নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর নেতৃত্বে গাজার যুদ্ধসহ অন্তত আটটি বৈশ্বিক সংঘাত বন্ধ হয়েছিল। তবুও তাঁকে উপেক্ষা করায় নোবেল কমিটিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।
ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি
বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমার প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে আমি আটটি বৈশ্বিক সংঘাত থামিয়েছি। গাজার যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা—সবই আমার কূটনৈতিক সাফল্যের উদাহরণ।”
তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের যেসব উদ্যোগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বা সীমিত চুক্তি, স্থায়ী শান্তিচুক্তি নয়।
বিশেষ করে এ বছরের শুরুতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত বন্ধে তাঁর ভূমিকা দৃশ্যমান থাকলেও, ভারত-পাকিস্তান বা মিসর-ইথিওপিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে কোনো বাস্তব সাফল্য পাওয়া যায়নি।
নোবেল কমিটিকে ‘রাজনৈতিক’ বলছে হোয়াইট হাউস
নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ পড়ায় এক্সে (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ ঝেড়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং।
তিনি লিখেছেন, “(প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের) মানবিক হৃদয় রয়েছে। তাঁর মতো দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষ আর আসবেন না—যিনি চাইলে পাহাড়ও টলিয়ে দিতে পারেন।”
চেউং আরও লেখেন, “নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”
নোবেল কমিটির প্রতিক্রিয়া
সমালোচনার জবাবে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োর্গেন ভাটনে ফ্রিডনেস বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং কেবল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবছর হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে মানুষ তাদের মতে শান্তির উপায় ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমাদের কাজ হলো আলফ্রেড নোবেলের সংজ্ঞা অনুযায়ী শান্তির পক্ষে অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া।”
ফ্রিডনেস আরও বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিই সাহস, সততা ও মানবতার নীতিতে। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা এখানে স্থান পায় না।”
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর নেতৃত্বে গাজার যুদ্ধসহ অন্তত আটটি বৈশ্বিক সংঘাত বন্ধ হয়েছিল। তবুও তাঁকে উপেক্ষা করায় নোবেল কমিটিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।
ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি
বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমার প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে আমি আটটি বৈশ্বিক সংঘাত থামিয়েছি। গাজার যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা—সবই আমার কূটনৈতিক সাফল্যের উদাহরণ।”
তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের যেসব উদ্যোগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বা সীমিত চুক্তি, স্থায়ী শান্তিচুক্তি নয়।
বিশেষ করে এ বছরের শুরুতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত বন্ধে তাঁর ভূমিকা দৃশ্যমান থাকলেও, ভারত-পাকিস্তান বা মিসর-ইথিওপিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে কোনো বাস্তব সাফল্য পাওয়া যায়নি।
নোবেল কমিটিকে ‘রাজনৈতিক’ বলছে হোয়াইট হাউস
নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ পড়ায় এক্সে (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ ঝেড়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং।
তিনি লিখেছেন, “(প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের) মানবিক হৃদয় রয়েছে। তাঁর মতো দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষ আর আসবেন না—যিনি চাইলে পাহাড়ও টলিয়ে দিতে পারেন।”
চেউং আরও লেখেন, “নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”
নোবেল কমিটির প্রতিক্রিয়া
সমালোচনার জবাবে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োর্গেন ভাটনে ফ্রিডনেস বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং কেবল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবছর হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে মানুষ তাদের মতে শান্তির উপায় ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমাদের কাজ হলো আলফ্রেড নোবেলের সংজ্ঞা অনুযায়ী শান্তির পক্ষে অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া।”
ফ্রিডনেস আরও বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিই সাহস, সততা ও মানবতার নীতিতে। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা এখানে স্থান পায় না।”