তিনি এ পদে আসায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে থাকা রক্ষণশীল চার্চগুলোর সঙ্গে চার্চ অব ইংল্যান্ডের ধর্মতাত্ত্বিক বিভাজন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হল।
ক্যান্টারবেরির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সেরাহ মুলালি; চার্চ অব ইংল্যান্ডের এক হাজার ৪০০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো নারী এ দায়িত্ব পেলেন।
বিবিসি লিখেছে, আর্চবিশপ হওয়ায় মুলালি বিশ্বজুড়ে থাকা ৮ কোটি ৫০ লাখের মত অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানের অলঙ্কারিক প্রধানও হলেন। তবে একজন নারীকে এ পদে আনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে থাকা রক্ষণশীল চার্চগুলোর সঙ্গে চার্চ অব ইংল্যান্ডের ধর্মতাত্ত্বিক বিভাজন আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হল।
১১ বছর আগে সূচিত সংস্কারের পথ ধরে আর্চবিশপ পদে নারীদের আনার পথ সুগম হয়েছিল। ক্যান্টারবেরির ১০৬তম আর্চবিশপ হিসাবে নাম ঘোষিত হওয়ায় মুলালি ব্রিটিশ জনজীবনের সর্বশেষ সেই ক্ষেত্রগুলোর একটির নেতৃত্ব পেলেন, যেখানে আগে কেবল পুরুষদেরই নেতা হিসেবে দেখা গেছে।
বিশ্বজুড়ে থাকা অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানদের সিংহভাগ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। এ মতের খ্রিষ্টানদের দুই তৃতীয়াংশের বাস নাইজেরিয়া, কেনিয়া ও উগান্ডার মত আফ্রিকার দেশগুলোতে।
৬৩ বছর বয়সী মুলালি একসময় নার্স ছিলেন। ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে তিনি ইংল্যান্ডের প্রধান নার্সিং কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি চার্চগুলোতে একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ সংস্কৃতি তৈরি করার পক্ষে কাজ করছেন, যেখানে ভিন্নমত ও মতভিন্নতার স্থান থাকবে।
“নার্সিং এবং যাজকের কাজের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। সবই মানুষকে ঘিরে, এবং তাদের পাশে বসে থাকা, যখন তারা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে,” একটি ম্যাগাজিনকে একবার এমনটাই বলেছিলেন মুলালি। রাজা চার্লসের আনুষ্ঠানিক সম্মতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় শুক্রবার কেন্টারবেরির আর্চবিশপ হিসেবে মুলালির নাম ঘোষণা করেন।
রাজা হিসাবে চার্লসই চার্চ অব ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গভর্নর; ষোড়শ শতকে ক্যাথলিক চার্চ থেকে আলাদা হওয়ার পর রাজা অষ্টম হেনরি এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন। শিশু নির্যাতন আড়াল করার কেলেঙ্কারিতে জাস্টিন ওয়েলবি পদত্যাগ করায় গত নভেম্বর থেকে চার্চ অব ইংল্যান্ডের কোনো নেতা ছিল না।
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
তিনি এ পদে আসায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে থাকা রক্ষণশীল চার্চগুলোর সঙ্গে চার্চ অব ইংল্যান্ডের ধর্মতাত্ত্বিক বিভাজন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হল।
ক্যান্টারবেরির নতুন আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সেরাহ মুলালি; চার্চ অব ইংল্যান্ডের এক হাজার ৪০০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো নারী এ দায়িত্ব পেলেন।
বিবিসি লিখেছে, আর্চবিশপ হওয়ায় মুলালি বিশ্বজুড়ে থাকা ৮ কোটি ৫০ লাখের মত অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানের অলঙ্কারিক প্রধানও হলেন। তবে একজন নারীকে এ পদে আনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে থাকা রক্ষণশীল চার্চগুলোর সঙ্গে চার্চ অব ইংল্যান্ডের ধর্মতাত্ত্বিক বিভাজন আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হল।
১১ বছর আগে সূচিত সংস্কারের পথ ধরে আর্চবিশপ পদে নারীদের আনার পথ সুগম হয়েছিল। ক্যান্টারবেরির ১০৬তম আর্চবিশপ হিসাবে নাম ঘোষিত হওয়ায় মুলালি ব্রিটিশ জনজীবনের সর্বশেষ সেই ক্ষেত্রগুলোর একটির নেতৃত্ব পেলেন, যেখানে আগে কেবল পুরুষদেরই নেতা হিসেবে দেখা গেছে।
বিশ্বজুড়ে থাকা অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানদের সিংহভাগ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। এ মতের খ্রিষ্টানদের দুই তৃতীয়াংশের বাস নাইজেরিয়া, কেনিয়া ও উগান্ডার মত আফ্রিকার দেশগুলোতে।
৬৩ বছর বয়সী মুলালি একসময় নার্স ছিলেন। ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে তিনি ইংল্যান্ডের প্রধান নার্সিং কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি চার্চগুলোতে একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ সংস্কৃতি তৈরি করার পক্ষে কাজ করছেন, যেখানে ভিন্নমত ও মতভিন্নতার স্থান থাকবে।
“নার্সিং এবং যাজকের কাজের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। সবই মানুষকে ঘিরে, এবং তাদের পাশে বসে থাকা, যখন তারা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে,” একটি ম্যাগাজিনকে একবার এমনটাই বলেছিলেন মুলালি। রাজা চার্লসের আনুষ্ঠানিক সম্মতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় শুক্রবার কেন্টারবেরির আর্চবিশপ হিসেবে মুলালির নাম ঘোষণা করেন।
রাজা হিসাবে চার্লসই চার্চ অব ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গভর্নর; ষোড়শ শতকে ক্যাথলিক চার্চ থেকে আলাদা হওয়ার পর রাজা অষ্টম হেনরি এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন। শিশু নির্যাতন আড়াল করার কেলেঙ্কারিতে জাস্টিন ওয়েলবি পদত্যাগ করায় গত নভেম্বর থেকে চার্চ অব ইংল্যান্ডের কোনো নেতা ছিল না।