alt

নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প শিবির, সমালোচনায় হোয়াইট হাউস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর নেতৃত্বে গাজার যুদ্ধসহ অন্তত আটটি বৈশ্বিক সংঘাত বন্ধ হয়েছিল। তবুও তাঁকে উপেক্ষা করায় নোবেল কমিটিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।

ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি

বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমার প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে আমি আটটি বৈশ্বিক সংঘাত থামিয়েছি। গাজার যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা—সবই আমার কূটনৈতিক সাফল্যের উদাহরণ।”

তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের যেসব উদ্যোগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বা সীমিত চুক্তি, স্থায়ী শান্তিচুক্তি নয়।

বিশেষ করে এ বছরের শুরুতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত বন্ধে তাঁর ভূমিকা দৃশ্যমান থাকলেও, ভারত-পাকিস্তান বা মিসর-ইথিওপিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে কোনো বাস্তব সাফল্য পাওয়া যায়নি।

নোবেল কমিটিকে ‘রাজনৈতিক’ বলছে হোয়াইট হাউস

নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ পড়ায় এক্সে (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ ঝেড়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং।

তিনি লিখেছেন, “(প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের) মানবিক হৃদয় রয়েছে। তাঁর মতো দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষ আর আসবেন না—যিনি চাইলে পাহাড়ও টলিয়ে দিতে পারেন।”

চেউং আরও লেখেন, “নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”

নোবেল কমিটির প্রতিক্রিয়া

সমালোচনার জবাবে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োর্গেন ভাটনে ফ্রিডনেস বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং কেবল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবছর হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে মানুষ তাদের মতে শান্তির উপায় ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমাদের কাজ হলো আলফ্রেড নোবেলের সংজ্ঞা অনুযায়ী শান্তির পক্ষে অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া।”

ফ্রিডনেস আরও বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিই সাহস, সততা ও মানবতার নীতিতে। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা এখানে স্থান পায় না।”

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু, বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার থেকে

ছবি

শান্তি প্রস্তাব মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

ছবি

ভারতে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ

ছবি

পাকিস্তানে তালেবানের হামলা নিয়ে মুখ খুলল ‘বন্ধু’ সৌদি!

ছবি

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি

ছবি

আল্টিমেটামের জবাবে ট্রাম্পকে সতর্কবার্তা দিলো বেইজিং

ছবি

গাজা থেকে জিম্মিমুক্তি শুরু কখন, কীভাবে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

ছবি

সীমান্তে রাতভর গোলাগুলিতে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহতের দাবি কাবুলের

ছবি

আফগানিস্তান আগুন ও রক্তের খেলা খেলছে,” বলছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ছবি

শান্তিতে নোবেল পাওয়া ভেনেজুয়েলার মাচাদোকে নিয়ে সমালোচনা

ছবি

বোমা-ড্রোনের শব্দ ছাড়া গাজাবাসীর প্রথম রাত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনে ব্যাপক ছাঁটাই শুরু, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন

ছবি

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করলো উত্তর কোরিয়া

ছবি

মাচাদোকে বললে আমাকে নোবেলটা দিয়ে দিত: ট্রাম্প

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি

সাগরতলে বাড়ছে পৃথিবীর বিপদ

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গ ছেড়ে ভারতের দিকে ঝুঁকছে আফগানিস্তান!

ছবি

কীভাবে ফিরছে গাজাবাসী, যা বলছে তারা

ছবি

গাজা থেকে আংশিক ইসরায়ে‌লি সেনা প্রত্যাহার, কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ছবি

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু, ঘরে ফিরছে গাজাবাসী

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: স্বস্তি, আশাবাদ ও শঙ্কা

ছবি

মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান পুতিনের

ছবি

মরুর বুকে ফুলের বাগান

ছবি

ইসরায়েলে ২০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

রুশ হামলা, ইউক্রেনের রাজধানীতে বিদ্যুৎ-পানির সরবরাহ বিচ্ছিন্ন

ছবি

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান

ছবি

শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো

ছবি

গাজায় ২০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন কর‌বে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ফিলিপিন্সে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি ইন্দোনেশিয়াতেও

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস ও ইসরায়েল, এরপর কী

ছবি

তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা

ছবি

সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির ঔপন্যাসিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই

ছবি

ইসরায়েল-হামাস চুক্তি, গাজায় ও তেল আবিবে আনন্দোল্লাস

ছবি

নেতানিয়াহুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

ছবি

অস্থির ফ্রান্সে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন ম্যাখোঁ

tab

নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প শিবির, সমালোচনায় হোয়াইট হাউস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর নেতৃত্বে গাজার যুদ্ধসহ অন্তত আটটি বৈশ্বিক সংঘাত বন্ধ হয়েছিল। তবুও তাঁকে উপেক্ষা করায় নোবেল কমিটিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।

ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি

বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমার প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে আমি আটটি বৈশ্বিক সংঘাত থামিয়েছি। গাজার যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা—সবই আমার কূটনৈতিক সাফল্যের উদাহরণ।”

তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের যেসব উদ্যোগের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বা সীমিত চুক্তি, স্থায়ী শান্তিচুক্তি নয়।

বিশেষ করে এ বছরের শুরুতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত বন্ধে তাঁর ভূমিকা দৃশ্যমান থাকলেও, ভারত-পাকিস্তান বা মিসর-ইথিওপিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে কোনো বাস্তব সাফল্য পাওয়া যায়নি।

নোবেল কমিটিকে ‘রাজনৈতিক’ বলছে হোয়াইট হাউস

নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ পড়ায় এক্সে (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ ঝেড়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং।

তিনি লিখেছেন, “(প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের) মানবিক হৃদয় রয়েছে। তাঁর মতো দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষ আর আসবেন না—যিনি চাইলে পাহাড়ও টলিয়ে দিতে পারেন।”

চেউং আরও লেখেন, “নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”

নোবেল কমিটির প্রতিক্রিয়া

সমালোচনার জবাবে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োর্গেন ভাটনে ফ্রিডনেস বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং কেবল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবছর হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে মানুষ তাদের মতে শান্তির উপায় ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমাদের কাজ হলো আলফ্রেড নোবেলের সংজ্ঞা অনুযায়ী শান্তির পক্ষে অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া।”

ফ্রিডনেস আরও বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিই সাহস, সততা ও মানবতার নীতিতে। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা এখানে স্থান পায় না।”

back to top