আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে গতকাল শনিবার রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর কাবুল দাবি করেছে, তাদের অভিযানে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। অন্যদিকে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা সংঘর্ষকালে আফগান সীমান্তের ১৯টি ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ওই সংঘর্ষ ঘটে।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ রোববার এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র আফগান বাহিনীর হাতে এসেছে। অভিযানে ২০ জনের বেশি তালেবান সেনা হতাহত হয়েছেন। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে তালেবান সরকারের এ দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আজ সকালে তালেবান কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা কুনার ও হেলমান্দ প্রদেশের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে তিনটি ফাঁড়ি দখল করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির সেনারা ১৯টি আফগান সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করেছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, এসব ফাঁড়িতে থাকা আফগান সেনারা হয় নিহত হয়েছেন, নয়তো পালিয়েছেন।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারিজমি জানান, আফগান ভূখণ্ডে বারবার পাকিস্তানের সীমানা লঙ্ঘন ও বিমান হামলার জবাবে তালেবান “সফল প্রতিশোধমূলক অভিযান” চালিয়েছে। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, অভিযানটি মধ্যরাতে শেষ হয়।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে (পিটিভি) সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, কুররাম অঞ্চলে আফগান সীমান্ত ফাঁড়িগুলোয় আগুন জ্বলছে। সেখানে দাবি করা হয়, কয়েকজন আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেন, “বেসামরিক জনগণের ওপর আফগান বাহিনী গুলিবর্ষণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আফগানিস্তান বিনা উসকানিতে এ হামলা করেছে। পাকিস্তানের সাহসী বাহিনী দ্রুত ও কার্যকরভাবে এর জবাব দিয়েছে। কোনো ধরনের উসকানি সহ্য করা হবে না।”
রেডিও পাকিস্তান নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী তালেবানের মানোজবা ক্যাম্প ব্যাটালিয়ন সদর, জান্দুসার ফাঁড়ি, তুর্কমেনজাই ক্যাম্প ও খারচার ফোর্ট ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটি আরও জানায়, সীমান্তের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে ‘অত্যন্ত নিখুঁতভাবে’ হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলার দুই দিন পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবারের ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান।
তবে ইসলামাবাদ হামলার দায় স্বীকার করেনি; বরং তারা অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে, যারা ভারতের সহযোগিতায় পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে।
নয়াদিল্লি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে তালেবান জানিয়েছে, তারা তাদের ভূখণ্ড অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয় না।
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে গতকাল শনিবার রাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর কাবুল দাবি করেছে, তাদের অভিযানে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। অন্যদিকে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা সংঘর্ষকালে আফগান সীমান্তের ১৯টি ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ওই সংঘর্ষ ঘটে।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ রোববার এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র আফগান বাহিনীর হাতে এসেছে। অভিযানে ২০ জনের বেশি তালেবান সেনা হতাহত হয়েছেন। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে তালেবান সরকারের এ দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আজ সকালে তালেবান কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা কুনার ও হেলমান্দ প্রদেশের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে তিনটি ফাঁড়ি দখল করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির সেনারা ১৯টি আফগান সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করেছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, এসব ফাঁড়িতে থাকা আফগান সেনারা হয় নিহত হয়েছেন, নয়তো পালিয়েছেন।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারিজমি জানান, আফগান ভূখণ্ডে বারবার পাকিস্তানের সীমানা লঙ্ঘন ও বিমান হামলার জবাবে তালেবান “সফল প্রতিশোধমূলক অভিযান” চালিয়েছে। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, অভিযানটি মধ্যরাতে শেষ হয়।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে (পিটিভি) সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, কুররাম অঞ্চলে আফগান সীমান্ত ফাঁড়িগুলোয় আগুন জ্বলছে। সেখানে দাবি করা হয়, কয়েকজন আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেন, “বেসামরিক জনগণের ওপর আফগান বাহিনী গুলিবর্ষণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আফগানিস্তান বিনা উসকানিতে এ হামলা করেছে। পাকিস্তানের সাহসী বাহিনী দ্রুত ও কার্যকরভাবে এর জবাব দিয়েছে। কোনো ধরনের উসকানি সহ্য করা হবে না।”
রেডিও পাকিস্তান নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী তালেবানের মানোজবা ক্যাম্প ব্যাটালিয়ন সদর, জান্দুসার ফাঁড়ি, তুর্কমেনজাই ক্যাম্প ও খারচার ফোর্ট ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটি আরও জানায়, সীমান্তের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে ‘অত্যন্ত নিখুঁতভাবে’ হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলার দুই দিন পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবারের ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান।
তবে ইসলামাবাদ হামলার দায় স্বীকার করেনি; বরং তারা অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে, যারা ভারতের সহযোগিতায় পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে।
নয়াদিল্লি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে তালেবান জানিয়েছে, তারা তাদের ভূখণ্ড অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয় না।