alt

পাকিস্তান-আফগান লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনারা যেভাবে বারবার সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে, তা এ অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতি ও শনিবারের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর উভয় পক্ষই একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করার দাবি করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এর জবাবে গত শনিবার রাতে আফগান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন বলে দাবি করেছে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। অথচ এই পাকিস্তানই একসময় ছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের অন্যতম মিত্র। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আফগানিস্তানে প্রথম তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া মাত্র তিনটি দেশের একটি ছিল পাকিস্তান।

সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও বৈরিতা এ অঞ্চলে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, শনিবার রাতের ওই লড়াইয়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী এমন এক সীমান্তে বারবার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে; যা প্রায় এক হাজার ৬০০ মাইল দীর্ঘ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। পাকিস্তান বারবার তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এই গোষ্ঠীর হামলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের আরেক বৈরী দেশ ভারতও টিটিপিকে সমর্থন দিচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে তা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সংঘাতের জন্ম দিতে পারে; যা এ অঞ্চলের জন্য শুভ কোনো বিষয় হবে না।

সাম্প্রতিক সংঘাত প্রভাব ফেলতে পারে উভয় দেশের আন্তঃসম্পর্কেও। কারণ পাকিস্তান এখনও আফগানিস্তানের শীর্ষ রপ্তানি অংশীদার এবং গত কয়েক দশকে নিরাপত্তাহীনতা ও বেকারত্ব থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তানি ও আফগান কর্মকর্তাদের মতে, শনিবারের রাতের সংঘর্ষের পর দুই দেশের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে বসবাসকারী কয়েক হাজার আফগান দেশে ফিরে গেছেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে শান্তি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েল যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি বলেছি, আমার ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমি যুদ্ধের ভালো সমাধান দিতে পারি। আমি লাখ লাখ জীবন বাঁচাই।’

ছবি

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

ছবি

থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়বে’ চীন

ছবি

প্যালেস্টাইনি-ইসরায়েল বন্দিবিনিময়ের পর চুক্তি সই

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পসহ চার নেতার স্বাক্ষর

ছবি

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতির আহ্বান

ছবি

জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই ফের সশস্ত্র হয়েছে হামাস: ট্রাম্প

ছবি

গাজার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব হামাসের: ট্রাম্প

ছবি

জীবিত ২০ জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস

ছবি

পশ্চিমা শক্তিকে দুর্বল করতে একাট্টা চীন-রাশিয়া

ছবি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান লড়াই, কোন দিকে মোড় নেবে পরিস্থিতি

ছবি

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে ক্ষুব্ধ বেইজিং, ‘দ্বিমুখী নীতি’র অভিযোগ চীনের

ছবি

প্রথম ৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস

ছবি

ট্রাম্পের দাবি, গাজা যুদ্ধ ‘শেষ’

ছবি

গাজা: ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক, সোমবার মুক্তি পাচ্ছে জিম্মিরা

ছবি

সীমান্তে সংঘর্ষ: পাকিস্তানের ৫৮ সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু, বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার থেকে

ছবি

শান্তি প্রস্তাব মানলেও অস্ত্র জমা দেবে না হামাস

ছবি

ভারতে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ

ছবি

পাকিস্তানে তালেবানের হামলা নিয়ে মুখ খুলল ‘বন্ধু’ সৌদি!

ছবি

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি

ছবি

আল্টিমেটামের জবাবে ট্রাম্পকে সতর্কবার্তা দিলো বেইজিং

ছবি

গাজা থেকে জিম্মিমুক্তি শুরু কখন, কীভাবে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

ছবি

সীমান্তে রাতভর গোলাগুলিতে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহতের দাবি কাবুলের

ছবি

আফগানিস্তান আগুন ও রক্তের খেলা খেলছে,” বলছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ছবি

শান্তিতে নোবেল পাওয়া ভেনেজুয়েলার মাচাদোকে নিয়ে সমালোচনা

ছবি

বোমা-ড্রোনের শব্দ ছাড়া গাজাবাসীর প্রথম রাত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনে ব্যাপক ছাঁটাই শুরু, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন

ছবি

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করলো উত্তর কোরিয়া

ছবি

মাচাদোকে বললে আমাকে নোবেলটা দিয়ে দিত: ট্রাম্প

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি

সাগরতলে বাড়ছে পৃথিবীর বিপদ

tab

পাকিস্তান-আফগান লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনারা যেভাবে বারবার সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে, তা এ অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতি ও শনিবারের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর উভয় পক্ষই একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করার দাবি করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এর জবাবে গত শনিবার রাতে আফগান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন বলে দাবি করেছে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। অথচ এই পাকিস্তানই একসময় ছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের অন্যতম মিত্র। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আফগানিস্তানে প্রথম তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া মাত্র তিনটি দেশের একটি ছিল পাকিস্তান।

সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও বৈরিতা এ অঞ্চলে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, শনিবার রাতের ওই লড়াইয়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী এমন এক সীমান্তে বারবার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে; যা প্রায় এক হাজার ৬০০ মাইল দীর্ঘ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। পাকিস্তান বারবার তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এই গোষ্ঠীর হামলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের আরেক বৈরী দেশ ভারতও টিটিপিকে সমর্থন দিচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে তা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সংঘাতের জন্ম দিতে পারে; যা এ অঞ্চলের জন্য শুভ কোনো বিষয় হবে না।

সাম্প্রতিক সংঘাত প্রভাব ফেলতে পারে উভয় দেশের আন্তঃসম্পর্কেও। কারণ পাকিস্তান এখনও আফগানিস্তানের শীর্ষ রপ্তানি অংশীদার এবং গত কয়েক দশকে নিরাপত্তাহীনতা ও বেকারত্ব থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তানি ও আফগান কর্মকর্তাদের মতে, শনিবারের রাতের সংঘর্ষের পর দুই দেশের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে বসবাসকারী কয়েক হাজার আফগান দেশে ফিরে গেছেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে শান্তি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েল যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি বলেছি, আমার ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমি যুদ্ধের ভালো সমাধান দিতে পারি। আমি লাখ লাখ জীবন বাঁচাই।’

back to top