সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনারা যেভাবে বারবার সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে, তা এ অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতি ও শনিবারের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর উভয় পক্ষই একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করার দাবি করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এর জবাবে গত শনিবার রাতে আফগান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন বলে দাবি করেছে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। অথচ এই পাকিস্তানই একসময় ছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের অন্যতম মিত্র। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আফগানিস্তানে প্রথম তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া মাত্র তিনটি দেশের একটি ছিল পাকিস্তান।
সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও বৈরিতা এ অঞ্চলে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, শনিবার রাতের ওই লড়াইয়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী এমন এক সীমান্তে বারবার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে; যা প্রায় এক হাজার ৬০০ মাইল দীর্ঘ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। পাকিস্তান বারবার তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এই গোষ্ঠীর হামলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের আরেক বৈরী দেশ ভারতও টিটিপিকে সমর্থন দিচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে তা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সংঘাতের জন্ম দিতে পারে; যা এ অঞ্চলের জন্য শুভ কোনো বিষয় হবে না।
সাম্প্রতিক সংঘাত প্রভাব ফেলতে পারে উভয় দেশের আন্তঃসম্পর্কেও। কারণ পাকিস্তান এখনও আফগানিস্তানের শীর্ষ রপ্তানি অংশীদার এবং গত কয়েক দশকে নিরাপত্তাহীনতা ও বেকারত্ব থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তানি ও আফগান কর্মকর্তাদের মতে, শনিবারের রাতের সংঘর্ষের পর দুই দেশের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে বসবাসকারী কয়েক হাজার আফগান দেশে ফিরে গেছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে শান্তি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েল যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি বলেছি, আমার ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমি যুদ্ধের ভালো সমাধান দিতে পারি। আমি লাখ লাখ জীবন বাঁচাই।’
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনারা যেভাবে বারবার সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে, তা এ অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতি ও শনিবারের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর উভয় পক্ষই একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করার দাবি করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এর জবাবে গত শনিবার রাতে আফগান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন বলে দাবি করেছে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। অথচ এই পাকিস্তানই একসময় ছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের অন্যতম মিত্র। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আফগানিস্তানে প্রথম তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া মাত্র তিনটি দেশের একটি ছিল পাকিস্তান।
সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও বৈরিতা এ অঞ্চলে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, শনিবার রাতের ওই লড়াইয়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী এমন এক সীমান্তে বারবার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে; যা প্রায় এক হাজার ৬০০ মাইল দীর্ঘ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। পাকিস্তান বারবার তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এই গোষ্ঠীর হামলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের আরেক বৈরী দেশ ভারতও টিটিপিকে সমর্থন দিচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে তা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সংঘাতের জন্ম দিতে পারে; যা এ অঞ্চলের জন্য শুভ কোনো বিষয় হবে না।
সাম্প্রতিক সংঘাত প্রভাব ফেলতে পারে উভয় দেশের আন্তঃসম্পর্কেও। কারণ পাকিস্তান এখনও আফগানিস্তানের শীর্ষ রপ্তানি অংশীদার এবং গত কয়েক দশকে নিরাপত্তাহীনতা ও বেকারত্ব থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তানি ও আফগান কর্মকর্তাদের মতে, শনিবারের রাতের সংঘর্ষের পর দুই দেশের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে বসবাসকারী কয়েক হাজার আফগান দেশে ফিরে গেছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে শান্তি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েল যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি বলেছি, আমার ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমি যুদ্ধের ভালো সমাধান দিতে পারি। আমি লাখ লাখ জীবন বাঁচাই।’