তি দাবি মানবাধিকারকর্মীদের

ছবি

লেবাননে অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০

ছবি

হতাশ হবেন না, ভোটে পরাজয় মেনে নিচ্ছি, লড়াই ছাড়ছি না : কমালা

ছবি

প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সারা ম্যাকব্রাইড

চমৎকার জয়, অ্যামেরিকাকে আবারও মহান বানানোর সুযোগ: ট্রাম্প

ছবি

না, যুক্তরাষ্ট্র এখনও নারী নেতৃত্বে রাজি না

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন মোদি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প

ছবি

নির্বাচনের রাতে দুঃসংবাদের ভিড়ে কথা বলবেন না কমলা

ছবি

জনতার দুর্দান্ত বিজয়, এটি আমেরিকাকে মহান বানানোর সুযোগ: ট্রাম্প

ছবি

সব অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ, এখন আনুষ্ঠানিক ফলাফলের অপেক্ষা

ছবি

বিজয় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্প না হ্যারিস, কার জয়ে কার কী লাভ

ছবি

ভোট শেষ, ফলাফল জানতে কত দেরি

ছবি

শেষ ভাষণে তরুণ ভোটারদের কাছে ভোট চাইলেন কমালা হ্যারিস

tab

আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

গাজা যুদ্ধে অসংখ্য বেসামরিক নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাটির বিশ্লেষণ দেখা গেছে, গত ছয় মাসের সময়সীমায় যাচাই করা নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক আইনের অভূতপূর্ব লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে যা ‘যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য সম্ভাব্য নৃশংস অপরাধের’ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় ৮,১১৯ জন নিহত হয়েছেন। যাচাইকৃত নিহতদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। নিহতদের মধ্যে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশই আবাসিক ভবন বা অনুরূপ বসতিতে নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই অপ্রত্যাশিত মাত্রার হত্যা এবং বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের কারণ হলো আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মৌলিক নীতিগুলো পালন করতে ব্যর্থ হওয়া।’

শুক্রবারের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বিবিসি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

জাতিসংঘ জানায়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জনবহুল অঞ্চল থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। ফলে ইসরায়েললি বাহিনীর নির্বিচারে গোলা বা ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করছে যা মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। আইডিএফ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং ‘বেঁচে থাকা মানুষদের আহত, গৃহহীন ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি, খাদ্য বা স্বাস্থ্যসেবার অভাব তৈরি করেছে।’

উত্তর গাজায় পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে, অক্টোবরের শুরুর দিকে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে নতুন স্থল আক্রমণ শুরু করলে উত্তর গাজা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ জানায়, অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে উত্তরে কোনও খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করেনি।

ত্রাণ সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জ্যান এগেল্যান্ড শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, গাজায় সাম্প্রতিক এক সফরে তিনি ‘অবিশ্বাস্য ধ্বংসযজ্ঞ’ প্রত্যক্ষ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সেখানে এমন কোনও ভবন নেই যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর বড় বড় এলাকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্তালিনগ্রাদের মতো দেখাচ্ছে। এই অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর উপর এই নির্বিচারে বোমাবর্ষণের তীব্রতা কল্পনাতীত বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের মূল দিচ্ছে প্রধানত শিশু এবং নারী।’

back to top