ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুক্রবার সকালে কার্যকর হয়েছে। এরপর গাজার কিছু এলাকা থেকে আংশিকভাবে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে গাজার অর্ধেকের বেশি অঞ্চল এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে নতুন সীমারেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। দক্ষিণের খান ইউনিস থেকেও কিছু সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, “আইডিএফের সেনারা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম ধাপের সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে।”
শুক্রবারের প্রথম প্রহরে ইসরায়েলি সরকার গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই ধাপে হামাসকে সোমবার পর্যন্ত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত, ২৮ জনের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার কথা। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ও আরও ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ৬০০টি ত্রাণবাহী লরি গাজায় প্রবেশের কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়েছে কিনা নিশ্চিত নয়।
যুদ্ধবিরতির পর গাজার উত্তরাঞ্চলে হাজারো ফিলিস্তিনিকে ঘরে ফেরার পথে দেখা গেছে। কেউ পিঠে মালপত্র নিয়ে হাঁটছেন, কেউ হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়াচ্ছেন। স্কুলশিক্ষক আলা সালেহ বলেন, “সড়কযাত্রা দীর্ঘ ও কঠিন, কোনো খাবার বা পানিও নেই। গাড়ি ভাড়া করতে লাগছে ৪ হাজার শেকেল, যা বেশিরভাগের সাধ্যের বাইরে।”
টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছি।” তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র করে গাজাকে অসামরিক অঞ্চলে রূপ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, হামাস জানায়, তারা কোনো বিদেশি অভিভাবকত্ব মানবে না। গাজার শাসনব্যবস্থা নির্ধারণের এখতিয়ার শুধুই ফিলিস্তিনিদের—বলেছে সংগঠনটি।
ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকবে ‘বোর্ড অব পিস’, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
---
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুক্রবার সকালে কার্যকর হয়েছে। এরপর গাজার কিছু এলাকা থেকে আংশিকভাবে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে গাজার অর্ধেকের বেশি অঞ্চল এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে নতুন সীমারেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। দক্ষিণের খান ইউনিস থেকেও কিছু সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, “আইডিএফের সেনারা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম ধাপের সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে।”
শুক্রবারের প্রথম প্রহরে ইসরায়েলি সরকার গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই ধাপে হামাসকে সোমবার পর্যন্ত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত, ২৮ জনের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার কথা। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ও আরও ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ৬০০টি ত্রাণবাহী লরি গাজায় প্রবেশের কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়েছে কিনা নিশ্চিত নয়।
যুদ্ধবিরতির পর গাজার উত্তরাঞ্চলে হাজারো ফিলিস্তিনিকে ঘরে ফেরার পথে দেখা গেছে। কেউ পিঠে মালপত্র নিয়ে হাঁটছেন, কেউ হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়াচ্ছেন। স্কুলশিক্ষক আলা সালেহ বলেন, “সড়কযাত্রা দীর্ঘ ও কঠিন, কোনো খাবার বা পানিও নেই। গাড়ি ভাড়া করতে লাগছে ৪ হাজার শেকেল, যা বেশিরভাগের সাধ্যের বাইরে।”
টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছি।” তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র করে গাজাকে অসামরিক অঞ্চলে রূপ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, হামাস জানায়, তারা কোনো বিদেশি অভিভাবকত্ব মানবে না। গাজার শাসনব্যবস্থা নির্ধারণের এখতিয়ার শুধুই ফিলিস্তিনিদের—বলেছে সংগঠনটি।
ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকবে ‘বোর্ড অব পিস’, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
---