ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি ও সংলাপের আকাঙ্ক্ষা ইরানবাসীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ ও অপরাধমূলক আচরণের সঙ্গে মেলে না।
গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েল ইরানের ওপর নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়। পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় এসব হামলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ইসরায়েল-ইরানের এই ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার উচ্চপর্যায়ের পরমাণু আলোচনা কার্যত ভেস্তে যায়।
এর জবাবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে ইসরায়েলে বহু মানুষ নিহত হয়। ২৪ জুন থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেটে’ দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি চান ও এই বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে তেহরান। তবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে ইরান জিজ্ঞাসা করে, কীভাবে একটি দেশ রাজনৈতিক আলোচনা চলাকালীন অন্য একটি দেশের আবাসিক এলাকা ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যা করতে পারে এবং তারপর শান্তি ও বন্ধুত্বের আহ্বান জানাতে পারে?
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানের নেতারা যদি সন্ত্রাসীদের সমর্থন বন্ধ করে, প্রতিবেশীদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করে, সশস্ত্র প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করে এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে এর চেয়ে ভালো কিছু এই অঞ্চলের জন্য হতে পারে না।
এর জবাবে তেহরান ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সন্ত্রাসবাদের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও গণহত্যাকারী জায়নিস্ট শাসনের সমর্থক’ বলে অভিযুক্ত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, অন্যদের অভিযুক্ত করার কোনো নৈতিক অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি ও সংলাপের আকাঙ্ক্ষা ইরানবাসীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ ও অপরাধমূলক আচরণের সঙ্গে মেলে না।
গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েল ইরানের ওপর নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়। পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় এসব হামলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ইসরায়েল-ইরানের এই ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার উচ্চপর্যায়ের পরমাণু আলোচনা কার্যত ভেস্তে যায়।
এর জবাবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে ইসরায়েলে বহু মানুষ নিহত হয়। ২৪ জুন থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেটে’ দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি চান ও এই বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে তেহরান। তবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে ইরান জিজ্ঞাসা করে, কীভাবে একটি দেশ রাজনৈতিক আলোচনা চলাকালীন অন্য একটি দেশের আবাসিক এলাকা ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যা করতে পারে এবং তারপর শান্তি ও বন্ধুত্বের আহ্বান জানাতে পারে?
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানের নেতারা যদি সন্ত্রাসীদের সমর্থন বন্ধ করে, প্রতিবেশীদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করে, সশস্ত্র প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করে এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে এর চেয়ে ভালো কিছু এই অঞ্চলের জন্য হতে পারে না।
এর জবাবে তেহরান ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সন্ত্রাসবাদের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও গণহত্যাকারী জায়নিস্ট শাসনের সমর্থক’ বলে অভিযুক্ত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, অন্যদের অভিযুক্ত করার কোনো নৈতিক অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।